এক বিছানায় দুই রোগী

বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে গত এক মাস ধরে শরীরে যন্ত্রণা ও মারাত্মক জ্বর নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের মধ্যে গত মাসেই ছ’জনকে ডেঙ্গি রোগী বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। অবস্থা বাড়াবাড়ি হওয়ায় এমন দুই রোগীকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরও করতে হয়। ফের গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সন্দেহজনক দু’জন ডেঙ্গি রোগী ভর্তি হয়েছেন বিষ্ণুপুরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০০:৩০
Share:

বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে গত এক মাস ধরে শরীরে যন্ত্রণা ও মারাত্মক জ্বর নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের মধ্যে গত মাসেই ছ’জনকে ডেঙ্গি রোগী বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। অবস্থা বাড়াবাড়ি হওয়ায় এমন দুই রোগীকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরও করতে হয়। ফের গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সন্দেহজনক দু’জন ডেঙ্গি রোগী ভর্তি হয়েছেন বিষ্ণুপুরে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, সোনামুখীর পাথরমোড়া গ্রাম থেকে বুধবার এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন রূপালি রায়। বেসরকারি ক্লিনিকে তাঁর রক্তের পরীক্ষায় সন্দেহজনক ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। আলাদা বিছানায় মশারি টাঙ্গিয়ে চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। কিন্তু ওই ওয়ার্ডেই বুধবার সকালে বিষ্ণুপুরের কাটানধার এলাকা থেকে এসে ভর্তি হয়েছেন লক্ষ্মী গোস্বামী নামে এক মহিলা। বেসরকারি ক্লিনিকে পরীক্ষায় তাঁর রক্তেও মিলেছে সন্দেহজনক ডেঙ্গির জীবাণু। তাঁকে যে বিছানায় রাখা হয়েছে সেই একই বিছানায় গাদাগাদি করে আছেন আরও এক সাধারণ জ্বরের রোগী পূর্ণিমা মান্ডি।

পূর্ণিমাদেবী বলেন, “আমি মঙ্গলবার থেকে ভর্তি। অথচ আমার বিছানায় দিয়ে দেওয়া হল সন্দেহজনক ডেঙ্গি রোগীকে। তাঁকে মশারির ভেতরে রাখার কথা। তাও নেই। বেশ ভয়েই আছি।” ওই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা অন্যান্য রোগীর আত্মীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মশার কামড় থেকে ওই রোগ ছড়ায়। অথচ মশারি ছাড়াই অন্যান্য রোগীদের মধ্যে কী ভাবে ফেলে রাখা হয়েছে ওই রোগীকে। ভাবলেই শিউরে উঠছি।’’ এ দিনই ভর্তি হওয়া লক্ষ্মী গোস্বামীর মা মালতি দেবী বলেন, “হাসপাতাল থেকে মশারি চেয়েছিলাম। ওরা বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে বলেছেন। আলাদা করে বিছানাও দেওয়া হয়নি।”

Advertisement

হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার তড়িৎকান্তি পাল বলেন, “বেসরকারি ক্লিনিকের রক্ত পরীক্ষায় এনএস১ উল্লেখ থাকা মানেই ডেঙ্গি নয়। আরও অনেক পরীক্ষা দরকার। সন্দেহজনক তালিকায় রেখে ওই দু’জনের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবে ওই রোগী মশারি কেন পাননি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ তিনি জানান, এখানে রোগীর তুলনায় শয্যা সংখ্যা কম। তবু তাঁকে যাতে আলাদা শয্যার ব্যবস্থা করা যায় সেদিকটিও দেখা হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। বিষ্ণুপুর স্বাস্থ্য জেলার সিএমওএইচ রমেন্দ্রনাথ প্রামাণিক বলেন, “ওই দুই রোগীকে এখনই ডেঙ্গি আক্রান্ত বলা যায় না। সন্দেহজনক বলা যেতে পারে। তাঁদের উপর নজর রেখে হাসপাতালে চিকিৎসা হচ্ছে। চিকিতসায় সাড়াও মিলছে বলে আমাদের কাছে খবর রয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন