শো-কজ তিন চিকিৎসককে

ট্রলি থেকে পড়ে প্রসূতি ও তাঁর গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠায় ৩ জন স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞকে শোকজ করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মালদহ মেডিক্যাল হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার ওই তিন চিকিৎসক সুদীপরঞ্জন পাল, সন্দীপ লাহিড়ী, সুহ়তা দেরায়কে চিঠি পাঠিয়ে ২৪ ঘণ্টার মঝ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতালের তরফে দাবি, প্রসূতির পরিবারের লোকজন ট্রলি থেকে পড়ার লিখিত অভিযোগ করেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৪ ০২:১২
Share:

ট্রলি থেকে পড়ে প্রসূতি ও তাঁর গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠায় ৩ জন স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞকে শোকজ করলেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মালদহ মেডিক্যাল হাসপাতাল সূত্রে খবর, সোমবার ওই তিন চিকিৎসক সুদীপরঞ্জন পাল, সন্দীপ লাহিড়ী, সুহ়তা দেরায়কে চিঠি পাঠিয়ে ২৪ ঘণ্টার মঝ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। হাসপাতালের তরফে দাবি, প্রসূতির পরিবারের লোকজন ট্রলি থেকে পড়ার লিখিত অভিযোগ করেননি। মৃত প্রসূতি সাহেরা বিবির মামা লুটু মোমিন বলেন, “আমার ভাগ্নি ট্রলি থেকে পড়ে মারা গিয়েছে। অভিযোগ করে লাভ হবে না ভেবে করিনি।” এ দিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের সুপার মহম্মদ আব্দুর রসিদ দাবি করেন, ট্রলি থেকে পড়ে প্রসূতি ও গর্ভস্থ শিশুর মৃত্যু হয়নি। তাঁর দাবি, “হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। তিনি বলেন, “রবিবার দুপুর প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই প্রসূতিকে গাইনি বিভাগের কত্যবরত ইউনিট বি-২-র চিকিৎসকরা দেখেননি। তিন জন চিকিৎসকের দুজন চিকিৎসক অস্ত্রোপচারের ব্যস্ত ছিলেন। এক জন চিকিৎসক ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও ওই প্রসূতি দেখেননি। সে জন্য তিন জন চিকিৎসককে শোকজ করা হয়েছে।” হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা জেলার মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী বলেন, “কোনও চিকিৎসক যদি অন্তর্ঘাত করার চেষ্টা করেন, তা হলে তাঁকে ছাড়া হবে না।”

Advertisement

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার কালিয়াচকের শেরশাহীর এজাজুল মোমিনের স্ত্রী সাহেরা বিবির প্রসব যন্ত্রণা হলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। অভিযোগ ওঠে লেবার রুমে বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখার সময়ে ছটফট করতে গিয়ে নীচে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। গর্ভস্থ শিশুও বাঁচেনি। দেহের ময়নাতদন্ত করানো দরকার থাকলেও তা হয়নি কেন সেই প্রশ্ন উঠেছে। হাসপাতাল সুপার জানান, বাড়ির লোকজন রাজি হননি বলেই তা করানো হয়নি।

জায়গার অভাবে পুরুষদের বিভাগেই থাকতে বাধ্য হচ্ছেন রোগিণীরা।
ময়নাগুড়ি হাসপাতালে দীপঙ্কর ঘটকের তোলা ছবি।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন