তাণ্ডবের পর অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণের ভাবনা পাড়ায়

ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলেও নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স নেই। পরিষেবা পেতে ভরসা সাংসদ ও বিধায়কদের তহবিল থেকে পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সগুলি। কিন্তু সেগুলির উপরে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের। মঙ্গলবার বিকেলে পাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকন্দ্রে সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার জেরে ভাঙচুরের ঘটনার পরে এই সমস্যা কী ভাবে মেটানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাড়া শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৪ ০২:২২
Share:

ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হলেও নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স নেই। পরিষেবা পেতে ভরসা সাংসদ ও বিধায়কদের তহবিল থেকে পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সগুলি। কিন্তু সেগুলির উপরে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের।

Advertisement

মঙ্গলবার বিকেলে পাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকন্দ্রে সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার জেরে ভাঙচুরের ঘটনার পরে এই সমস্যা কী ভাবে মেটানো যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে ব্লক প্রশাসন। মঙ্গলবারই এ নিয়ে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা করেন পাড়ার বিডিও সমীরণ বারিক। বুধবার তিনি বলেন, “মঙ্গলবার কিছু আলোচনা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ব্লকের রোগী কল্যাণ সমিতির সভায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করে কী ভাবে সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা যায় তা ঠিক করা হবে।”

মঙ্গলবার বাজ পড়ে দু’জনের মৃত্যু ও একজন আহত হওয়ার পরে আহতকে পাড়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে পুরুলিয়ায় স্থানান্তর করতে গিয়ে সময়মতো অ্যাম্বুলেন্সের চালককে না পাওয়ার ঘটনায় তুলকালাম বেধেছিল। .উত্তেজিত জনতা সাংসদ তহবিল থেকে পাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি ভাঙচুর করে। জনতার ছোড়া পাথরে জখম হন পাড়ার যুগ্ম বিডিও-সহ কিছু পুলিশকর্মী। তারপরেই অ্যাম্বুলেন্সের সমস্যা সামনে আসে।

Advertisement

বস্তুত অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করেই মঙ্গলবারের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল। রঘুনাথপুরের এসডিপিও পিনাকী দত্ত এ দিন বলেন, “খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে, একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁর পরিবার-সহ গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়াতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছিল। তারই জেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ঘটনা ঘটিয়েছিল জনতা।” বিডিওর বক্তব্য, “ঠিক সময়ে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া গেলে হয়তো ওই ঘটনা হত না।” তবে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের দাবি, দু’জনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। একজন আহত ছিলেন। তাঁকে পরে পুরুলিয়ায় পাঠানো হয়েছিল।

পাড়ার বিএমওএইচ শিবরাম হাঁসদা বলেন, “হাসপাতালে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স নেই। সাংসদ ও বিধায়কের তহবিল থেকে দেওয়া অ্যাম্বুলেন্স ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। কিন্তু সেগুলির উপরে সরাসরি আমাদের কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। নির্দিষ্ট ভাড়ার ভিত্তিতে চালকদের সঙ্গে কথা বলে সেগুলি নিতে হয় রোগীদের। ফলে মঙ্গলবারে অ্যাম্বুলেন্স না পাওয়ার ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কার্যত কিছু করার ছিল না।” তাঁর দাবি, ভবিষ্যতে এই ধরনের অবস্থা ফের যাতে না হয় তা এড়াতে এই সমস্যার সমাধান হওয়াটা জরুরি।.

অন্য দিকে, এ দিন শেষ পর্যন্ত মৃত শেখ লালা ও আমির কাজির দেহ ময়নাতদন্ত করানো দিয়েছে। মঙ্গলবার তাদের পরিবার ময়নাতদন্ত করাতে অসম্মত হয়ে মৃতদের বাড়ি হরিহরপুর গ্রামে দেহগুলি নিয়ে গিয়েছিল। তবে রাতের দিকে পুলিশ সেই গ্রামে গিয়ে মৃতদের পরিবার-সহ অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে দেহগুলি ময়নাতদন্ত করতে পাঠায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন