ডাক্তার না থাকায় দুর্ভোগে রোগীরা, বাঁকুড়ায় বিক্ষোভ

প্রায় ন’মাস কোনও চিকিৎসক নেই। একজন ফার্মাসিস্ট ও দু’জন নার্স নিয়ে কোনও রকমে চলছে বাঁকুড়া- ২ ব্লকের মানকানালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে সোমবার সকাল ৮টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি-র কর্মীরা। স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্তারা এলে তাঁদেরও ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। এর জেরে এ দিন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০১৪ ০৩:০৪
Share:

প্রায় ন’মাস কোনও চিকিৎসক নেই। একজন ফার্মাসিস্ট ও দু’জন নার্স নিয়ে কোনও রকমে চলছে বাঁকুড়া- ২ ব্লকের মানকানালি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। চিকিৎসা পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবিতে সোমবার সকাল ৮টা থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি-র কর্মীরা। স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্তারা এলে তাঁদেরও ঘেরাও করে বিক্ষোভ চলে। এর জেরে এ দিন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ থাকে। শেষে বাঁকুড়া সদরের এসিএমওএইচ আশিস মণ্ডল গিয়ে আশ্বাস দেওয়ায় বিক্ষোভ ওঠে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মানকানালি গ্রাম পঞ্চায়েত ও লাগোয়া জুনবেদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরাট অংশের বাসিন্দারা এই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপরে নির্ভরশীল। বাসিন্দাদের অভিযোগ, চিকিৎসক না থাকায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পাওয়া যাচ্ছে না। ছোটখাটো সমস্যা হলেও প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ অথবা প্রায় আট কিলোমিটার দূরের ছাতনা ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটতে হচ্ছে। ফলে এ নিয়ে এলাকায় ক্ষোভ বেড়েছে।

এ দিন সকালে বিজেপির অন্যতম জেলা সম্পাদক মহাদেব রানার নেতৃত্বে শতাধিক দলীয় কর্মী চিকিৎসক নিয়োগ-সহ আরও কিছু দাবিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মূল দরজায় জমায়েত করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এর জেরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র খোলা যায়নি। খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে উপস্থিত হন বাঁকুড়া-২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমন পাল। বিক্ষোভকারীরা তাঁকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এরপর একে একে আসেন এসিএমওএইচ আশিস মণ্ডল, মহকুমাশাসক (বাঁকুড়া সদর) অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। বিক্ষোভকারীরা তাঁদেরও ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। আশিসবাবু বিক্ষোভকারীদের দাবিদাওয়া শুনে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসক আসবেন বলে আশ্বাস দেন। এর পর দুপুর ১টা নাগাদ বিক্ষোভ ওঠে।

Advertisement

বিজেপি নেতা মহাদেববাবুর ক্ষোভ, মানকানালির বাসিন্দারা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভর করেন। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় কোনও পরিষেবাই পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় ন’মাস ধরে এই সমস্যা চলছে। অথচ স্বাস্থ্য দফতর কোনও দৃষ্টিই দেয়নি। তাঁর দাবি, “এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত চিকিৎসক নিয়োগ করতে হবে। এ ছাড়া এখানে রোগী ভর্তির ব্যবস্থাও করতে হবে।” আশিসবাবু বলেন, “জেলায় চিকিৎসকের চাহিদা থাকলেও বাস্তবে কম চিকিৎসক রয়েছেন। তবে এখানে সপ্তাহে তিন দিন করে চিকিৎসক রাখার আশ্বাস দিয়েছি।” তিনি জানান, বিক্ষোভকারীদের দাবি গুলি নিয়ে তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বিজেপির জেলা সম্পাদক নীলাদ্রি শেখর দানা-র দাবি, “শুধু মানকানালিই নয়, সারা জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল খারাপ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির হাল ফেরাতে আমাদের আন্দোলন চলবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন