দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় স্মরণসন্ধ্যা

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে প্রয়াত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত হয় এক স্মরণসন্ধ্যা। এই অনুষ্ঠানে কথায় ও গানে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নানা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী। 

Advertisement

 সৌম্যেন সরকার

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:২৫
Share:

দ্বিজেন মুখোপাধ্যায় ছিলেন বাংলা গানের জগতে এক উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক। গত ছ’দশক ধরে যিনি বাংলা সঙ্গীত জগৎকে দিয়ে গিয়েছেন পনেরোশো গানের রেকর্ড, যার মধ্যে আটশোই রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং যেগুলি গাওয়ার জন্য ১৯৪৫ সাল থেকে পেশাদার গায়ক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ।

Advertisement

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে প্রয়াত শিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের স্মরণে রবীন্দ্রসদন প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত হয় এক স্মরণসন্ধ্যা। এই অনুষ্ঠানে কথায় ও গানে শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন নানা বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব ও প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী।

এ ছাড়াও শিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন

Advertisement

প্রখ্যাত চিত্রকর যোগেন চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি শ্রীজাত-সহ ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার, এস এফ করিম এবং অজয় চক্রবর্তী।

সঙ্গীতানুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত ‘সংগচ্ছধং’ গানটির ক্ষেত্রে অবশ্য আরও বেশি অনুশীলন কাম্য ছিল। এ ছাড়া মূল অনুষ্ঠানের একক শিল্পীদের মধ্যে ভাল লাগে সৈকত মিত্রের গলায় ‘শ্যামলবরণী ওগো কন্যা’, শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে ‘ঘুম ঘুম ঘুম’, অন্তরা চৌধুরীর গাওয়া ‘পল্লবিনী গো সঞ্চারিণী’, লোপামুদ্রার ‘হাজার মনের ভিড়ে’ ও অরুন্ধতী হোমচৌধুরীর ‘একদিন ফিরে যাব চলে’। গানের শেষ ভাগে শিল্পীর সঙ্গে শিবাজী চট্টোপাধ্যায়ও যোগ দেওয়ায় গানটিকে অনেক বেশি মনোময় ঠেকেছে শ্রোতাদের কাছে। স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তের কণ্ঠে ‘ভাঙা তরীর শুধু এ গান’ ব্যঞ্জনায় মূর্ত হয়ে উঠেছিল। ইন্দ্রাণী সেন এবং শ্রাবণী সেনের রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন

ছিল যথাযথ।

সঙ্গীতে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য শিল্পীদের পরিবেশনে ছিল যথেষ্ট প্রস্তুতি ও সাবলীলতার অভাব। সুপর্ণকান্তি ঘোষের স্মৃতিচারণায় প্রয়াত শিল্পী সম্পর্কে সরস ভঙ্গিতে কিছু অজানা তথ্যের উপস্থাপন শ্রোতাদের কাছে উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। হৈমন্তী শুক্লের কণ্ঠ বশে না থাকায় গানটি আশানুরূপ হয়নি। সুধীন সরকারের প্রতিবেদন একটু বেমানান লাগল। সমগ্র অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন দেবাশিস বসু ও সুপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান শেষে শিবাজী চট্টোপাধ্যায় তাঁর স্বভাবসিদ্ধ কণ্ঠে পরিবেশন করলেন ‘ওরে আমার মন’। গানটির নির্বাচন প্রশংসনীয়। যন্ত্রসঙ্গীতে সহযোগিতায় ছিলেন বিপ্লব মণ্ডল, বুদ্ধ গঙ্গোপাধ্যায়, তাপস ভৌমিক, অঞ্জন বসু, প্রবীর মল্লিক, সুরজিৎ চক্রবর্তী, দীপঙ্কর আচার্য প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন