গায়নে সহজিয়া ভাব

সম্প্রতি আইসিসিআর-এ ইন্দোর ঘরানার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী সুপ্রিয় দত্ত পুরিয়া ধ্যানেশ্রী রাগে খেয়াল শোনালেন, প্রথমে বিলম্বিত একতাল তার পরে দ্রুত তিনতালে। তাঁর গায়নে সহজিয়া ভাবটি রয়েছে। বিলম্বিত অংশ, সুরেলা সাবলীল কণ্ঠে গাইলেন। দ্রুত অংশ ‘পায়েলিয়া ঝংকার’ লাবণ্যময় স্নিগ্ধ অথচ জোরালো।

Advertisement

বারীন মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৭ ০০:০০
Share:

সম্প্রতি আইসিসিআর-এ ইন্দোর ঘরানার শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী সুপ্রিয় দত্ত পুরিয়া ধ্যানেশ্রী রাগে খেয়াল শোনালেন, প্রথমে বিলম্বিত একতাল তার পরে দ্রুত তিনতালে। তাঁর গায়নে সহজিয়া ভাবটি রয়েছে। বিলম্বিত অংশ, সুরেলা সাবলীল কণ্ঠে গাইলেন। দ্রুত অংশ ‘পায়েলিয়া ঝংকার’ লাবণ্যময় স্নিগ্ধ অথচ জোরালো। এঁর গায়নে আনন্দ আছে স্বাভাবিকতা আছে। পরে তিনি মিশ্র ঠুমরী অঙ্গে শোনালেন ‘কটক না ব্যায়রন রহিনা’ ও অনুষ্ঠান শেষ করলেন মিশ্র কিরওয়ানি রাগে দাদরা ‘মোরা জিয়া তরপে’। ঠুমরী দাদরা দুটিই গভীর স্পষ্ট ও অব্যর্থ স্বরক্ষেপণের সঙ্গে গাইলেন। বিশেষ করে তারসপ্তকে তাঁর গলা খুব ভাল শোনাচ্ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে ‘স্পেস, টাইম ও এনার্জি’ শীর্ষক নৃত্যানুষ্ঠানে অংশ নিলেন মোহিনী আট্টমে প্রিয়দর্শিনী ঘোষ, ওড়িশিতে শ্রেয়সী দে ও মণিপুরীতে সুমন সারোগী।

Advertisement

বাঁশিওয়ালা

চারুকণ্ঠ আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই জীবনানন্দের ‘হাওয়ার রাত’ পাঠ করলেন পার্থপ্রতিম পান। রবীন্দ্রনাথের ‘বাঁশিওয়ালা’ শোনালেন ছন্দা রায়। গান ও পাঠের সমন্বয়ে জীবনানন্দের ‘কুড়ি বছর পর’ শোনালেন কাজল সুর। অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন কৃষ্ণকলি বসু, অরুণাভ বিশ্বাস, উষসী সেনগুপ্ত, মধুছন্দা ঘটক, সন্ধ্যাশ্রী দত্ত প্রমুখ। এ দিন শুরুতেই ছিল কবি কেশবরঞ্জনের ‘প্রাণরঞ্জন’ নামাঙ্কিত শিরোপা প্রদান অনুষ্ঠান।

Advertisement

এ পরবাসে রবে কে

রবীন্দ্রসদনে কুহু-কোয়েল আয়োজন করেছিল গান ও নাটকের অনুষ্ঠান। প্রথমার্ধে ছিল শিখা চৌধুরীর গান, দ্বিতীয়ার্ধে নাটক। শুরুতেই সমবেত সংগীত গাইলেন সংস্থার শিল্পীরা। তিনটি রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনালেন, তার মধ্যে ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায়’ অপূর্ব পরিবেশনা। এর পরে লন্ডন প্রবাসী শিখা চৌধুরী যে গানগুলি শোনালেন তার মধ্যে রয়েছে, ‘আমার মল্লিকা বনে’, ‘এ পরবাসে রবে কে’, ‘তবু মনে রেখো’ ইত্যাদি গানগুলি।

সব শেষে মঞ্চস্থ হয় নাটক ‘জবাব’। ছিমছাম ঘরোয়া কাহিনি। দাম্পত্য বিবাদ, প্রেম ও অভিমান। পরিশেষে মিলন। প্রত্যেকের অভিনয় নিখুঁত। তবে আলো ও আবহের মধ্যে ভারসাম্য ছিল না। যা পরিচালনার বড় ত্রুটি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন