সিয়েরা লিওন থেকে ইবোলা সংক্রমণ নিয়ে ফিরেছিলেন স্কটল্যান্ডের এক নার্স। মঙ্গলবার তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হল লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে। নভেম্বরে সিয়েরা লিওনের এক ইবোলা চিকিৎসা কেন্দ্রে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন ওই মহিলা। মনে করা হচ্ছে, সেখান থেকেই সংক্রমণ নিয়ে ফেরেন তিনি।
গত রবিবার রাতে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিমানে মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কা শহর এবং লন্ডনের হিথরো হয়ে গ্লাসগো বিমানবন্দরে নামেন স্কটল্যান্ডের ওই নাসর্। সোমবার সকাল থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করায় শুরু হয় চিকিৎসা।
সোমবার স্কটল্যান্ড থেকে একটি বিমানের বিশেষ কেবিনে অন্যান্য যাত্রীর থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে লন্ডনের রয়্যাল ফ্রি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে ওই নার্সকে। উত্তর লন্ডনের এই হাসপাতালটিতেই সিয়েরা লিওন থেকে ফেরা ব্রিটিশ নার্স উইলিয়াম পুলের চিকিৎসা হয়েছিল। তিনিই ছিলেন প্রথম ইবোলা আক্রান্ত। হাসপাতালটির আইসোলেসন ইউনিটে কেবল মাত্র বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত চিকিৎসা কর্মীদেরই ঢোকার অনুমতি রয়েছে।
পাশাপাশি ইবোলা আক্রান্ত আরও এক মহিলার খবর পাওয়া গিয়েছে স্কটল্যান্ডে। সম্প্রতি তিনি পশ্চিম আফ্রিকায় গিয়েছিলেন। তবে কোনও ইবোলা রোগীর সঙ্গে তাঁর সংযোগ হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। রয়্যাল কর্নওয়াল হাসপাতালেও ইবোলা সন্দেহে পরীক্ষা চলছে এক ব্যক্তির।
এ দিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলা আক্রান্তের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে ইতিমধ্যেই। যাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় আট হাজার মানুষের। তথ্য বলছে, সিয়েরা লিওন, লাইবেরিয়া এবং গিনিতে রোগের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। তা বাদে মালিতে ইবোলায় প্রাণ হারিয়েছেন ছ’জন, আমেরিকায় এক জন এবং নাইরেজিয়ায় মৃতের সংখ্যা আট।