স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেই পর্যাপ্ত চিকিত্‌সক

বেশ কিছুদিন ধরেই বেহাল হলদিবাড়ি থানার হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দু’টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা। অন্য দিকে, দিয়াবাড়িহাট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নতুন করে চালু হওয়ার কথা। সেটি চালু হলে মাজাপাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুরনোটাও বন্ধ হয়নি। নতুনটিও অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এলাকার মানুষের দাবিতে সপ্তাহে মাত্র একদিন এখানে চিকিত্‌সক বসছেন। আর পুরনোটি চালাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোনওটিতেই জল সরবরাহ এবং বিদ্যুত্‌ সংযোগ নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হলদিবাড়ি শেষ আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৪ ০০:৪৫
Share:

বেশ কিছুদিন ধরেই বেহাল হলদিবাড়ি থানার হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দু’টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থা। অন্য দিকে, দিয়াবাড়িহাট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নতুন করে চালু হওয়ার কথা। সেটি চালু হলে মাজাপাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুরনোটাও বন্ধ হয়নি। নতুনটিও অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এলাকার মানুষের দাবিতে সপ্তাহে মাত্র একদিন এখানে চিকিত্‌সক বসছেন। আর পুরনোটি চালাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কোনওটিতেই জল সরবরাহ এবং বিদ্যুত্‌ সংযোগ নেই। অভিযোগ, এই দু’টি উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তত পানীয় জলটুকু সরবরাহের জন্য এলাকার বাসিন্দারা স্বাস্থ্য দফতর, পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি-- প্রত্যেকের কাছেই দরবার করেছেন। কিন্তু ফল মেলেনি কোনও।

Advertisement

হেমকুমারী নাগরিক কমিটির সম্পাদক আব্দুল জব্বার বলেন, “রোগীরা জলের অভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য সবার কাছে গিয়েছি। কেউ কর্ণপাত করেননি।” নাগরিক কমিটির সদস্যেরা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে দিয়াবাড়িহাট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। এখনও পঞ্চায়েত সমিতি স্বাস্থ্য দফতরকে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি হস্তান্তর করেনি। দোতলা উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা থাকলেও কেবলমাত্র একতলা সম্পূর্ণ হয়েছে। এই অবস্থাতেই এলাকার বাসিন্দাদের দাবি মেনে সপ্তাহে একদিন একজন চিকিত্‌সক এখানে আসেন। কিন্তু চিকিত্‌সার জন্য আসা রোগীদের জন্য পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। শৌচাগার থাকলেও তা রক্ষণাবেক্ষণের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। অন্য দিকে, বাম আমলে গ্রামপঞ্চায়েত থেকে যে অগভীর নলকূপটি বসানো হয়েছিল, সেটিও বহুদিন অকেজো থাকার পর চুরি হয়ে গিয়েছে। হেমকুমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গুনবালা রায় বলেন, “আমরা আবার একটি অগভীর নলকূপ বসানোর চেষ্টা করছি।”

মাজাপাড়া উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটিও চলছে নাম কা ওয়াস্তে। প্রসূতি ও শিশুদের জন্য শুধুমাত্র স্বাস্থ্যকর্মীরা আসেন। কিন্তু কোনও চিকিত্‌সক আসেন না এখানে। স্বাস্থ্যকর্মীরাই সপ্তাহে পাঁচ দিন (সোম থেকে শুক্র) পরিষেবা দেন। এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটিতেও বিদ্যুত্‌ সংযোগ এবং জল সরবরাহের কোনও ব্যবস্থা নেই। আগে একটি অগভীর নলকূপ থাকলেও সেটি এখন না থাকায় অসুবিধায় পড়েন রোগীরা।

Advertisement

হলদিবাড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস দাস বলেন, “হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি থেকে দিয়াবাড়িহাট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি আমাদের হস্তান্তর করা হলে আমরা জলসরবরাহের ব্যবস্থা করতে পারব। এটা এখন পুরোপুরি পঞ্চায়েত সমিতির বিষয়। দিয়াবাড়িহাট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি চালু হয়ে গেলে সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা দিয়াবাড়িহাট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে কাজ করবেন।”

হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাহিনুর সরকার বলেন, “এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির কাজ আগের পঞ্চায়েত সমিতির আমলে শুরু হয়। দিয়াবাড়িহাট উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির কাজ কেন সম্পূর্ণ হয়নি, তা দেখে উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটির অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করার চেষ্টা করা হবে। এই কাজ দ্রুত সম্পন্ন করে আমরা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে হস্তান্তর করব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন