বধূ কোন আলো...

পরনে রক্তাভ বস্ত্র, পদযুগলে অলক্তরাগ, কপালে চন্দন, কবরী ঘিরে রেখেছে লাল চেলি... নববধূর এই রূপের সঙ্গেই সকলে পরিচিত। কিন্তু এ বার নিয়ম ভাঙার পালা। কনের সাজে প্রাধান্য দেওয়া হোক অন্য ধারার রং, মোটিফ এবং কনের স্বাচ্ছন্দ্যেপরনে রক্তাভ বস্ত্র, পদযুগলে অলক্তরাগ, কপালে চন্দন, কবরী ঘিরে রেখেছে লাল চেলি... নববধূর এই রূপের সঙ্গেই সকলে পরিচিত। কিন্তু এ বার নিয়ম ভাঙার পালা। কনের সাজে প্রাধান্য দেওয়া হোক অন্য ধারার রং, মোটিফ এবং কনের স্বাচ্ছন্দ্যে

Advertisement

নবনীতা দত্ত

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:০০
Share:

ছবি: তন্ময় সেন

বিয়ের দিনে সব মেয়েই সবচেয়ে সুন্দর সাজতে চায়। তার প্রস্তুতি শুরু হয় বিয়ের কথা পাকা হওয়ার দিন থেকেই। বিয়ের দিনেও গায়ে হলুদ দিয়েই শুরু হয়ে যায় তার সাজ। বিশেষ এই দিনটায় মা-বাবাও নিজেদের উজাড় করে সাজান তাঁদের মেয়েকে। সমস্যাও শুরু হয় সেখানেই। বিয়ের সঙ্গে যেমন জুড়ে থাকে কনের পছন্দ-অপছন্দ, তার সঙ্গেই অবিচ্ছেদ্য মা-বাবার আবেগ। কনের লুকের সঙ্গে মানায় না, এমন কিছু সনাতনী গয়না মায়ের ইচ্ছেয় কনেকে পরতে হয়। বাড়ির জ্যেষ্ঠ সদস্যের আদেশে মাথায় চেলি, মুকুট বা গলায় মালা... সব মিলিয়ে বেশ জড়সড়ও হয়ে পড়ে কনে। তাই এ বার প্রথাগত সাজ ভেঙে সুন্দর সাবলীল সাজের পালা। বিয়ের লুক বাছার আগে পোশাক ও গয়না নির্বাচন জরুরি। সম্প্রতি জে ডব্লিউ ম্যারিয়ট হোটেলে বিয়েকে কেন্দ্র করে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সে দিনের অনুষ্ঠানে ফ্যাশন ডিজ়াইনার মাসাবা গুপ্ত লঞ্চ করলেন তাঁর নতুন ব্রাইডাল কালেকশন। আর তার সঙ্গেই বিয়ের কনেদের জন্য দিলেন কিছু আগাম টিপ্‌স।

Advertisement

মাসাবার টিপ্‌স

Advertisement

ফ্যাশনের গোড়ার কথা স্বাচ্ছন্দ্য। পোশাক বা সাজ আরামদায়ক না হলে দেখতে ভাল লাগে না। তাই এমন পোশাক বাছতে হবে, যাতে আপনাকে দেখতেও ভাল লাগে আর ক্যারি করতেও সমস্যা না হয়। মাসাবা জানালেন, ‘‘ভারতীয় বিয়েতে কনেরা এত সেজে ফেলেন যে, নড়াচড়া করতে পারেন না। ভারী পোশাক বা গয়না না বেছে বরং উজ্জ্বল রং বাছতে পারেন আধুনিকারা। এতে দেখতেও ভাল লাগবে, সাজ হবে স্বতন্ত্র। আর নিজেও বেশ স্বচ্ছন্দ থাকতে পারবেন।’’

উজ্জ্বল রং: এ বার বিয়ের মরসুমে লাল, নীলের বাইরে বেরিয়ে বেছে নিতে পারেন ফ্লুরোসেন্ট প্যাস্টেল শেড্‌স। এই শেডে গোলাপি, নীল, হলুদ ও সবুজের অনেক রকমফের হয়। এই রং চোখের পক্ষে আরামদায়ক, আবার উজ্জ্বলও। এই বিয়ের সিজ়নে মাসাবার প্রিয় রং সবুজ। বিশেষত মিন্ট গ্রিন।

স্বতন্ত্র মোটিফ: একটা সুন্দর রঙের শাড়ির মোটিফ যদি চওড়া বা আপনার চেহারার সঙ্গে মানানসই না হয়, তা হলে কিন্তু ভাল দেখাবে না। তাই ভেবেচিন্তে পোশাকের মোটিফ বাছতে হবে। ফুল, পাতা, কল্কার বাইরে পাখা, কলস, লণ্ঠন ইত্যাদি মোটিফ বাছতে পারেন। অন্য রকম মোটিফে স্বতন্ত্র হবে আপনার সাজ।

ড্রেপিং‌য়ে স্বচ্ছন্দ: বিয়ের সময়ে এমন ড্রেপিং করবেন, যাতে হাঁটাচলা বা ওঠাবসায় অসুবিধে না হয়। একই সঙ্গে ছবিতেও যেন ভাল দেখায়। নিজের চেহারার কার্ভ অনুযায়ী ড্রেপিং করবেন। একই ড্রেপিংয়ে আপনার বন্ধুকে ভাল দেখাতে পারে আবার আপনাকে ভারী। তাই নিজের শরীরের গঠনে কী ধরনের ড্রেপিং ভাল লাগবে, সেটা আগে দেখে নিন।

অলংকারই অহংকার: বিয়ে মানেই মা-ঠাকুরমা-দিদিমার গয়নার বাক্স। সাতনরি হার, নবরত্নের সেট না কি চোকার!

তার সঙ্গেই আধুনিকাদের পছন্দ হিরে। হাতে কঙ্কন, চূড়, রুলি, বালা, বাজুবন্ধ, তো আঙুলে আংটির বাহার। বিয়ের গয়না যে মেয়েদের অহংকার, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। কিন্তু বিয়ের দিনেই সেই সব গয়না পরতে হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই। নিজের পারিবারিক সমস্ত গয়নার প্রদর্শনী না করে, সাজের সঙ্গে যেটুকু মানায়, শুধু মাত্র সেটুকুই পরুন। তার জন্য একটি বা দু’টি দামি হার বাছুন। হাতেও থাকুক মানানসই বালা বা কঙ্কন।

ফুল বলে: চুলের খোঁপা হোক ফুলের। নিজের চুল ছোট হলেও ক্ষতি নেই। সাদা, গোলাপিরঙা গোলাপ বা পোশাকের সঙ্গে মানানসই রঙের অর্কিড কিংবা বাহারি ফুল দিয়ে চুলের সাজ সম্পূর্ণ করতে পারেন। ইচ্ছে হলে খোঁপায় আলগোছে লাগিয়ে নিন হালকা রঙের ওড়না।

কনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের সাজও হতে পারে কনের সঙ্গে মানানসই। তবে মনে রাখতে হবে, উজ্জ্বল রঙে, হাসিমুখে, সাজে-লাজে সে দিনের শো-স্টপার কিন্তু বিয়ের কনেই!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন