ঘুম থেকে উঠেই অফিসে যাওয়ার তাড়া। তার পর সারাটা দিনই বুঁদ হয়ে থাকা কাজের চাপে। সময় পেরিয়ে গেলেও উপায় নেই, কাজের চাপে অফিস থেকে ছাড়া পাওয়াই যে দায়। এর ফলে নিজের অজান্তেই কমিয়ে আনা জীবনের গতি। শুনতে অবাস্তব লাগছে তো! কিন্তু, বৃহস্পতিবার এক সমীক্ষায় এ কথা প্রমাণিত যে সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তারও বেশি কাজ এক জনের জীবনের গতি স্তব্ধ করে দিতে পারে। কী ভাবে?
দি ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, সপ্তাহে ৫৫ ঘণ্টা বা তারও বেশি কাজ করলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে পরিণত বয়সের আগেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। ৫ লক্ষ ২৮ হাজারেরও বেশি মহিলা এবং পুরুষের উপরে সাত বছর ধরে এই পরীক্ষা চালানো হয়। তাতে পরিষ্কার, যাঁরা সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ করেন, তাঁদের এই অসুখের প্রবণতা স্বাভাবিক জীবনযাপন করা লোকেদের থেকে ১০ শতাংশ বেশি। তেমনই হিসেবটা দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যায় সপ্তাহে ৪৯-৫৪ ঘণ্টা কাজ করা কর্মীদের থেকে। তাঁদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা একলাফে বেড়ে যায় ২৭ শতাংশ। যেখানে ৫৫ ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় কাজ করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ৩৩ শতাংশে।
তবে শুধু খুব বেশি সময় ধরে কাজের চাপই নয়। সঙ্গে অ্যালকোহল, ধূমপান এবং অত্যধিক স্ট্রেস-ও এই রোগের অন্যতম কারণ বলে জানান চিকিৎসকেরা।