মেদিনীপুর মেডিক্যাল

তিন ওয়ার্ড মাস্টার ছুটিতে, দুর্ভোগ

কাজের ভার নেহাত কম নয়। হাসপাতালের দৈনন্দিন কাজকর্মের অনেকটাই ওয়ার্ড মাস্টারদের দেখভাল করতে হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সব মিলিয়ে ৭ জন ওয়ার্ড মাস্টার থাকার কথা। রয়েছেন ৫ জন। এঁদের মধ্যে আবার ৩ জন গিয়েছেন ছুটিতে। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে হাসপাতালে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার যুগল কর বলেন, “৫ জন ওয়ার্ড মাস্টারের মধ্যে তিনজন ছুটিতে রয়েছেন। এখন ২ জন কাজে রয়েছেন।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৪ ০২:৫৩
Share:

কাজের ভার নেহাত কম নয়। হাসপাতালের দৈনন্দিন কাজকর্মের অনেকটাই ওয়ার্ড মাস্টারদের দেখভাল করতে হয়। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সব মিলিয়ে ৭ জন ওয়ার্ড মাস্টার থাকার কথা। রয়েছেন ৫ জন। এঁদের মধ্যে আবার ৩ জন গিয়েছেন ছুটিতে। ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে হাসপাতালে। মেদিনীপুর মেডিক্যালের সুপার যুগল কর বলেন, “৫ জন ওয়ার্ড মাস্টারের মধ্যে তিনজন ছুটিতে রয়েছেন। এখন ২ জন কাজে রয়েছেন।” সমস্যা হচ্ছে না? সুপারের বক্তব্য, “তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির একাধিক কর্মীকে কিছু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা কিছু কাজকর্মও করছেন।”

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেদিনীপুরে ওয়ার্ড মাস্টারের পদ সব মিলিয়ে ৭টি। যখন জেলা হাসপাতাল ছিল, তখন থেকেই এই সংখ্যক পদ রয়েছে। বছর দশেক আগে জেলা হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত হয়েছে। তবে পদের সংখ্যা বাড়েনি। দীর্ঘদিন ধরে এখানে ৬ জন ওয়ার্ড মাস্টার ছিলেন। মাস কয়েক আগে ভক্তিপদ দাস অধিকারী নামে একজন ওয়ার্ড মাস্টার মেদিনীপুর থেকে কলকাতার এক হাসপাতালে বদলি হন। ফলে, সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় পাঁচ। এই ৫ জন ওয়ার্ড মাস্টারের মধ্যে ৩ জন ছুটিতে রয়েছেন। এঁরা হলেন রঞ্জন প্রামাণিক, সুশান্ত সরকার এবং অজিত মাইতি।

সুশান্তবাবু এবং অজিতবাবু মাস কয়েক বাদেই অবসর নেবেন। এঁদের ছুটি পাওনা রয়েছে। দু’জনই এখন ছুটিতে রয়েছেন। রঞ্জনবাবু এক দুর্ঘটনায় জখম হন। তিনিও ছুটি নিয়েছেন। ফলে, এখন কাজে রয়েছেন সঞ্জীব গোস্বামী এবং দিলীপ পলমল নামে বাকি দুই ওয়ার্ড মাস্টার। কেন এক সঙ্গে তিনজন ওয়ার্ড মাস্টারের ছুটি মঞ্জুর করা হল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে তাঁদের কিছু করণীয় নেই। ওই ৩ জন ওয়ার্ড মাস্টার নিয়মমাফিক আবেদন করেছিলেন। সমস্ত দিক খতিয়েই ছুটি মঞ্জুর করা হয়েছে।

Advertisement

ওয়ার্ড মাস্টাররা চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের ডিউটি রোস্টার তৈরি করেন। কর্মীরা ঠিকঠাক কাজ করছেন কি না, তাঁদের তার দেখভালও করতে হয়। সঙ্গে হাসপাতাল মর্গের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। ডেথ সার্টিফিকেটও ইস্যু করতে হয়। স্বাভাবিক ভাবে ওয়ার্ড মাস্টার সব সময় না থাকায় কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতাল সুপারের অবশ্য দাবি, “বড় কোনও সমস্যা হয়েছে বলে শুনিনি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন