৩ দিনে ১৬টি শিশুর মৃত্যু

গত তিন দিনে হাসপাতালে পরপর মারা গিয়েছে ১৬টি শিশু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যদিও দাবি, চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাননি তাঁরা। পরে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডাকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রবিবার বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় পৌঁছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আধিকারিকেরা জানতে পারেন, ওই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০১৪ ০১:৪৭
Share:

গত তিন দিনে হাসপাতালে পরপর মারা গিয়েছে ১৬টি শিশু। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যদিও দাবি, চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাননি তাঁরা। পরে বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডাকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রবিবার বৈঠকে যোগ দিতে কলকাতায় পৌঁছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আধিকারিকেরা জানতে পারেন, ওই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

ওই হাসপাতাল সূত্রের খবর, গত ২ অক্টোবর শিশু ওয়ার্ডে পরপর মৃত্যু হয় ৮টি শিশুর। পরের দু’দিনে চার জন করে আরও ৮ টি শিশুর মৃত্যু হয়। শিশু মৃত্যুর প্রাথমিক কারণ হিসেবে অবশ্য সময়ের আগে জন্মানো, কম ওজন থাকা, একেবারে শেষ সময়ে বাইরের জেলার হাসাপাতাল গুলি থেকে গুরুতর অসুস্থ শিশুদের ওই হাসপাতালে রেফার করা ইত্যাদিকে দায়ি করেছে হাসপাতাল কতৃর্পক্ষ।

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তথা মেডিক্যাল কলেজের সহ-অধ্যক্ষ উৎপলকুমার দাঁ বলেন, “২২৪টি শিশুর চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকলেও ২ তারিখ ৩৭০টি শিশু ভর্তি হয়েছিল। পুজোর জন্য কর্মীও কম ছিল। তবুও ঘটনার কথা জানাজানি হতেই সমস্ত সিনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে আমি ওই বিভাগে গিয়েছিলাম। অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও তৎক্ষণাত করা হয়েছে। কেন ওই শিশুদের মৃত্যু ঘটেছে তার তদন্তও শুরু করা হয়েছে।”

Advertisement

উল্লেখ্য গত ১ তারিখ বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে অসংখ্য বোলতার কামড় নিয়ে একটি ৮ বছরের শিশু ভর্তি হয়। কিছুক্ষণ পরেই তাকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। ২ তারিখ দুপুরে শিশুটি মারা গেলে বাড়ির লোকেরা হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান। সামিল হন আরও ৭ টি শিশুর পরিবারও। উৎপলবাবুর দাবি, “একটি বিশেষ প্রচারমাধ্যম ২ তারিখে ১৫টি শিশুর মৃত্যুর খবর প্রচার করে। তাতেই হাসপাতালে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল।” তাঁর আরও দাবি, “অন্যান্য অনেক হাসপাতালের তুলনায় শিশুমৃত্যুর হার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অনেক কম। তবুও কয়েকজন দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিভাবক গোলমাল পাকাচ্ছেন।”

গাফিলতির নালিশ, হাসপাতালে বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার

এক রোগিনীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে রবিবার বেলা ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার গ্রামের বাসিন্দারা। পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ থামায়। অভিযোগ, শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাজদ বাইরাগুড়ি এলাকার বাসিন্দা শেফালি রায়কে (৩১) সাপে ছোবল মারে। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রবিবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ওই মহিলার মৃত্যুর পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলেন মৃতার পরিজনেরা। আলিপুরদুয়ার মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার জ্যোতিপ্রকাশ মণ্ডল বলেন, “ঘটনার কথা শুনেছি। রাতে ওই মহিলাকে ভর্তি করিয়ে ওষুধ দেওয়া হয়। বিষধর সাপ কামড়ালে রোগীকে ৪৮-৭২ ঘটনা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। প্রথমিক ভাবে মনে হচ্ছে রোগীর শরীরে বিষ ঢুকে তা স্নায়ুতন্ত্রে চলে গিয়েছিল। তাই বাঁচানো যায়নি। মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন