খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়লেন একই গ্রামের প্রায় ৭০জন বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার রাতে পিংলা ব্লকের জলচক ও উত্তরবাড় গ্রামের ঘটনা। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত জ্বর, পেট ব্যাথা, বমি-এমনই সব উপসর্গ নিয়ে জলচক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ৫৬জনকে ভর্তি করানো হয়। এর মধ্যে ১২জনকে পিংলা গ্রামীণ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তবে সঞ্জয় পাল নামে এক রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ফের স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় গ্রামের এক ফেরিওয়ালার থেকে ফুচকা খেয়েই এই বিপত্তি বলে ধারণা স্বাস্থ্য দফতরের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বুধবার জলচক বাজারে এক ফেরিওয়ালার থেকে ফুচকা খেয়েছিলেন বাজারে আসা গ্রামের বাসিন্দারা। এর পর ওই ফুচকাওয়ালা জলচক থেকে উত্তরবাড়ে দিকে যাওয়ার পথে ফুচকা খান আরও অনেকে। সেই সময়ে কিছু টের পাওয়া না গেলেও অনেকেরই মাথা ব্যথা ও পেটের যন্ত্রণা শুরু হয়। রাতেই একের পর পর গ্রামবাসী অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন জলচক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শুক্রবার জলচক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সব্যসাচী ঘোড়ই বলেন, “রাত থেকে প্রায় ৫৬ জন এসেছিলেন। এখন এখানে ২৬ জন ভর্তি রয়েছেন।” জলচক গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য সরলা মান্না বলেন, “আমার দুই ছেলে-সহ বাড়ির যে ৬জন ফুচকা খেয়েছিল তারা হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু আমি ফুচকা না খাওয়ায় কিছু হয়নি।”
এ দিন সকালে এলাকায় পৌঁছায় একটি ৮ জন সদস্যের চিকিৎসক দল। এর পর এলাকায় যান জেলা মূখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অঞ্জন রায় প্রমুখ। এলাকায় চলে নমুনা সংগ্রহের কাজ। পরে জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধানের উদ্যোগে পাঠানো হয় জলের প্যাকেট, পাউচ। এ দিন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে ফুচকা খেয়ে বিষক্রিয়াতেই প্রায় ৭০জন অসুস্থ হয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার পরেই আসল কারন জানা যাবে। গ্রামে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে চিকিৎসক দল কাজ করছে।”
আগাম সতর্কতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি
গত বছর ডেঙ্গিতে শহরের অন্তত ৮ জন মারা গিয়েছিলেন। তাই এ বার আগাম সতর্ক হতে চাইছে শিলিগুড়ি পুরসভা। মেয়র এবং তাঁর পারিষদরা ইস্তফা দেওয়ার পর যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতেও ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ ঠিক মতো হবে কি না তা নিয়ে আশঙ্কা অনেকের। এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে সমীক্ষা এবং সচেতনতার কাজ শুরু করতে তৎপর হল শিলিগুড়ি পুর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার এ নিয়ে এক বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন এলাকার ওয়ার্ড সুপারভাইজাররা। যে স্বাস্থ্য কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা ও সচেতনতার কাজ করবেন শনিবার তাদের নিয়ে কর্মশালার পর দ্রুত তা শুরু করা হবে। পুরসভা সূত্রেই জানা গিয়েছে, ৩১৮টি টিম পুরসভার নানা এলাকায় সমীক্ষার কাজ করবেন। ৭৩ জন ওয়ার্ড সুপারভাইজার রয়েছেন। ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে বাড়ি বাড়ি গিয়ে তারা প্রচার চালাবেন। তা ছাড়া পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে নির্মাণ সংস্থাগুলিকে তাদের প্রকল্পের জায়গায় যাতে কোনও ভাবে জম জমে না থাকে সে ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হবে। কেউ তা না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুরসভা।