ব্যাঙ্কের ফোনের চোটে অস্থির? জেনে নিন ব্যাঙ্ক কী পারে, কী পারে না

বাড়ি বাঁধা রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ধার নিয়েছিলেন। কয়েক কিস্তি বাকি পড়ে গিয়েছে। প্রায়ই ফোন করে ধমকাচ্ছে ব্যাঙ্কের এজেন্ট। ক্রেডিট কার্ডেও টাকা বাকি। দু’জন এসে শাসিয়ে গিয়েছে। কী করবেন? জানাচ্ছেন আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৫ ১৪:৪৫
Share:

বাড়ি বাঁধা রেখে ব্যাঙ্ক থেকে ধার নিয়েছিলেন। কয়েক কিস্তি বাকি পড়ে গিয়েছে। প্রায়ই ফোন করে ধমকাচ্ছে ব্যাঙ্কের এজেন্ট। ক্রেডিট কার্ডেও টাকা বাকি। দু’জন এসে শাসিয়ে গিয়েছে। কী করবেন? জানাচ্ছেন আইনজীবী তমাল মুখোপাধ্যায়।

Advertisement

বকেয়া টাকা আদায়ে কেউ শাসাতে পারে না

সরাসরি স্থানীয় থানা বা ব্যাঙ্কের ওমবাড্‌সম্যানের কাছে শাসানি, এমনকী তোলাবাজির অভিযোগ জানানো যায়।

Advertisement

শাসানি আসে দু’ভাবে—

১) ফোন করে: যে নম্বর থেকে ফোন আসছে সেটি দিয়ে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। মোবাইল ফোনে ‘কল রেকর্ড’ করে রাখলে অভিযোগ প্রমাণ করা সহজ।

২) বাড়িতে বা কর্মস্থলে এসে: আগে এজেন্টের ‘আইডি’ নম্বর জেনে নিন। মোবাইল ক্যামেরায় ছবিও তুলে রাখতে পারেন।

ব্যাঙ্কের টাকা আদায়ের বৈধ রাস্তা আছে

১। ক্রেডিট কার্ডের ক্ষেত্রে

‘ক্রেডি়ট ব্যুরো অব ইন্ডিয়া লিমিটেড’-এর ওয়েবসাইটে গ্রাহকের নাম তুলে দিতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক। ওই গ্রাহক ভবিষ্যতে কোনও ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাবেন না। টাকা উদ্ধারের জন্য মামলাও করা হতে পারে।

২। গাড়ির ঋণের ক্ষেত্রে

ঋণ দেওয়ার সময়ে ‘আরবিট্রেশন এগ্রিমেন্ট’ করা হয়, বকেয়ার বিষয়টি কে বিচার করবেন (আরবিট্রেটর), তাঁর নাম দেওয়া থাকে। তিনি গাড়ি বাজেয়াপ্তের নির্দেশও দিতে পারেন।

৩। স্থাবর সম্পত্তি বাঁধা রেখে নেওয়া ঋণের ক্ষেত্রে

নোটিস বা উকিলের চিঠিতে কাজ না হলে ব্যাঙ্ক আদালতে যেতে পারে। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সাধারণ আদালতেই মামলা হবে। তার চেয়ে বেশি হলে ‘সারফেসি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী ব্যাঙ্ক ট্রাইব্যুনালে মামলা যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন