Durga Puja

সমস্যা অনেক, সমাধান একটাই!

পঞ্চমীর প্রথম লগ্নে ঘরে পৌঁছলে এই সমস্ত কিছু এক সঙ্গে হবে কী করে? তা হলে উপায়! আরে বাবা, নো টেনশন। সোনাটার শারদীয়া গাইড রয়েছে যে! গত বছরের মতো এই বছরেও পুজোর সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে হাজির সোনাটা শারদীয়া গাইড।

Advertisement

বিজ্ঞাপন প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:৪৮
Share:

দৃশ্য ১ -

Advertisement

এয়ারপোর্টে বসে হেড ফোনে গান শুনতে শুনতে ঠোঁটের কোণে গুনগুন করছে আগমনী সুর। বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে ছোটবেলার স্মৃতিগুলোর কথা। স্মার্টফোনের গ্যালারিতে ২০১৭-এর সেপ্টেম্বরের ছবিগুলো একের পর এক পাল্টে যাচ্ছে। আর সে সঙ্গে চোখের কোণায় উঁকি দিচ্ছে জল।

দৃশ্য ২ -

Advertisement

চারিদিকে ঢাকের শব্দ। অলিতে-গলিতে থিমের লড়াই। ভিড় ঠেলে মানুষ কোনও ভাবে এগিয়ে যাচ্ছে মা'কে দেখবার আশায়। আলোর মালায় সেজে উঠেছে সিটি অব জয়- কলকাতা।

সপ্তাহের শেষ দিনে এই দুটো দৃশ্যই যেন চোখে পড়ার মতো। বাঙালির দেশে বছর পেরিয়ে উমা এসেছেন। আর তাঁর আরাধনায় মেতে উঠেছে গোটা মহানগরী। সেই গত বছরের পুজোর আখ্যান উল্টেপাল্টে দেখা। মন জুড়ে শুধুই পাড়ার ঠেকে ফেরবার পালা। মায়ের হাতে খিচুড়ি, আলুর দম আর পায়েস! উফ! উফ! আর কতক্ষণ! তিলোত্তমা যে বার বার হাতছানি দিচ্ছে ফিরে আসার।

শহর ছেড়ে যারা বাইরে থাকেন, তাদের কাছে দুর্গা পুজোয় ঘরে ফেরবার আনন্দটাই আলাদা। এটা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। সারা বছর ধরে এই সময়টার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন তাঁরা। আর বাড়ি ফিরলেই ব্যাস! আনন্দ আর আনন্দ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গিয়ে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বেশ কিছু জিনিস।

১. কাজের চাপে পুজোর শপিং হয়নি। এ বারের লেটেস্ট ফ্যাশন কী চলছে তাও জানা নেই। কী করা যায়! বাবা-মা'কে কী গিফট্ দেওয়া যায়? আর প্রেমিকাকে!

২. পুজোয় তো আড্ডা হবেই। কিন্তু সপ্তমীর দিন বন্ধুরা মিলে কোথায় যাব? আর অষ্টমীর সকালে প্রেমিকের সঙ্গে? পুজোয় কোন প্যান্ডেলগুলো এ বার সেরার সেরা?

৩. আচ্ছা এ বার পুজোয় দশ দিনের জন্য বাড়ি যাচ্ছি। অনেক দিন কলকাতার খাবার খাইনি। কোন কোন রেস্তঁরায় যাওয়া যায় বলুন তো?

৪. নবমীর রাতে তো গতবার ম্যাডক্স গিয়েছিলাম। উফ! সে কী ব্যাপক অনুষ্ঠানটাই না হয়েছিল। কিন্তু এ বার কোথায় ভাল অনুষ্ঠান আছে জানেন?

৫. আচ্ছা সব না হয় বুঝলাম। কিন্তু পুজোর প্যান্ডেল আর বাঁশের ব্যারিকেডের জন্য গোটা কলকাতার রাস্তাঘাট তো চেনাই দায় হয়ে পড়ে। এ বার কী করব?

৬. সপ্তমীতে বন্ধুর বাড়ি। ফিরতে লেট হবে। ট্যাক্সিও পাওয়া যায় না অত রাতে। আচ্ছা, পুজোয় মেট্রোর টাইমটেবিলটাও আগে ভাগে ম্যানেজ করতে হবে। কিন্তু কোথা থেকে?

পঞ্চমীর প্রথম লগ্নে ঘরে পৌঁছলে এই সমস্ত কিছু এক সঙ্গে হবে কী করে? তা হলে উপায়! আরে বাবা, নো টেনশন। সোনাটার শারদীয়া গাইড রয়েছে যে! গত বছরের মতো এই বছরেও পুজোর সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে হাজির সোনাটা শারদীয়া গাইড।

থাকছে শহরের ৩০০টিরও বেশি পুজোর লোকেশন থেকে শুরু করে আপনার আশেপাশের সেরা রেস্তোরাঁর খোঁজ। পুজোয় সারা দিনের মেট্রো টাইমিং থেকে কলকাতার সেরা পুজোর মণ্ডপগুলির ঠিকানা ও ছবি। সব কিছু এ বার পেয়ে যাবেন এক ক্লিকেই। শুধু কী তাই। ফ্যাশনের লেটেস্ট ট্রেন্ড থেকে গিফট আইডিয়া, কোথায় কোন অনুষ্ঠান রয়েছে, এই সবও রয়েছে সোনাটার এই অ্যাপটিতে। এমনকি শহরের বাইরে দিল্লি, মুম্বই আর বেঙ্গালুরুর সেরা দুর্গাপুজোগুলিরও হদিশ দেবে এই অ্যাপ

তা হলে আর দেরি কেন? শহরে পা রাখার আগেই নিজের স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে নিন সোনাটা শারদীয়া গাইড। আর নিশ্চিন্তে সেরে ফেলুন পুজোর প্ল্যানিং। চুটিয়ে উপভোগ করুন দুর্গাপুজো।

অ্যাপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন নীচের লিঙ্কে -

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.appoids.sonatapujaapp&referrer=utm_source%3Dabp%26utm_medium%3Dlogo%26utm_campaign%3Dsharodia2018%26anid%3Dadmob

সকলকে আগাম শারদীয়ার প্রীতি, শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। পুজো ভাল কাটুক সকলের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন