শুধু মাত্র সাজের অঙ্গ হিসেবে নয়, বরং চোখের সুরক্ষার জন্যও দরকারি সানগ্লাস। রোদচশমা চোখ সুরক্ষিত রাখে, গ্ল্যাম কোশেন্টও বাড়ায়।
• সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মিকে প্রতিরোধ করে। না হলে ক্যাটারাক্টের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে আমাদের চোখ।
• অনেক সময় রোদের হলকায় চোখ জ্বালা করে। সানগ্লাসের ব্যবহারে চোখের আরাম সুনিশ্চিত।
• সৌর বর্ণালীর (সোলার স্পেকট্রাম) নীল আলোকেও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে সানগ্লাস। এই আলোয় চোখে সমস্যা হতে পারে।
• চোখের চারপাশের ত্বক তুলনামূলক ভাবে একটু বেশিই অনুভূতিপ্রবণ হয়। ফলে সেই ত্বককেও নিরাপত্তা দেয় রোদচশমা।
রকমারি রোদচশমা
বাজারে অনেক রকমের রোদচশমা পাওয়া যায়। কিন্তু এখন ফ্যাশনে কেমন ধরনের ফ্রেম বা কাচ ইন, সেটা জেনে বাছতে হবে নিজের সানগ্লাস।
আয়নার মতো: সামনের যে কোনও জিনিসের প্রতিচ্ছবি ওঠে এই ধরনের কাচে। তাই একে বলে মিরর সানগ্লাস। কোথাও ঘুরতে গেলে এই মিরর গ্লাস একদম মনের মতো সঙ্গী।
এ পার-ও পার: ট্রান্সপারেন্ট সানগ্লাসে চোখ দেখা যায় পরিষ্কার। তবে দিনের বেলা খুব রোদে এই সানগ্লাস ব্যবহার না করে মেঘলা দিনের জন্য তুলে রাখাই ভাল। বিকেলের দিকে কোথাও যাওয়ার থাকলেও এই সানগ্লাস চোখে রাখতে পারেন।
ছাপ থাকুক: বন্ধুদের সঙ্গে ছুটির দিনে আউটিং থাকলে প্রিন্টেড সানগ্লাস দারুণ মানাবে। তবে সানগ্লাসের বর্ডারের প্রিন্ট পোশাকের প্রিন্টের সঙ্গে মানানসই হতে হবে।
রঙিন মণি: শোনা যায়, রোম সম্রাট নিরো গ্ল্যাডিয়েটরের লড়াই দেখার সময় চোখের সামনে পান্না ধরে রাখতেন, যাতে রোদে দেখতে অসুবিধে না হয়। সেই রাজকীয় ফিল পেতে চাইলে নীলকান্ত মণির মতো নীল বা পান্নারঙা রোদচশমা তুলে নিন চোখে।
চিরকালীন: কালচে খয়েরি সানগ্লাস বহু দিন ধরেই ফ্যাশনে ইন। এই রঙের কাচই নাকি চোখের সুরক্ষায় সবচেয়ে কার্যকরী।
এ ছাড়াও ছ’কোনা (হেক্সাগনাল), গোল, চৌকো, অ্যাভিয়েটর শেপের সানগ্লাস সব সময়েই ফ্যাশনদুরস্ত। এ বার সানগ্লাস কেনার পালা। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, নিজের মুখের শেপের সঙ্গে যেন মানানসই হয় ফ্রেম। অন্তত পক্ষে শতকরা ৭৫ থেকে ৯০ ভাগ রোদ আড়াল করতে পারে, এমন শেডের সানগ্লাস কেনাই ভাল।
মডেল: হিয়া, জুহি, অন্বেষা, অঙ্কিতা; মেকআপ: সন্দীপ নিয়োগী, উজ্জ্বল দত্ত (অন্বেষা, অঙ্কিতা); ছবি: দেবর্ষি সরকার; পোশাক: শপার্স স্টপ; সানগ্লাস: ইমেজ অ্যান্ড স্টাইল