সচেতনতা শিবির স্কুলে

আয়রন ক্যাপসুলের উপকারিতা বোঝাতে স্কুল পড়ুয়াদের কাছে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার ডেবরার লোয়াদা হাইস্কুলে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। যোগ দিয়েছিলেন লোয়াদা চক্রের প্রায় ২২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, নোডাল শিক্ষক, এলাকার আইসিডিএস কর্মীরা। তাঁদের প্রকল্প সম্পর্কে বোঝাতে হাজির ছিলেন, জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান, নিমাই মণ্ডল, অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রজত পাল ও চক্র পরিদর্শক নারায়ণচন্দ্র রায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ডেবরা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০৯
Share:

আয়রন ক্যাপসুলের উপকারিতা বোঝাতে স্কুল পড়ুয়াদের কাছে সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করল স্বাস্থ্য দফতর। মঙ্গলবার ডেবরার লোয়াদা হাইস্কুলে এই শিবিরের আয়োজন করা হয়। যোগ দিয়েছিলেন লোয়াদা চক্রের প্রায় ২২টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, নোডাল শিক্ষক, এলাকার আইসিডিএস কর্মীরা। তাঁদের প্রকল্প সম্পর্কে বোঝাতে হাজির ছিলেন, জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান, নিমাই মণ্ডল, অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস পাল, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক রজত পাল ও চক্র পরিদর্শক নারায়ণচন্দ্র রায়।

Advertisement

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘উইকলি আয়রন অ্যান্ড ফলিক অ্যাসিড সাপ্লিমেন্টেশন’ নামক এই প্রকল্পে প্রতি সপ্তাহের সোমবার স্কুলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের আয়রন ক্যাপসুল দেওয়া হয়। এছাড়া স্কুলছুটদের জন্য প্রতি শনিবার আইসিডিএস কেন্দ্র থেকে ওই ক্যাপসুল প্রদানের নিয়ম রয়েছে। আবার প্রতি ছ’মাস অন্তর একটি করে কৃমির ট্যাবলেট দেওয়ার নিয়মও রয়েছে। মূলত দেহের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতেই এই প্রকল্পের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য দফতর। তবে অনেক স্কুলের পড়ুয়া, অভিভাবকদের মধ্যে অনিহা ও আতঙ্কের কারণে হোঁচট খাচ্ছে কেন্দ্রীয় এই প্রকল্প। সেই আতঙ্ক কাটিয়ে কী ভাবে এই প্রকল্পকে তরান্বিত করা যায় তা নিয়েই এ দিনের শিবিরে আলোচনা করা হয়।

আলোচনাসভায় উঠে আসে রাজ্যের রক্তাল্পতা, প্রসূতি মৃত্যু, শিশুমৃত্যুর কথা। এই ব্যাধি কাটিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রীদের আয়রন ক্যাপসুল প্রয়োগের উপকারিতা বোঝাতে আলোচনা করা হয়। এ দিন জেলা উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান বলেন, “আয়রন ক্যাপসুলে মানুষের কোনও ক্ষতি হয় না। এই ক্যাপসুল প্রয়োগে দেখা গিয়েছে শিশুমৃত্যু বা মায়ের মৃত্যুর হার কমেছে। আতঙ্ক কাটিয়ে প্রতিটি পড়ুয়াকে সচেতন করতে হবে। শিক্ষকদেরই এক্ষেত্রে নিয়ম মেনে সতর্কভাবে ক্যাপসুল বিতরণ করতেও বলা হয়েছে।

Advertisement

খাবারের মান নিয়ে নালিশ হাসপাতালে

পাউরুটি পচা। দুধ, ডিম, মাছ মিলছে না প্রতিদিন। যাও বা মিলছে তা খুবই নিম্নমানের। ডুয়ার্সের শামুকতলা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রোগীদের এমন নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠছে খাবার সরবরাহকারী স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রোগীদের বাড়ির লোকজন ও শামুকতলা নাগরিক মঞ্চের কর্মীরা হাসপাতালে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। নাগরিক মঞ্চের সভাপতি প্রাণেশ দেবনাথ বলেন, “সরকার নির্ধারিত তালিকা না মেনে রোগীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না। এদিন সকালে রোগীদের রীতিমত দুর্গন্ধযুক্ত পাউরুটি দেওয়া হয়েছে। বাকি খাবারও নিম্নমানের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছুই দেখছেন না। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সম্পাদক সর্বানী ঠাকুর বলেন, “ভুল করে ওই পাউরুটি দেওয়া হয়েছিল। নিম্নমানের খবার দেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।” তিনি জানান, তিন বেলা খাবার সরবরাহের জন্য রোগী মাথাপিছু ৪৩ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সকালে ডিম দুধ পাউরুটি। দুপুরে ও রাতে ভাত, মাছ, ডাল,সব্জি। সপ্তাহে একদিন মাংস। এই ক’টা টাকায় খাবার সরবরাহ করা সম্ভব নয়। আমরা কাজ ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার লিখিত আবেদন জানিয়েছি। জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, “সরকার নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী খাবার দেওয়ার কথা। সেটা কেন মানা হচ্ছে না তা দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন