ওটি-কাণ্ড ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, প্রশ্ন সুপারের ভূমিকায়

তদন্ত রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বহিরাগত কাউকে সহকারী বানিয়ে ওটিতে ঢোকানো অবৈধ। চিকিৎসকের নির্দেশে যে সংস্থার কাছে সরঞ্জাম কেনা হয় তারা রোগীর পরিবারের থেকে মাত্রাতিরিক্ত টাকা নিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে এমন কাজের জন্য প্রয়োজনে পুলিশে অভিযোগ জানানোর কথা রিপোর্টে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৪ ০১:৫৫
Share:

তদন্ত রিপোর্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বহিরাগত কাউকে সহকারী বানিয়ে ওটিতে ঢোকানো অবৈধ। চিকিৎসকের নির্দেশে যে সংস্থার কাছে সরঞ্জাম কেনা হয় তারা রোগীর পরিবারের থেকে মাত্রাতিরিক্ত টাকা নিয়েছে। সরকারি হাসপাতালে এমন কাজের জন্য প্রয়োজনে পুলিশে অভিযোগ জানানোর কথা রিপোর্টে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ সোমবার ওই রিপোর্ট মেলার পরেও হাসপাতাল সুপার অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না চাওয়ায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ ব্যাপারে সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। জেনে বুঝে হাসপাতাল চত্বরে অন্যায় কাজে সুপার-ই মদত দিচ্ছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা।

Advertisement

হাসপাতাল সুপার অমরেন্দ্র সরকার নিজেই জানান, হাসপাতালের ওটিতে কাউকে ঢোকানো অন্যায়। দীর্ঘদিন ধরেই এটা চলে আসছে বলে তদন্তে জেরার সময় নার্স, ও টি ইনচার্জ, অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের একাংশ জানান। রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক শুভাশিসরঞ্জন মিত্র জানান, অস্ত্রোপচারে সাহায্যের জন্য সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থার লোককে দরকার হয়। সেই জন্য নির্মল মণ্ডল নামে ওই যুবককে ওটিতে নেওয়া হয়েছিল। ওই যুবক যে সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে তার দাম সব চেয়ে বেশি ৬ হাজার টাকা হতে পারে। অথচ ১৭ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানতেন না দাবি করেছেন। সুপার বলেন, “সরঞ্জাম সরবরাহের ক্ষেত্রে ওই সংস্থার লোকদের সঙ্গে যোগসাজশের বিষয়টি তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রমাণ করা শক্ত। অবৈধ হলেও ওটিতে সরঞ্জাম সরবরাহকারী সংস্থার কাউকে নেওয়ার রীতি রয়েছে। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া মুশকিল। বেশি দাম নেওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ হয়েছে। পুলিশ দেখছে।”

সুপারের বক্তব্য সমালোচনা করে স্বেচ্ছাসেবীদের পক্ষে পীষূষকান্তি রায় বলেন, “হাসপাতাল সুপারের মন্তব্য হাস্যকর। অন্যায় কাজ দীর্ঘদিন হচ্ছে বলে তিনি অভিযুক্তকে ছাড় দিতে চান শুনে অদ্ভুত লাগছে। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানানো উচিত। তা না করে সুপার অভিযোগ আড়াল করতে চাইছেন।” শীঘ্রই এর প্রতিবাদে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন। ১৪ মে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ভর্তি কদমতলার ভারতী দাসের কোমরে অস্ত্রোপচার হয়। চিকিৎসক শুভাশিসরঞ্জন মিত্রের নির্দেশে অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামের জন্য নির্মল মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিবারের লোকেরা। তাঁরা জানতে পারেন ৫ হাজার টাকার সরঞ্জামের জন্য ১৭ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মমতার নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি

মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ওষুধের ‘জেনেরিক’ নাম না লিখলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রীর শাখা সচিবালয় কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিঙের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ওই কড়া বার্তা দেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, হাসপাতালের ফেয়ার প্রাইস শপ নিয়ে আলোচনায়, সেগুলির সম্পর্কে খোঁজ খবর শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই দোকানে অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement