মাত্র দু’বছর আগে ‘খাটুরা চিত্তপট’ নাট্যজগতে পা দিলেও বেশ সাড়ম্বরে নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিয়েছে ‘সত্যান্বেষী’ নাটকে। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যোমকেশ কাহিনি অবলম্বনে শুভদীপ রায়চৌধুরীর নাট্যরূপে। জটিলতা ভেঙে এবং দর্শকের আগ্রহ ও কৌতূহলকে এক চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে দিতে তরুণ পরিচালক শুভাশিস রায়চৌধুরীর পরিচালনা নাট্যজগতের এক নতুন দিক উন্মোচিত করেছে। নাটকের শেষে তারই প্রতিফলন ঘটেছে দর্শকদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসায়।
নাটকটি কেন নজর কাড়ে? বাঁকে বাঁকে রহস্যই শুধু নয়, নাটকের ‘টেক্সট’ এবং তা উপযুক্ত পরিবেশনায় পুরো নাট্যরূপই যেন কৌতূহলের দোরগোড়ায় বারবার হানা দেয়। ইঙ্গিত হিসেবে ‘দ্য গ্রেট গ্যাটসবি’-র প্রকাশ বা মুসোলিনির উল্লেখে ধরা পড়ে সম্ভাবনার নানা চোরা গোপ্তা গলিপথ। জটিলতা ছেড়ে সেই সব পথে বা মূল নাটকের রাজপথে অনায়াসে বিচরণ করেন অভিনেতারা। ব্যোমকেশ ও অজিত চরিত্রে শুভাশিস এবং শঙ্খদীপ সাবলীল। অন্যান্য ভূমিকায় সুজিত মজুমদার, তপন রায়চৌধুরী, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুরজিত্ হালদার, সোমনাথ সিংহ, সোমেন বিশ্বাস উল্লেখযোগ্য। ডাক্তারের ভূমিকায় প্রদীপ রায়চৌধুরী তাঁর নাট্যজীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরলেন এই চরিত্রে, অসাধারণ অভিনয়ে। মঞ্চে নীলাভ চট্টোপাধ্যায়, আবহে স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, আলোয় বাদল দাস উত্তীর্ণ।