উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাতকে বাঁচাতে লড়াই

শহরের অনাথপল্লী এলাকায় মুজনাই নদীর ধার থেকে উদ্ধার করা এক সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন জলপাইগুড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকমীরা। রবিবার সকালে শিশুটিকে উদ্ধারের পর প্রথমে ফালাকাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪১
Share:

শহরের অনাথপল্লী এলাকায় মুজনাই নদীর ধার থেকে উদ্ধার করা এক সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন জলপাইগুড়ি হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকমীরা। রবিবার সকালে শিশুটিকে উদ্ধারের পর প্রথমে ফালাকাটা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকাল থেকে শিশুটির শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। নিউমোনিয়া ধরা পড়ায় তাকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ফালাকাটা হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণীর মহিলা কর্মীরাই শিশুটিকে জলপাইগুড়ি নিয়ে যান।

Advertisement

ফালাকাটা হাসপাতালের বি এম ও এইচ সুমন রুদ্র বলেছেন, “ওই শিশুটিকে সুস্থ করে তুলতে যে ধরণের ব্যবস্থা থাকা দরকার তা আমাদের এই হাসপাতালে নেই। সে কারণে আমরা তাকে দ্রুত জলপাইগুড়ি পাঠিয়ে দিয়েছি। বিকালে তাকে জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।” জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার পার্থ দে বলেছেন, “শিশুটির শ্বাস কষ্ট রয়েছে। তাকে এসএমসিইউ তে ভর্তি করানো হয়েছে। তাকে সুস্থ করে তুলতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাব। শিশুটির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখার জন্য চিকিৎসক ও কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” বিষয়টি জেনেছেন ফালাকাটা লাগোয়া কোচবিহার জেলার মাথাভাঙার বিধায়ক রাজ্যের বন মন্ত্রী বিনয় বর্মন। তিনি বলেন, “শিশুটিকে যে কোনও ভাবে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালানো হবে।”

হাসপাতাল সূত্রের খবর, সদ্যোজাত শিশুটির শরীরে কাদা মাটি মাখিয়ে ফেলে রাখা হয়েছিল। এতেই সে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয় বলে চিকিৎসকরা মনে করছেন। রবিবার দুপুরে বাড়ির পেছনে নদীর ধার থেকে কান্নার আওয়াজ পান মমতা তরফদার নামে এক গৃহবধূ। তিনি প্রতিবেশীদের ডেকে আনেন। তাঁরাই শিশুটিকে উদ্ধার করে ফালাকাটা হাসপাতালে নিয়ে যান। সদ্য মা হওয়া এক বধূ শিশুটিকে দুধ খাওয়ান। রবিবার ও সোমবার সকাল পর্যন্ত নার্সদের কোলে চড়ে ঘুরেছে সে। বেলা বাড়তেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিডিও কৃষ্ণকান্ত ঘোষ বলেন, “সোমবার পর্যন্ত শিশুকন্যাটির মায়ের কোনও খোঁজ আমরা পাইনি। এ বিষয়ে থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি করা হয়েছে।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement