কেন হয় এই ঘমাচি? কী করে ঠেকাবেন?

গরমকালে যেন বিব্রত করতেই ঘামাচির জন্ম। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে মিলিয়ারিয়া বলা হয়। এটি একটি ঘর্মগ্রন্থির রোগ। এই মরসুমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বের হয়। অতিরিক্ত ঘাম ঘর্মগ্রন্থি দিয়ে বের হয়ে ত্বকের নিচে এসে জমা হতে থাকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৬ ১১:১৫
Share:

গরমের দিনে শুরু হয় ত্বকের নানা রকম সমস্যা। এই সময়ে শরীরের ঘামে ময়লা জমে। জন্ম নেয় ঘামাচি, র‌্যাশ, অ্যালার্জি।

Advertisement

গরমকালে যেন বিব্রত করতেই ঘামাচির জন্ম। চিকিৎসা বিজ্ঞানে একে মিলিয়ারিয়া বলা হয়। এটি একটি ঘর্মগ্রন্থির রোগ। এই মরসুমে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে ঘাম বের হয়। অতিরিক্ত ঘাম ঘর্মগ্রন্থি দিয়ে বের হয়ে ত্বকের নিচে এসে জমা হতে থাকে। কিছু সময় পরে ঘামভর্তি ছোট ছোট ফুসকুরিতে পরিণত হয়ে ফুলে উঠে। এটাই হচ্ছে ঘামাচি। ঘামাচি তিন ধরনের হয়।

মিলিয়ারিয়া-কৃস্টালিনা ধরনের ঘামাচি দেখতে প্রায় স্বাভাবিক বলেই মনে হয়। সাধারণত কোনো উপসর্গ থাকে না।

Advertisement

দ্বিতীয়টি মিলিয়ারিয়া-রুবরার ক্ষেত্রে ঘর্মনালীতে বদ্ধতা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে ত্বকের ওপরে ছোট ছোট অসংখ্য গোটা হতে দেখা যায়। গোটার মাথায় পানির দানা থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে। ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে আপেক্ষিকভাবে লালচে রঙের দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে প্রচণ্ড চুলকানি থাকে। শরীরের মূল অংশ অর্থাৎ বুক, পিঠ ও ঘাড়ে বেশি হতে দেখা যায়।

তৃতীয়টি বা মিলিয়ারিয়া প্রফান্ডা এর ক্ষেত্রে ঘর্মনালীর বদ্ধতা থাকে ত্বকের অনেক গভীরে। ফলে ত্বক দেখতে অনেকটা স্বাভাবিক ধরনের বলে মনে হতে পারে।

এ তিনটির মধ্যে দ্বিতীয়টির আক্রমণ হয় বেশি তীব্র। গরম ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় এ রোগ বেশি হয়। তেল মাখলে এ রোগের তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। যারা এ রোগে ভুগছেন তারা গরম আর্দ্র ও আবদ্ধ পরিবেশ এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন।

আরও পড়ুন: মাখার আগে একটু থামুন, এই বিউটি প্রোডাক্টগুলি কিন্তু বিষ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন