হাসপাতালের সামনে পরিজনরা। ছবি: কৌশিক মিশ্র।
হাসপাতালের বেহাল পরিষেবা, নার্সদের দুর্ব্যবহার-সহ নানা ঘটনা ঘিরে এগরা মহকুমা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাল রোগীর পরিবার। মঙ্গলবার এগরা মহকুমা হাসপাতালে এই ঘটনায় ভারপ্রাপ্ত সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে রোগীর পরিবার। রোগী ও রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বেশিরভাগ সময় রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধ হাসপাতালে মেলে না। ফলে জরুরি অবস্থাতেও তড়িঘড়ি করে বাইরে থেকে ওষুধ আনতে হয় খোদ রোগীর পরিবারকেই। গত শনিবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এগরার নরহরিপুর গ্রামের সীতারাম ঘড়াই। তিনি বলেন, “এখানকার নার্সরা আমাদের প্রয়োজনের কথা শুনতে চান না। দরকারি ওষুধের কথা বললেই বলেন বাইরে থেকে আনতে হবে।” এমনকী সূঁচবিহীন একই সিরিঞ্জ থেকে অনেককে ইঞ্জেকসন দেওয়ার অভিযোগও জানিয়েছেন অনেকে। দিন কয়েক আগে প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পটাশপুরের মধুরান বিবি। তাঁর কথায়, “প্রচুর রক্তপাত হওয়ায় আমি নার্সদের ডাকাডাকি করছিলাম। তাতে তাঁরা কর্ণপাতও করেননি। এক সিরিঞ্জে অনেককে ইঞ্জেকসন দেওয়ার প্রতিবাদ করায় তাঁরা আরও দুর্ব্যবহার শুরু করেন।” মঙ্গলবার এই নিয়ে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় রোগীর পরিবার। প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামের সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দো্যপাধ্যায় এগরা মহকুমা হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নীত করার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু রোগীর পরিবারের অভিযোগ, মহকুমা হাসপাতাল থেকে যে পরিষেবা পাওয়া উচিত, তাই এখানে মেলে না। সুপার স্পেশালিটি তো দূর অস্ৎ। হাসপাতালের সিনিয়র নার্স রানি দাস বলেন, “সাধারণত বেশিরভাগ রোগীর হাতে জেলকো ভরা থাকে। শুধুমাত্র একই ওষুধ হলে আমরা এক সিরিঞ্জ দিয়ে ইঞ্জেকসন দিই।” এগরা মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার বিদিশা বণিক বলেন, “রোগীদের অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।”