সোয়াইন ফ্লু-এ মৃত্যু হায়দরাবাদে, সতর্কতা বাংলায়

বছরের প্রথম দিন থেকেই আতঙ্কে ভুগছে গোটা হায়দরাবাদ। খলনায়ক সোয়াইন ফ্লু। বৃহস্পতিবার সকালেই সোয়াইন ফ্লু-এ প্রাণ হারিয়েছেন ২১ বছরের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। সেই সঙ্গে আজ তিন শিশু-সহ চার জনের দেহে সোয়াইন ফ্লু (এইচ-১ এন-১) ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৫ ০৩:২৭
Share:

বছরের প্রথম দিন থেকেই আতঙ্কে ভুগছে গোটা হায়দরাবাদ। খলনায়ক সোয়াইন ফ্লু। বৃহস্পতিবার সকালেই সোয়াইন ফ্লু-এ প্রাণ হারিয়েছেন ২১ বছরের এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। সেই সঙ্গে আজ তিন শিশু-সহ চার জনের দেহে সোয়াইন ফ্লু (এইচ-১ এন-১) ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন শাইনাজ বেগম। নতুন বছরেই তাঁর সন্তানের জন্ম হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ সোয়াইন ফ্লু-এর কোপে মারা গেলেন শাইনাজ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সোমবার শাইনাজের কফের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ মেডিসিনে (আইপিএম)। তখনই জানা যায়, সোয়াইন ফ্লু-এ আক্রান্ত শাইনাজ।

মঙ্গলবারই সোয়াইন ফ্লুয়ের বলি হয়েছেন ৫০ বছরের এক ব্যক্তি। সরকারি সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত তেলঙ্গানায় মোট ৭৭ জনের দেহে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। শাইনাজের মৃত্যুর পরে সোয়াইন ফ্লুয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১১। আজ হায়দরাবাদে এক সতেরো মাসের শিশুর দেহেও পাওয়া গিয়েছে সোয়াইন ফ্লু ভাইরাস। সেই সঙ্গে আক্রান্ত তিন ও ৮ বছরের দুই শিশু এবং ৫৬ বছরের এক মহিলাও। অন্য দিকে, নয়াদিল্লিতেও এক মহিলার দেহে এইচ-১ এন-১ ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। দিল্লিতে এই প্রথম কারও দেহে সোয়াইন ফ্লু-এর ভাইরাস মিলল।

Advertisement

তেলঙ্গানা ও দিল্লিতে সোয়াইন ফ্লু প্রকোপের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গেও সব মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা বিশ্বরঞ্জন শতপথী জানান, সব হাসপাতালেই কিছু বিশেষ শয্যার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। যা অন্য রোগীদের থেকে আলাদা থাকবে। সোয়াইন ফ্লু-র রোগী এলে তাঁকে ওই বিশেষ শয্যায় রাখা হবে। জেলা হাসপাতালগুলিতে ‘পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট’ পাঠানো হচ্ছে। সংক্রমণ এড়াতে চিকিৎসকেরা এই বিশেষ পোশাক পরে সোয়াইন ফ্লু-র রোগীর চিকিৎসা করবেন। ওই রোগের উপসর্গ নিয়ে কোনও রোগী এলে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ভবনে জানাতে বলা হয়েছে।

২০০৯ সালে প্রথম ভাইরাসের চরিত্র পরিবর্তিত হয়ে শুয়োরের থেকে মানুষে রোগ ছড়ায়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে এটি ছড়াতে পারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রাজ্যে প্রথম ২০১০-এ ৬৩ জন এতে আক্রান্ত হন। মারা যান ৫ জন। ২০১৩-এর এপ্রিলে সোয়াইন ফ্লু-এ রাজ্যে ৪০ জনের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ৩ জন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement