মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার বহরমপুরে আসেন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিকর্তা সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও ছিলেন স্পেশাল সেক্রেটারি পার্থজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেডিক্যাল সার্ভিস কাউন্সিলের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বসু। এ দিন সকাল থেকেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন আধিকারিক থেকে শিক্ষক-চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁরা দফায় দফায় বৈঠকও করেন।
পরে বৈঠক শেষে সুশান্তবাবু বলেন, “চাহিদা অনুযায়ী মেডিক্যাল কাউন্সিলের সমস্ত শর্ত পূরণের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ওই চাহিদা পূরণের লক্ষ্য নিয়েই এখন থেকে প্রতি মাসে মেডিক্যাল কলেজের কাজ সরজমিনে খতিয়ে দেখা হবে।” এ দিন যেমন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ আগামী নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। সুশান্তবাবু বলেন, “আমাদের পরিকাঠামোগত বেশ কিছু খামতির কথা মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে। অবিলম্বে সেই খামতিগুলি পূরণ করার কথাও বলা হয়েছে।” তবে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়ন ঘটাতে হলে অবিলম্বে শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের কথাও বলেন ওই স্বাস্থ্য অধিকর্তা। তাঁর কথায়, “স্বাস্থ্য দফতরে দীর্ঘ দিন ধরে কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন পদ শূন্য রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে কর্মী নিয়োগ না হওয়ায় চিকিৎসা পরিষেবায় কিছপটা হলেও পরিকাঠামোগত খামতি রয়েছে। যারা রয়েছেন, তাঁরা অবশ্য আন্তরিকতার সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।”
উত্তরবঙ্গে এনসেফ্যালাইটিস আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের যাতে দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যায়, সেই লক্ষ্যে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ভাইরোলজি ল্যাবরেটরির উন্নত ও আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এ দিন স্বাস্থ্য ও শিক্ষা অধিকর্তা জানান। তিনি বলেন, “ভাইরোলজি ল্যাবরেটরির উন্নত ও আধুনিকীকরণের জন্য ট্রপিক্যাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। তবে মুর্শিদাবাদে এনসেফ্যালাইটিসে এখনও কেউ আক্রান্ত হননি। কিন্তু চিকিৎসকদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।”