বেসিল
মশার হাত থেকে বাঁচতে আমরা কত কী না করি! নানা রকম রেপেল্যান্ট, ক্রিম, মশারি, জল না জমানো ইত্যাদি। কিন্তু এমন কিছু গাছ আছে, যা রাখলে মশা বাড়িতে ঢোকার সাহসও পাবে না। আর আপনিও মশার উপদ্রব থেকে নিশ্চিন্ত থাকবেন। মশাদমনে কৃত্রিম কিছু ব্যবহার না করে যদি গাছের ফলন বাড়ানো যায়, তা হলে উপকার তো হয়ই, আবার সবুজের ছোঁয়ায় আপনার অন্দরমহলেও আসে নতুন সাজ। তা হলে মশার উপদ্রব রুখতে কোন কোন গাছ বাড়িতে লাগাবেন, রইল তারই তালিকা।
ল্যাভেন্ডার: বাড়িতে কোনও দিন ল্যাভেন্ডার গাছ লাগিয়ে রাখলে, কখনও পোকাকে তার পাতা খেয়ে নিতে দেখেছেন? অবশ্যই নয়। তার কারণ কিন্তু ল্যাভেন্ডারের গন্ধ। এই গাছের পাতায় এসেনশিয়াল তেল থাকে। তার সুতীব্র গন্ধে গাছ ও তার আশপাশে ঘেঁষে না মশা। ল্যাভেন্ডার গাছের ক্ষেত্রে জল নিষ্কাশন ও সূর্যের আলোর ব্যবস্থার দিকে খেয়াল রাখলেই চলে।
গাঁদা: যদিও গাঁদা ফুল মূলত শীত কালে ফোটে, কিন্তু এর গন্ধও মশা তাড়াতে সক্ষম। টবে গাঁদা গাছ বসিয়ে বারান্দা বা বাড়িতে ঢোকার মুখে দরজার পাশে রাখতে পারেন। শুধু মশাই নয়, নানা ধরনের মাছি তাড়াতেও গাঁদার জুড়ি মেলা ভার।
সিত্রোনেলা গ্রাস: বাড়িতে যদি জায়গা সামান্য বেশি থাকে, তা হলে সিত্রোনেলা গ্রাস লাগাতে পারেন। এই ঘাসের লেবুজাতীয় গন্ধ মশা, পোকামাকড়কে দূরে রাখে। সিত্রোনেলার তেমন যত্নআত্তিরও প্রয়োজন নেই।
ক্যাটনিপ: মিন্ট গোত্রের ক্যাটনিপ বা ক্যাটমিন্ট গাছের জোরালো ঘ্রাণ মশা তাড়ায়। এই গাছ যত্ন করতে বিশেষ নিয়মকানুন মানতে হয় না। অনেকে সন্ধের দিকে মশা তাড়াতে ক্যাটনিপের পাতা ঘষে ছড়িয়ে রাখেন।
বেসিল: বেসিল বা তুলসীর ঝাঁঝালো গন্ধও মশাদমনের ক্ষেত্রে উপকারী। রোজ জল দেওয়া, সারের ব্যবহার সহজেই এ জাতীয় গাছকে বাঁচতে, বাড়তে সাহায্য করে।
আসলে যে ধরনের গাছেই তীব্র সুবাস থাকে, সেখানেই মশা ভিড় করতে পারে না। এই তালিকায় উপরোক্ত গাছ ছাড়াও থাকতে পারে রোজ়মেরি, সেন্টেড জেরানিয়াম, লেমন বাম ইত্যাদি।