প্রথমে সাসপেন্ড হ’ন সুপার, তারপর অধ্যক্ষ। এ বার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৯জন ডাক্তারের বদলির নির্দেশ এল। শুক্রবার বিকেলে ওই নির্দেশ এসে পৌঁছয়।
মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারদের একাংশের অভিযোগ, সুপার ও অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করা নিয়ে সরব হয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন অব হেল্থ সার্ভিস ডক্টরস। হাসপাতালের নানা জায়গায় পোস্টার সাঁটা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুলও পোড়ানো হয়। সেই জন্য ওই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ডাক্তারদের বদলি করা হচ্ছে। ওই সংগঠনের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ইউনিটের সভাপতি শঙ্করপ্রসাদ কবিরাজ, সম্পাদক পার্থসারথি ঘোষ এবং যুগ্ম সম্পাদক ভাস্কর রায়, তিনজনকেই বদলি করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে শঙ্করবাবু অবশ্য কলকাতায় বদলির আবেদন করে রেখেছিলেন।
শনিবার বদলির খবর জানাজানি হতেই সংগঠনের সদস্যদের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বদলির নিয়ম থাকলেও কোনও কর্মী-সংগঠনের নেতাদের এ ভাবে একযোগে সরিয়ে দেওয়া নৈতিক ভাবে ঠিক নয়।
অধ্যক্ষ সমীর ঘোষ রায়ের দাবি, “এ সমস্তই নিয়ম মাফিক বদলির মধ্যে পড়ে। অন্য কোনও ব্যাপার নেই।” রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক-অধ্যাপকদের বদলি করা হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় আবার এই বদলির খবর স্বীকারই করেননি। তিনি একাধিকবার বলেন, “কোনও চিকিৎসককে বদলি করা হয়নি।” আন্দোলনের জেরেই বদলি কিনা, তার উত্তরে তিনি বলেন, “হাতে গোনা ক’জন চিকিৎসক কুশপুতুল দাহ করল কি না, তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর মাথা ঘামাতে চায় না।” হাসপাতালে পোস্টার সাঁটা নিয়েও বিধি নিষেধ জারি করেছেন কর্তৃপক্ষ। কোথাও পোস্টার হোর্ডিং লাগানো যাবে না বলে তাঁরা এ দিন নোটিস দিয়েছেন। দু’দিন আগে জুনিয়র চিকিৎসক এবং ছাত্রদের একাংশও সুপার এবং অধ্যক্ষকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে পোস্টার লাগিয়েছিলেন। পোস্টার লাগানোয় নিষেধাজ্ঞা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উপরে আঘাত বলে দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের।