পাপোশে বদলে যাক ঘরের সাজ

বাড়ির কোথায় থাকবে কেমন ম্যাট, রইল তারই হদিশ বাড়ির কোথায় থাকবে কেমন ম্যাট, রইল তারই হদিশ

Advertisement

রূম্পা দাস

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৮ ০০:৩৭
Share:

বন্ধুর বাড়ি যাচ্ছেন অনেক দিন পর। বাড়িতে ঢোকামাত্রাই থমকে দাঁড়ালেন। দরজার সামনে বেশ বড় পাপোশ। তাতে বাংলায় লেখা কবিতার লাইন। এত দিন ‘স্বাগতম’, ‘ওয়েলকাম’ দেখেছিলেন। কিন্তু বাড়ির সদস্যদের পছন্দ মতো কবিতার লাইন পাপোশে! নিঃসন্দেহে আইডিয়াটা অভিনব। এটা গৃহকর্তার রুচিরও পরিচায়ক। আর পাপোশ বা ম্যাটের এই অভিনবত্বের হাত ধরেই বদলে যাচ্ছে অন্দরসজ্জার সংজ্ঞাও।

Advertisement

পাপোশের প্রধান কাজই হল জুতো কিংবা পায়ে লেগে থাকা ধুলোবালির বেশির ভাগটা যেন তাতে আটকে যায়। ফলে ঘরে বা বাড়িতে ঢোকার মুখে পাপোশ থাকায় বাড়ির ভিতরও পরিচ্ছন্ন থাকে। একটি বাড়িতে মূলত চার জায়গায় পাপোশ রাখা জরুরি— মূল প্রবেশপথ, প্রতিটি ঘরে ঢোকার মুখে, রান্নাঘরে এবং বাথরুমে।

বাড়ির প্রবেশপথ: বাড়িতে ঢোকার মুখে যদি পাপোশ রাখা যায়, তা হলে সারা বছরের জলকাদা, রাস্তার ধুলোবালি— অনেকটাই আটকে যায় সেখানে। তাই ঘরের পাপোশের চেয়েও বেশি জরুরি বাড়ির প্রবেশপথের ম্যাট। এ ক্ষেত্রে অনেকেই বেছে নেন এমন ম্যাট, যাতে ধুলো আটকায় বেশি। রবার, কার্পেট, ভিনাইল অথবা অ্যান্টি ফেটিগ— এই জাতীয় মেটিরিয়াল দিয়ে তৈরি ম্যাট বাড়ির প্রবেশপথের জন্য আদর্শ। শুধু ‘সুস্বাগতম’ জাতীয় শব্দই নয়, পাপোশে অভ্যর্থনাসূচক বাক্যও অতিথির মন কাড়তে পারে।

Advertisement

ঘরের পাপোশ: ঘরের পাপোশ কেনার আগে খেয়াল রাখতে পারেন শৌখিনতার দিকে। তুলো, উল, পমপম লাগানো পাপোশ হোক কিংবা কম্বলের তৈরি ম্যাট— এ ক্ষেত্রে আসল কথাটাই হল আরাম। নরম গালচের মতো পাপোশে পা ডুবিয়ে ঘরে ঢোকার মজাই আলাদা। ঘরের পাপোশ নির্বাচনের ক্ষেত্রে উজ্জ্বল রং, প্যাঁচা বা হাঁসের আকারের কথা খেয়াল রাখতে পারেন। বাচ্চার ঘরের জন্য বেছে নিতে পারেন তার পছন্দের কোনও কার্টুনের চরিত্রের ছবিওয়ালা ম্যাট।

রান্নাঘরের পাপোশ: হেঁশেলে ঢোকার মুখে পাপোশ রাখবেন কি না— এ প্রশ্ন অনেকের মাথায় আসে। রান্নাঘরে ঢোকার আগে পরিষ্কার থাকাটাও স্বাস্থ্যগত ভাবে জরুরি। তাই চাইলেই রাখতে পারেন কিচেন ম্যাট। ইদানীং অনেকে কিচেন কাউন্টারের ঠিক নীচে সারিবদ্ধ ভাবে ম্যাট রাখা পছন্দ করেন। এতে কোনও ভাবে তরল পদার্থ পড়ে গেলে তক্ষুনি শুষে নেয়। ফলে প্রাথমিক ভাবে রান্নাঘরকে দেখতে নোংরা লাগে না। আবার কিচেন ম্যাট বা কার্পেট হয়ে উঠছে বাড়ির স্টাইল স্টেটমেন্টও।

বাথরুম কার্পেট: বাথরুমের সামনে রাখা পাপোশের কাজই হল জল শুষে নেওয়া। স্নানের জায়গার পাশেই রাখুন বাথম্যাট। বাথরুম ব্যবহারের পর ঘরের ভিতর আসতে গেলে পায়ের সমস্ত জল যেন পাপোশেই শুকিয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে পাপোশ নির্বাচনের জন্য আরাম, সৌন্দর্য এবং জল শোষণের ক্ষমতা— মাথায় রাখতে হবে।

অন্য রকম ছোঁয়া: বাড়ি সাজানোর ক্ষেত্রে যেমন নানা রকম ট্রেন্ড আসে যায়, তা একই ভাবে প্রযোজ্য পাপোশের ক্ষেত্রেও। ইদানীং মস ম্যাটের চাহিদা মারাত্মক। অর্থাৎ সবুজ ঘাসের মতো গালচেয় পা রাখার আরামই আলাদা। মস ম্যাট যেমন সত্যিকারের ঘাস বা মস দিয়ে তৈরি হচ্ছে, ব্যবহার করা হচ্ছে কৃত্রিম পদার্থও। কাঠের তৈরি ম্যাটে আবার আসছে পুরনো দিনের অনুভব। সিঁড়িতে ওঠার মুখে স্বচ্ছন্দে রাখতে পারেন উডেন ম্যাট।

আবার পেব্‌ল ম্যাট জোয়ার তুলেছে পাপোশের দুনিয়ায়। ছোট ছোট পাথর দিয়ে তৈরি এই ম্যাট রাখতে পারেন বাড়ির লাগোয়া বাগানের মুখে। পুরনো জিনস, টি-শার্ট, পাটের দড়ি দিয়ে নিজেও বানিয়ে ফেলতে পারেন পাপোশ। আবার বসার ঘরের কার্পেট এবং সোফার রঙের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নির্বাচন করতে পারেন ম্যাটের।

মোদ্দা কথা, অভ্যর্থনা জানানোর জন্য হোক অথবা ধুলোবালি রুখতে, পাপোশ বদলে দিতে পারে আপনার ঘরের সাজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন