হেঁশেলের অপরিহার্য অঙ্গ নুন। তেল, হলুদ ফুরোলেও কোনও একটা ব্যবস্থা হতে পারে। তবে নুন না থাকলে রান্না হওয়া সম্ভব নয়।
স্বাদ আনতেই নুনের ব্যবহার। হেঁশেলে নুনের পরিচয়টা এমনই। তবে নুনের কাজ বোধহয় এইটুকুই নয়। তেতো খাবারের তিক্ততা কমানো, ভাজায় মুচমুচে ভাব আনা-সহ রান্নার আরও টুকিটাকি কাজেও কিন্তু নুনের ব্যবহার হয়! নুন দিয়ে নোনতা স্বাদ আনা ছাড়া আর কী ভাবে নুনের ব্যবহার হতে পারে?
১। পেঁয়াজ কাটার সময় ঝাঁজে চোখ দিয়ে জল বেরোয়? সব্জি কাটার বোর্ডে অল্প একটু নুন ছড়িয়ে দিন। তার পর পেঁয়াজ কাটলে এই সমস্যার সমাধান হবে। নুন পেঁয়াজের রস টেনে নেবে। তার ফলে ঝাঁজের জন্য চোখ জ্বালা করবে না।
২। সব্জি হোক বা মাশরুম— ভাজার সময় শুরুতেই একটু নুন ছড়িয়ে দিন। নুন সব্জির ভিতর থেকে জল টেনে বার করতে সাহায্য করে। সেই জল ভাজার সময় বাষ্পীভূত হয়ে গেলে সব্জি মুচমুচে হবে। ঠান্ডা হলেও চট করে নেতিয়ে যাবে না।
৩। তেতোর ডাল হোক বা শুক্তো— বেশি তেতো স্বাদ মোটেই ভাল লাগে না। তেতো খাবারের তিক্ততা কমানোর উপায় হল নুন। করলা, উচ্ছে কাটার পরে নুন, হলুদ মাখিয়ে রেখে দিন। নুন জল টেনে বার করবে। সব্জি থেকে সেই জল ছেঁকে নিলেই তেতো ভাব কমে যাবে।
৪। আলু বা ডিম সেদ্ধ করছেন। একটু নুন ছড়িয়ে দিন। ডিমের খোসা হোক বা আলুর খোসা— চট করে উঠে যাবে। খোসা ছাড়ানো নিয়ে বেগ পেতে হবে না।
৫। সব্জি ভাপানোর সময় অল্প নুন যোগ করলেও, তার রং ঠিক থাকে। জলে সামান্য নুন ফেলে সব্জি ভাপিয়ে নিন বা সেদ্ধ করুন, সব্জির রং অনেক বেশি সুন্দর থাকবে।