Kitchen Decor

রান্নাঘরের কোন কোন অংশে প্রথমে চোখ পড়ে অতিথিদের? সম্মানহানি হওয়ার আগেই পাল্টে নিন

রোজ একই জিনিস দেখলে চোখ সয়ে যায়। কোনও পরিবর্তন বা বিশেষ চরিত্র চোখে পড়ে না। জানেন কি, আপনার অতিথিরাই কিন্তু আসল পরীক্ষক বা বিচারক? হেঁশেলের কোন কোন অংশে অতিথিদের নজর যায় অথবা কোন দিকে মন যায় শুরুতেই? জেনে নিয়ে আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখতে পারেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৫৩
Share:

অতিথি আপ্যায়নের আগে রান্নাঘর গুছিয়ে নিন। ছবি: সংগৃহীত।

প্রতি দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা রান্নাঘরে সময় কাটে? রোজ নিজের হেঁশেল দেখতে দেখতে চোখ সয়ে যেতে পারে। ফলে আলাদা করে আর সেই ঘরটির কোনও খুঁত চোখে পড়ে না। তাই পরিষ্কার করা বা নতুন ভাবে সাজানোর কথাও মাথায় আসে না। কিন্তু জানেন কি, আপনার অতিথিরাই কিন্তু আসল পরীক্ষক বা বিচারক? বিশেষ করে খানাপিনার আয়োজন করলে তাঁদের চোখে এমন অনেক কিছুই পড়ে, যা আপনার চোখ এড়িয়ে যায়। হেঁশেলের কোন কোন অংশে অতিথিদের নজর যায় অথবা কোন দিকে মন যায় শুরুতেই? জেনে নিয়ে আগেভাগে পরিষ্কার করে রাখতে পারেন।

Advertisement

১. রান্নাঘরের গন্ধ: সদ্য রান্না করা পদের গন্ধে খিদে চাগাড় দিয়ে ওঠে বটে। কিন্তু আগের দিনের পেঁয়াজ-রসুনের গন্ধ, সিঙ্কের এঁটো বাসন, ফ্রিজের গুমোট ভাব অতিথিকে বিব্রত করে। আপনি হয়তো অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন বলে খেয়াল করেন না। কিন্তু অতিথিদের খারাপ ধারণা হতে পারে। তাই রান্না করার পরই জানলা খুলে দিন, লেবুর জল ফুটিয়ে নিন, আর ফ্রিজে রাখুন বেকিং সোডা। এই টোটকাগুলিতে দুর্গন্ধ উধাও হয়ে যেতে পারে।

সিঙ্ক অপরিষ্কার রাখবেন না। ছবি: সংগৃহীত।

২. সিঙ্ক এবং তার চারপাশ: অনেকেই ভাবেন, এঁটো বাসন রাখা হয় মানেই এলাকাটি নোংরা। কিন্তু ভাবনায় ছোট্ট পরিবর্তন আনা উচিত। এঁটো বাসন রাখা হয় না, সিঙ্কে বাসন পরিষ্কার করা হয়। ফলে সে জায়গাটির স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি। সিঙ্কে জমে থাকা থালা, ভেজা স্পঞ্জ, ছড়ানো বাসনপত্র, এ সবই অতিথিদের নজরে পড়ে দ্রুত। রান্নাঘর যতই সুন্দর হোক, সিঙ্ক নোংরা থাকলে গোটা জায়গার আবহেই খারাপ প্রভাব পড়ে। অতিথিদের ঘৃণাও তৈরি হতে পারে ময়লা দেখে। তাই অতিথি আসার আগে বাসন ধুয়ে, সিঙ্ক পরিষ্কার করে, স্পঞ্জ নিংড়ে শুকিয়ে রাখুন।

Advertisement

৩. কাউন্টারটপের সজ্জা: হাতের কাছে সব জিনিস রেখে দেওয়ার প্রবণতা থাকলে, সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চলে কাউন্টারটপের উপর। কাউন্টারটপে খুব বেশি বোতল, কাপ, কৌটো, যন্ত্রপাতি রাখলে রান্নাঘর অগোছালো দেখায়। অতিথিরা ভাবেন, জায়গাটি ছোট। কিন্তু আসলে ভুল রয়ে গিয়েছে জায়গায় ব্যবহারে। তাই কাউন্টারটপে শুধু অতি প্রয়োজনীয় দু’একটি জিনিসই রাখুন। বাকিগুলির জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ করে রাখুন।

৪. আলো: বদ্ধ, কম আলো-হাওয়া খেলে, এমন রান্নাঘরে প্রাণবন্ত ভাব কম। আবার যদি খুব বেশি উজ্জ্বল হয়, তা হলেও চোখে লাগে। তাই স্নিগ্ধ, উষ্ণ আলো দিয়ে সাজালে রান্নাঘর খুব সহজেই অতিথিবান্ধব হয়ে ওঠে। ক্যাবিনেটের নীচে লাইটের স্ট্রিপ লাগিয়ে দিলে বা খাওয়ার টেবিলে সুন্দর আলো ঝুলিয়ে দিলে আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে জায়গাটি।

৫. বসার বন্দোবস্ত: অতিথি আপ্যায়নে রকমারি খাবার রান্না করছেন। রাঁধতে রাঁধতে গল্পও করছেন। এ দিকে বসার জন্য যথেষ্ট জায়গা নেই। ফলে রান্নাঘরে গিয়ে স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না অতিথিরা। দামি, রাজকীয় ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই, কিন্তু টেকসই, সুন্দর, আরামদায়ক চেয়ার বা টুল রাখলে রান্নাঘরের আবহ পাল্টে যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement