জ্বরের রোগীর তথ্য আসেনি ৪৮ ঘণ্টাতেও

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কোথায়, কত জাপানি এনসেফ্যালাইটিস (জেই) বা অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোমের (এএইএস) রোগী আছেন —সে রিপোর্ট ৪৮ ঘণ্টাতেও তৈরি হল না। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বৃহস্পতিবার ওই রিপোর্ট তৈরি করার কথা জানান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৫ ০২:৫২
Share:

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কোথায়, কত জাপানি এনসেফ্যালাইটিস (জেই) বা অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস সিনড্রোমের (এএইএস) রোগী আছেন —সে রিপোর্ট ৪৮ ঘণ্টাতেও তৈরি হল না।

Advertisement

উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব বৃহস্পতিবার ওই রিপোর্ট তৈরি করার কথা জানান উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে। রিপোর্ট তৈরির কথা ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। রিপোর্ট পেলে তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে উত্তরবঙ্গে জেই বা এইএস-এর টিকা যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ করা হয়, তা নিয়ে তদ্বির করবেন বলেও জানান গৌতমবাবু। শনিবার ফের বৈঠক হয়। মন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘বিভিন্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট তৈরি করতে একটু সময় লাগছে।’’ তিনি জানান, ২৮ জুলাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই রিপোর্ট তৈরি করে দেবেন। রিপোর্ট পেলেই টিকার ব্যবস্থা করতে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী।

এ দিন ফের এইএস-এ এক রোগিণীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তাঁর নাম সহেরা বানু (২০)। ২৩ জুলাই জ্বর এবং খিঁচুনির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি করানো হয় জলপাইগুড়ির ওই তরুণীকে। তাঁকে নিয়ে এ বছর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে জ্বর ও খিঁচুনির উপসর্গ নিয়ে আসা ৪১ জনের মৃত্যু হল। তাঁদের মধ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে জেই-তে।

Advertisement

দেশে এ বারই প্রথম বয়স্কদের জেই-প্রতিষেধক টিকা দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গের আটটি ব্লকে মোট ১০ লক্ষ ৭০ হাজার বাসিন্দাকে টিকা দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে আছে আলিপুরদুয়ার জেলার আলিপুরদুয়ার ১ এবং ২, কালচিনি এবং ফালাকাটা, জলপাইগুড়ির মালবাজার ও নাগরাকাটা, দার্জিলিঙের মাটিগাড়া, নকশালবাড়ি ও খড়িবাড়ি। তবে টিকার অভাবে উত্তরবঙ্গের বাকি ৪৬টি ব্লকে এখনও প্রতিষেধক দেওয়া সম্ভব হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন