আড়াই মাস আগে গল ব্লাডারে অস্ত্রোপচার হয়েছিল এক প্রৌঢ়ের। খাতড়া থানার পেড়িপাথর গ্রামের বাসিন্দা সতীশ সিংহ সর্দার নামে ওই প্রৌঢ়ের ‘লিভার টিউবে’ সম্প্রতি ক্যানসার ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় খাতড়া মহকুমা হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক রবার্ট বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে সতীশবাবুর পরিবার। সোমবার সতীশবাবুর ছেলে অনন্ত সিংহ সর্দার হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। ওই চিকিৎসক অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
হাসপাতাল সুপার রমেশ কিস্কু বলেন, “বিষয়টি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বয়ং দেখছেন।” বাঁকুড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “আমি নিজে অভিযোগের তদন্ত করছি। তদন্তে চিকিৎসকের গাফিলতি প্রমাণিত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ছর পঞ্চাশের সতীশবাবু দিনমজুরি করতেন। মাস চারেক আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে তিনি খাতড়া হাসপাতালে ভর্তি হন। পরীক্ষায় তাঁর গল ব্লাডারে পাথর ধরা পড়ে। তাঁর ছেলে অনন্ত বলেন, “চিকিৎসক রবার্টবাবু অস্ত্রোপচারের জন্য বাবাকে বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। গত ৫ ডিসেম্বর ওই বেসরকারি হাসপাতালেই বাবার গল ব্লাডারে অস্ত্রোপচার করেন ওই চিকিৎসক।” তিনি জানান, অস্ত্রোপচারের পর থেকেই সতীশবাবু ক্রমশ আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সম্প্রতি সিটি স্ক্যানে তাঁর লিভারে ক্যানসার ধরা পড়ে। অনন্তের অভিযোগ, “অস্ত্রোপচারের সময় নিশ্চয় গাফিলতি ছিল। তার জন্যই বাবা ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় একমাস ধরে বাবা খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।”
শল্য চিকিৎসক রবার্ট বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, “ওই ব্যক্তির রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বিমা যোজনার কার্ড রয়েছে। তাই, বেসরকারি হাসপাতালেও বিনা পয়সায় তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। তা সফলও হয়। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ঠিক নয়।” তাঁর বক্তব্য, অস্ত্রোপচারের আড়াই মাস পরে সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। তাতে লিভারে ক্যানসার (চিকিৎসা পরিভাষায় ‘কোলানজিও কার্সিনোমা’) ধরা পড়েছে। এতে আমার কোন দোষ নেই।”