আঁধারে হাসপাতাল।—নিজস্ব চিত্র।
প্রায় দেড় ঘণ্টা অন্ধকারে ডুবে থাকল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। অপারেশন থিয়েটারে রোগী ঢুকিয়েও বন্ধ রাখতে হল অস্ত্রপোচার। রাউন্ড দিতে গিয়ে চিকিৎসকদের ফিরে আসতে হল। সব থেকে সমস্যায় পড়লেন রোগীরা। স্যালাইন শেষ হয়ে গিয়েছে কিনা বোঝার উপায় নেই, বুক কেঁপে উঠলেও কাউকে ডাকার উপায় নেই, অগত্যা হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে চরম দুশ্চিন্তায়কাঁটা হয়ে পড়ে থাকা!
হঠাৎ কী ভাবে এমন হল? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, যে তার দিয়ে হাসপাতালে বিদ্যুৎ সংযোগ আসে তার তারে ত্রুটি থাকায় এই ঘটনা ঘটে যায়। বিদ্যুৎ দফতরকে জানানোর পরই তা ঠিক করে দেন।
প্রশ্ন হল, মেডিক্যাল কলেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে জরুরি ব্যবস্থা রাখা হয়নি কেন? হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেনারেটর ছিল না এমন নয়। কিন্তু জেনারেটর চালু করতে গিয়ে দেখা যায়, সেটি চলছে না। দীর্ঘ দিন হাসপাতালে লোডশেডিং ছিল না। ফলে জেনারেটর নিয়ে এত দিন কারও ভাবনাচিন্তা ছিল না। হঠাৎ চালাতে গিয়ে দেখা যায় সেটি চলছে না। ফলে দীপাবলির ঠিক পরেই টানা দেড় ঘণ্টা অন্ধকারে ডুবে থাকতে হল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালকে।
রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত এমনই ঘটনা ঘটল। যদি এই সময় কোনও অস্ত্রপোচার চলত? যদি কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটত? সব জেনেও কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নেননি? এ প্রশ্নের অবশ্য উত্তর মেলেনি। এ দিন রবিবার থাকায় হাসপাতালে কোনও আধিকারিক ছিলেন না। ফলে রোগীর আত্মীয় পরিজনেরা কারও কাছে বিহিত পর্যন্ত চাইতে পারেননি।
তবু হাসপাতাল সুপারের অফিসের সামনে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় হাসপাতাল ও জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটি। কমিটির সদস্য দীপক পাত্রের কথায়, “এমন একটি জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রেও কী দুরবস্থা ভাবা যায়!” মোবাইলে সুপার যুগল করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার সুমন দেব চক্রবর্তীর জবাব, “মেইন লাইনে ত্রুটি থাকায় একটা সমস্যা হয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যে তা মিটেও গিয়েছে।”