আলিপুরদুয়ার হাসপাতাল পরিদর্শনে স্বাস্থ্য অধিকর্তা

আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী। মঙ্গলবার সকালে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি। কুমারগ্রাম ব্লকেই ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০১৪ ০২:২১
Share:

আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী। মঙ্গলবার সকালে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন তিনি। কুমারগ্রাম ব্লকেই ম্যালিগন্যান্ট ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন বাসিন্দা।

Advertisement

জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা প্রকাশ মৃধা বলেন, “হাসপাতালগুলির শয্যাসংখ্যা বাড়ানো-সহ নানা উন্নয়নমূলক বিষয় খতিয়ে দেখতে স্বাস্থ্য-অধিকর্তা এলাকা পরিদর্শন করলেন। মুখ্য স্বাস্থ্যআধিকারিক জানান, আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালকে জেলা হাসপাতালে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। শীঘ্র তা নিয়ে নির্দেশ জারি হবে। আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে কম চিকিৎসক থাকায় অসুবিধে হচ্ছে বলে এ দিন স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে জানান, অভিভাবক মহলের সম্পাদক ল্যারি বসু। এছাড়াও হাসপাতালে এক্সরে ও ইসিজি মেশিন বন্ধ রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর ।

তবে কুমারগ্রামে ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকাকে দূষেছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, সরকারি ঠিক সময়ে ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেয়নি। কুমারগ্রামের আরএসপি বিধায়ক মনোজ কুমার ওঁরােওর অভিযোগ, “মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ আগেই শুরু করা উচিত ছিল। যখন রোগের প্রকোপ শুরু হয় তখন স্বাস্থ্য দফতরের টনক নড়ে।” কুমারগ্রামের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু ঠাকুর দাবি করেন, “ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে সারা ব্লকে বাসিন্দাদের সচেতন করা-সহ ডিডিটি স্প্রে কাজ শুরু করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি সমীক্ষা হচ্ছে। দ্রুত মেডিক্যাল ক্যাম্প বসানোর কাজ শুরু করা হচ্ছে।” এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তার পরে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। তিনি আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালটিও ঘুরে দেখেন।

Advertisement

ফিরল অনুপ্রবেশকারীরা। জেলবন্দি ১১ জন অনুপ্রবেশকারী কিশোরকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তের ঘটনা। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হয়। বিএসএফ এবং বাংলাদেশের সীমান্ত বাহিনী বিজিবির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। গত ৪ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে সীমান্তের চোরাপথ দিয়ে এপারে ঢোকার অভিযোগে ওই কিশোরেরা ধরা পড়ে জেলে ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন