হাসপাতালে পরিদর্শনে প্রতিনিধি দল
থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে পরিদর্শনে এলেন রাজ্য বিধানসভার পিটিশন কমিটি। এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ বিধানসভার সদস্যদের নিয়ে গঠিত ওই কমিটির প্রতিনিধিরা তমলুকে জেলা হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগ ও হাসপাতালে ভর্তি থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিকিৎসা ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন। প্রতিনিধি দলে বিধানসভার পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান দেবলীনা হেমব্রম ছাড়াও ছিলেন কমিটির সদস্য বিধায়ক অনুপ ঘোষাল, আবু আয়েশ মণ্ডল, রণজিৎ মণ্ডল, অনিল অধিকারী, বিশ্বজিৎ মণ্ডল, গৌরহরি মণ্ডল, সমীরকুমার পোদ্দার। দলের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য। এ দিন প্রতিনিধি দলের সদস্যদের কাছে জেলা হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগের পক্ষ থেকে জেলায় থ্যালাসেমিয়া রোগীদের চিহ্নিতকরণ, তাঁদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ-সহ বিভিন্ন কাজের বিষয়ে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়। এরপর তাঁরা চিকিৎসক ও থ্যালাসেমিয়া রোগীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সমস্যার কথা শোনেন।
থ্যালাসেমিয়া বিভাগের হিসেব অনুযায়ী, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে ২০১৩ সালের মার্চ মাসে আলাদা থ্যালাসেমিয়া ইউনিট চালুর পর থেকে থ্যালাসেমিয়া আছে কি না জানতে, ৫০১০ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬০০ জন থ্যালাসেমিয়া বাহক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। আর ১৯ জনকে থ্যালাসেমিয়া রোগী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। বর্তমানে জেলা হাসপাতালের থ্যালাসেমিয়া বিভাগের ডে-কেয়ার ইউনিটের মাধ্যমে ২৬৬ জন থ্যালাসেমিয়া রোগীকে নিয়মিত রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব অনুযায়ী, রাজ্যে বর্তমানে প্রায় ২০ হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী আছে। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে প্রচার চালানো, রোগীদের চিহ্নিত করে চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা নিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ও এবিষয়ে সমস্যার কথা জানার জন্য ওই কমিটির সদস্যরা রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করছেন। এ দিন প্রতিনিধি দল জেলা হাসপাতাল ছাড়াও হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালও পরিদর্শন করেন। বিধানসভার পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যান দেবলীনা হেমব্রম বলেন, “রাজ্যের অন্য কয়েকটি জেলার তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের অবস্থা ভাল। তবে এই ইউনিটের ব্যবস্থা যাতে আরও ভাল করা যায় সেজন্য আমরা চিকিৎসক, আধিকারিক, রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমস্যাগুলি জেনেছি। এবিষয়ে বিধানসভায় রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।”