প্রসূতির মৃত্যুতে ধুন্ধুমার বহরমপুর মেডিক্যালে

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে মারা যান সীমা মণ্ডল (২৪)। তাঁর বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের কিশোরপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বহরমপুর শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৫ ০১:৩৪
Share:

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে মারা যান সীমা মণ্ডল (২৪)। তাঁর বাড়ি নদিয়ার করিমপুরের কিশোরপুরে।

Advertisement

অভিযোগ, এ দিন সকালে হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই সীমাদেবী অসুস্থ হয়ে মারা যান। ঘটনার পর মৃতার পরিজনেরা হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। এই ঘটনায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করেছেন। মেডিক্যাল কলেজের সুপার তথা সহ-অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’’

রবিবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সীমাদেবীকে মেডিক্যাল কলেজের মাতৃসদনে ভর্তি করানো হয়। সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের তিনি শিশুকন্যার জন্ম দেন। জন্মের পরেই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় এসএনসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়। অস্ত্রোপচারের পরে সীমাদেবী অবশ্য সুস্থই ছিলেন। এমনটাই অন্তত দাবি তাঁর পরিবারের লোকজনের।

Advertisement

সীমাদেবীর ভাই সুখেল মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘এ দিন সকালে এক জন নার্স ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই দিদি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তার কিছুক্ষণ পর নিস্তেজ হয়ে মারা যায়। সেই সময় ডাকাডাকি সত্ত্বেও কোনও চিকিৎসক আসেননি।’’ ঘটনার পরই মৃতের পরিবারের লোকজন হাসপাতালের জানালা-দরজার কাচ ভেঙে দেয়। এমনকী নার্সদের ঘরের টেবিল
উল্টে দেয়।

বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতি ও সদ্যোজাত শিশু মৃত্যু কোনও নতুন ঘটনা নয়। মাস খানেক আগে বহরমপুর থানার বাজারপাড়ার এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। সেই ঘটনাতেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মৃতার বাড়ির লোকজন। সেই ঘটনাতেও চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। মৃতার বাড়ির লোকজন হাসপাতালে তছনছ করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন