ছবি: সংগৃহীত।
হাতঘড়ির সাহায্যেই এ বার দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন দৃষ্টিহীনরা! দুনিয়ার প্রথম ব্রেল স্মার্টওয়াচের মাধ্যমেই তা সম্ভব হবে। আগামী মার্চেই এমন ‘ঘড়ি’ বাজারে আনছে দক্ষিণ কোরীয় সংস্থা ‘ডট’। এই স্মার্টওয়াচ দিয়ে মেসেঞ্জারের মতো যে কোনও অ্যাপের সাহায্যে কথাবার্তা চালানো যাবে। এমনকী, গুগ্ল ম্যাপের সঙ্গে কানেক্ট করে মিলবে রাস্তাঘাটের হদিশও।
কী ভাবে কাজ করবে এই ঘড়ি?
‘ডট’ জানিয়েছে, ব্লুটুথের সাহায্যে এই ঘড়ি কানেক্ট করা যাবে যে কোনও স্মার্টফোনের সঙ্গে। ফলে সেই ফোন থেকে মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপের সাহায্যে সহজেই মেসেজ ঢুকবে এই ঘড়িতে। এই ঘড়ির উপরে রয়েছে চারটি ব্রেল সেল। প্রতিটিতে ছ’টা করে বল রয়েছে। ওই বলগুলি আসলে ব্রেল-এর এক একটি অক্ষর। এ বার ওই বলগুলিই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অপরকে মেসেজ পাঠানো যাবে। কতটা দ্রুতগতিতে তা করা যাবে তা-ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ব্যবহারকারী। ঘড়ির পাশের বাটনগুলি দিয়েও মেসেজ পাঠানো যাবে।
আরও পড়ুন
‘মেদ’ ঝরিয়ে নস্ট্যালজিয়া নিয়ে ফিরল ৩৩১০
স্মার্টফোন থেকে মেসেঞ্জারের মতো অ্যাপের সাহায্যে সহজেই মেসেজ ঢুকবে এই ঘড়িতে। ছবি: সংগৃহীত।
২০১৪ থেকেই এ ধরনের ঘড়ি তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ‘ডট’। প্রাথমিক ভাবে আগামী মার্চ থেকে এই স্মার্টওয়াচ বিক্রি হবে লন্ডনের বিভিন্ন দোকানে। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চলতি বছরেই এ ধরনের ১ লক্ষ ঘড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তাদের। ইতিমধ্যেই ২০১৮-র জন্য ৪০ হাজার ঘড়ি তৈরি করে ফেলেছে ‘ডট’।
দৃষ্টিহীনদের জন্য বাজারে আগেই বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ডিভাইস ছিল। তবে তাতে মেসেজ আসত অডিও-তে। ফলে তা শোনার জন্য কানে দিতে হত হেডফোন। এমনকী, অনেক সময় প্রকাশ্যেই সেই মেসেজ শুনতে হলে তা আর গোপন থাকত না। তা ছাড়া, এ ধরনের ঘড়ির দামও যেমন বেশি তেমনই তা বেশ বড়সড় ও ভারী হত। বিশ্বের ২৮.৫ কোটি দৃষ্টিহীনের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশই এ ধরনের ঘড়ি ব্যবহার করতেন।
আরও পড়ুন