টুকরো খবর

দীর্ঘদিন আগে তৈরি হলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেখান থেকে পরিষেবা পাচ্ছিলেন না এলাকার বাসিন্দারা। অবশেষে শনিবার চালু হল বোলপুর থানার বাহিরী-পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের বড়-শিমুলিয়া গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা মত্‌স্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম, বোলপুরের বিডিও শমিক পানিগ্রাহী, বিএমওএইচ সব্যসাচী রায় প্রমুখ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৪ ০২:৪৩
Share:

চালু হল স্বাস্থ্যকেন্দ্র

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর

দীর্ঘদিন আগে তৈরি হলেও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেখান থেকে পরিষেবা পাচ্ছিলেন না এলাকার বাসিন্দারা। অবশেষে শনিবার চালু হল বোলপুর থানার বাহিরী-পাঁচশোয়া পঞ্চায়েতের বড়-শিমুলিয়া গ্রামের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রটি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তথা মত্‌স্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম, বোলপুরের বিডিও শমিক পানিগ্রাহী, বিএমওএইচ সব্যসাচী রায় প্রমুখ। বিএমওএইচ বলেন, “একজন চিকিত্‌সক, একজন নার্স থাকবেন এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে। স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজনীয় পরিষেবা তাঁরা স্থানীয় মানুষদের দেবেন। একটি জলের লাইন এবং রোগীদের ভিড়ের চাপ সামলাতে একটি সেড়ের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসন এবং মন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছি।” মন্ত্রী বলেন, “আপনাদের অভাব অভিযোগের কথা আমাদের জানান। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। এই এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল এখানে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র করা। সেই মতো শনিবার এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের উদ্বোধন হয়েছে।” প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মিত হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আসানসোল হাসপাতালে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা • আসানসোল

চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে আসানসোল জেলা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখালেন এক রোগীর আত্মীয়। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার পেটের যন্ত্রণা নিয়ে আসানসোল গ্রাম সংলগ্ন এলাকা থেকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক রোগী। প্রথমে যে চিকিৎসক তাঁকে দেখেন তিনি হাসাপাতালের শল্য চিকিৎসকের কাছে দেখানোর পরামর্শ দেন। রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বার বার ডাকা সত্ত্বেও হাসপাতালের কোনও শল্য চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। এরপরেই আসানসোলের প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলার সান্ত্বনা রায়ের নেতৃত্বে রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখান। সান্ত্বনাদেবীর অভিযোগ, “শল্য চিকিৎসকের জন্য কতর্ব্যরত নার্সদের কাছে জানানো হয়। নার্সরা বলেন, কলবুকের মাধ্যমে শল্য চিকিৎসককে বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি না এলে আমাদের কিছু করার নেই।” বিক্ষোভকারীদের আরও অভিযোগ, হাসপাতালের এক কর্তা তাঁদের বলেন সুপার অসুস্থ থাকায় তার দায়িত্বে রয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসক ললিত রায়। কিন্তু ললিতবাবু আবার জানান, তিনি অফিসিয়াল দায়িত্বে নেই। জেলা হাসপাতালের সুপার নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, “পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”

অসমেও ছড়াচ্ছে রোগ

অসমের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যাওয়া জাপানি এনসেফ্যালাইটিসের মোকাবিলায় তৎপর স্বাস্থ্য দফতর। আজ ফের বিলাসিপাড়ায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ওই রোগে মৃতের সংখ্যা ৩৭। জাপানি এবং অ্যাকিউট এনসেফ্যালাইটিস মিলিয়ে এ বছর মৃতের সংখ্যা ১৪০ ছাড়িয়েছে। অসমের ২৭টি জেলার মধ্যে ২৪টিতেই ছড়িয়েছে জাপানি এনসেফ্যালাইটিস। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ২৮০ জনের দেহে ওই জীবাণু মিলেছে। রোগ-নির্ণয়ে ১৩টি পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। শহর-গ্রামে মশা মারতে ধোঁয়া দেওয়ার (ফগিং) কাজও চলছে। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ, রাজ্যের মুখ্য সচিব জিতেশ খোসলা এবং স্বাস্থ্য দফতরের প্রধান সচিব সঞ্জীব কুমারকে উজানি ও নামনি অসমের জেলাগুলিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও মজবুত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন