দীর্ঘ দিন ধরে চিকিত্সকদের একাংশ নিয়মিত ও সঠিক সময়ে জরুরি বিভাগে হাজির হচ্ছেন না। রাত ৮টার পরে থেকে নার্সরা জরুরি বিভাগে থাকেন না। বেশি রাতে চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরাও জরুরি বিভাগে থাকেন না। সেই সুযোগে বাইরের একশ্রেণির যুবক মোটা টাকার বিনিময়ে রোগীদের জরুরি বিভাগ থেকে ট্রলিতে করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, জরুরি বিভাগে রোগীদের জন্য কোনও শয্যার ব্যবস্থা হয়নি। রেডিওলজিস্টের অভাবে রোগীরা মাঝেমধ্যেই আল্ট্রাসোনোগ্রাফি পরিষেবা পাচ্ছেন না। চিকিত্সা পরিষেবা নিয়ে এমনই একাধিক অভিযোগে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের সুপার অনুপ হাজরাকে ভর্ৎসনা করলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক রণধীর কুমার। সেই সঙ্গে, কেন তিনি হাসপাতালের সার্বিক চিকিত্সা পরিষেবা বজিয়ে রাখতে প্রশাসনিক কাজকর্ম পরিচালনা করতে ব্যর্থ তা-ও সুপারের কাছে জানতে চান জেলাশাসক।
কোনও চিকিত্সক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। সোমবার বিকালে হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে হাসপাতালের চিকিত্সা পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়ার একাধিক অভিযোগে এ ভাবেই জেলাশাসকের ক্ষোভের মুখে পড়েন সুপার। জেলাশাসকের ক্ষোভ সামাল দিতে এরপর রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান অমল আচার্যকে আসরে নামতে দেখা যায়।