গরমে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে জলবাহিত রোগের প্রকোপ। রোগীর ভিড়ের জন্য জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে দেখা দিয়েছে শয্যা সঙ্কট। এক শয্যায় দু’জন রাখা হচ্ছে। বহু রোগীর ঠাই মেঝেয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার থেকে ১৯ জন জলবাহিত পেটের রোগ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তাঁদের মধ্যে ৭ বছর থেকে ১০ বছর বয়সের সাত জন শিশু আছে। চিকিৎসকরা জানান, সাধারণত মে থেকে জুন মাসে ডায়রিয়ার মতো রোগের প্রকোপ দেখা যায়। এ বার গরমের জন্য এপ্রিল মাসেই জলবাহিত রোগের সমস্যা দেখা দিচ্ছে।
জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার জলপাইগুড়ি ও সংলগ্ন এলাকার সর্বচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি, শনিবার ৩৫ ডিগ্রি, রবিবার ৩৬ ডিগ্রি। চিকিসকদের মতে, এভাবে গরম বেড়ে চলায় রোদে চলাফেরা ও খেলাধুলার পরে খাবারের দিকে সতর্ক না থাকায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাঁদের নিদান, জলবাহিত রোগ থেকে রক্ষার জন্য বাইরের কাটা ফল, ফার্স্ট ফুড, ঠান্ডা পানীয় পান বন্ধ রাখতে হবে। হাল্কা খাবার খেতে হবে শিশুদের হাত-পা ভাল করে ধুয়ে খেতে দিতে হবে ডাবের জল অথবা নুন-চিনি মেশানো বেশি খেতে হবে।
জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের সুপার বলেন, উদ্বেগজনক না হলেও রোগের প্রকোপ যে বাড়ছে এটা বলা যায়। বাড়িতে সতর্ক থাকলে ওই রোগ এড়ানো সম্ভব। তবে উদ্বেগজনক না হলেও শিশুদের পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০ জনের মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই টিমে আছেন তিন জন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, তিন জন নার্স ও চার জন স্বাস্থ্য কর্মী। এ দিকে সাধারণ রোগীর পাশাপাশি জলবাহিত রোগীর ভিড় বেড়ে চলায় শয্যা সমস্যাও দেখা দিয়েছে। রবিবার বিভিন্ন ওয়ার্ডের এক শয্যায় দু’জন করে রোগী দেখা গিয়েছে, মেঝেতেও ছিল ভিড়, জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা জানান, সদর হাসপাতালে ৬৪০টি শয্যা রয়েছে। দৈনিক গড়ে দেড় হাজার রোগী আউটডোরে ভিড় করেন। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন রোগী ভর্তি হন। গরমে রোগীর চাপ দ্বিগুণের বেশি হয়। ওই কারণে শয্যার সমস্যা দেখা দেয়। সুপার এ দিন বলেছেন, “শয্যার সমস্যা মেটাতে আরও একটি ওয়ার্ড তৈরি করা হচ্ছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে সমস্যা থাকবে না।”