পার্থপ্রতিম ও সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র।
কখনও মালবাজার বা বানারহাট, কখনও আলিপুরদুয়ার। কখনও ডুয়ার্সে জঙ্গল ঘেরা প্রত্যন্ত গ্রামে দিনভর ছুটে বেড়াচ্ছেন ওঁরা। হাতিয়ার বলতে কাঁধে ল্যাপটপ আর হাতে প্রজেক্টরের ব্যাগ। শুধু চিকিত্সায় যে ফল মিলবে না, বরং এনসেফ্যালাইটিসের মতো মারণ রোগের সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে হলে চাই এ রোগ সম্পর্কে যত দূর সম্ভব খোঁজ রাখা, তা বিলক্ষণ বুঝেছেন পেশায় চিকিত্সক পার্থপ্রতিম আর বানারহাট হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক সুকল্যাণ ভট্টাচার্য। তাই প্রচারের আলো থেকে দুরে থেকে মানুষকে সেই জানানোর কাজটাই করে যাচ্ছেন দু’জন। সম্পূর্ণ নিজেদের খরচে। প্রায় একমাস ধরে।
ডুয়ার্সের কথ্য ভাষায় নাগরিক সমাজ থেকে প্রান্তিক মানুষ সবাইকে বুঝিয়ে চলেছেন এনসেফ্যালাইটিস রোগের ভাইরাসের আচার আচরণ ও তার নিয়ন্ত্রণ কৌশল। কখনও কোনও ক্লাব অথবা স্কুলের দেওয়াল, কখনও নিজেদের বহন করা পর্দায় ছবি আর ভাষ্যপাঠের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলছেন রোগের উত্স ও তার প্রতিকার সংক্রান্ত নানান তথ্য। কারবালা, কেন্দাপাড়া, ক্যারন, তোতাপাড়া, ডামডিম এলাকার প্রান্তিক মানুষদের কাছ থেকে সাড়াও মিলছে ভাল। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির সিএমওএইচ (দ্বিতীয়) পূরণ শর্মা বলেন, “জাপানি এনসেফ্যালাইটিস কী ভাবে ছড়ায় সে সম্পর্কে ওঁদের প্রচারাভিযান প্রশংসনীয়।”
নিজেদের কাজ সম্পর্কে বানারহাট স্কুলের প্রধানশিক্ষক সুকল্যাণবাবু বলেন, “মানুষকে সচেতন করা লক্ষ্য।” এটাই প্রথম নয়, এর আগে যখন ডুয়ার্সে ডেঙ্গির প্রকোপ দেখা দিয়েছিল তখনও রোগ মোকাবিলায় রাস্তায় নেমেছিলেন তাঁরা। এ বার প্রকল্প করে ধূপগুড়ির প্রশাসনিক এবং স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বিষয়টি জানান। তার পরেই শুরু হয় তাঁদের প্রচারাভিযান। কাছাকাছি নানা এলাকায় যাতায়াত করার জন্য মোটর সাইকেলই ছিল ভরসা দু’জনের। দূরে যেতে হলে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে দেয় মালবাজার মহকুমা প্রশাসন ও রাজ্য চা উন্নয়ন পর্ষদ।