ধ্রুবজ্যোতি তুমি

স্বামী বিবেকানন্দের দেড়শো বছরকে স্মরণ করতে আইসিসিআর-এ অনুষ্ঠিত হল ‘ধ্রুবজ্যোতি তুমি অন্ধকারে’। অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে ছোটদের সমবেত নৃত্যে বিবেকানন্দ বরণে। শ্রদ্ধা, ভক্তি, আদর্শ তিন মিলে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে নৃত্যশিল্পী অভিরূপ সেনগুপ্তের যোগ্য পরিচালনায়। নৃত্যের তালে তালে ছিল রবীন্দ্রগান ও রবীন্দ্র কবিতা।

Advertisement

পিনাকী চৌধুরী

শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০১৪ ০০:০৭
Share:

স্বামী বিবেকানন্দের দেড়শো বছরকে স্মরণ করতে আইসিসিআর-এ অনুষ্ঠিত হল ‘ধ্রুবজ্যোতি তুমি অন্ধকারে’। অনুষ্ঠানটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে ছোটদের সমবেত নৃত্যে বিবেকানন্দ বরণে। শ্রদ্ধা, ভক্তি, আদর্শ তিন মিলে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে নৃত্যশিল্পী অভিরূপ সেনগুপ্তের যোগ্য পরিচালনায়। নৃত্যের তালে তালে ছিল রবীন্দ্রগান ও রবীন্দ্র কবিতা। শিল্পীরা ছিলেন চন্দ্রাবলী রুদ্রদত্ত, সুছন্দা ঘোষ, ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়। পাঠে ছিলেন রায়া ভট্টাচার্য, কাজী কামাল হাসান, কোরক বসু, অনিন্দিতা কাজী। তবে অনুষ্ঠানের বড় প্রাপ্তি চন্দ্রাবলীর ‘সত্য সুন্দর প্রেমময় তুমি’, সুছন্দার ‘আগুনের পরশমণি’ গান দু’টি। স্বামী বিবেকানন্দের একটি পাঠে রায়া ভট্টাচার্যের কণ্ঠ-মাধুর্য বহু দিন মনে থাকবে শ্রোতাদের।

Advertisement

Advertisement

বাঁশিতে ডেকেছে কে

সম্প্রতি আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহে পরম্পরার উদ্যোগে নিবেদিত হল এক শাস্ত্রীয় নৃত্যসন্ধ্যা। প্রথম পর্বে ভরতনাট্যম নৃত্যশৈলীতে নিজেকে মেলে ধরেন বন্দনা আলাসে। দ্বিতীয় পর্যায়ে রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত পরম্পরার প্রযোজন্য ‘বাঁশি’। রাজদীপের সুচারু নৃত্যবিন্যাস ও তার সম্প্রদায়ের পরিশীলিত নৃত্যের অপূর্ব মেলবন্ধনে ভক্তের রাধা ও গোপিনীর মতো কৃষ্ণকে কাছে পাওয়ার আকুতি মূর্ত হয়ে ওঠে। বাঁশি এই ভাবনারই রূপক মাত্র। কথাকলি নৃত্যাঙ্গিকে কৃষ্ণের চরিত্রটিকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপিত করেন রম্যানী রায়। রাধার ভূমিকায় বর্ণালী ঘোষালও সপ্রতিভ। এছাড়া কৃষ্ণের সাধিকার ভূমিকায় চৈতী ঘোষের সুন্দর মুখজ অভিনয় প্রশংসার দাবি রাখে। ‘কার মিলন চাও’ গানটির সঙ্গে রাজদীপের কৃষ্ণের পায়ে নিজেকে সমর্পণের দৃশ্যটি মনে থাকে। সমগ্র অনুষ্ঠানটির আবহসঙ্গীত পরিচালনায় সুমন সরকার ও সঞ্চালনায় অনন্যা।

তুমি রবে নীরবে

শিখা বসু

উত্তম মঞ্চে মান্না দে’কে আবারও ফিরে পাওয়া গেল যখন স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত গেয়ে উঠলেন ‘কে তুমি তন্দ্রাহরণী’। ‘অন্বেষা’ আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আবারও শোনা গেল বিভিন্ন শিল্পীর কণ্ঠে মান্নার বিভিন্ন সময়ের জনপ্রিয় গানগুলি। আবেগ দিয়ে গাইলেন সৈকত মিত্র ‘অভিমানে চলে যেও না’। বনশ্রী সেনগুপ্তও বড় দরদ দিয়ে গাইলেন মান্না দে’র আরও একটি গান। কিন্তু মনোময় ভট্টাচার্য আবেগ ছেড়ে বেরিয়ে এলেন, দৃপ্ত কণ্ঠে শুনিয়ে দিলেন, ‘বাজে গো বীণা’। অপূর্ব গায়কি। অনুষ্ঠানের শুরুতে ত্রিধারা শোনাল সম্মেলক সঙ্গীত ‘তুমি রবে নীরবে’। পূরবী সংস্থা শোনাল ‘লাল নীল সবুজের মেলা বসেছে’। অন্যান্য শিল্পীদের মধ্যে ছিলেন অর্জুন চক্রবর্তী, প্রবুদ্ধ রাহা, সুছন্দা ঘোষ, শান্তিপ্রিয় সেনগুপ্ত, তপন ঘোষ, সুদীপ্তা বর্মন, উমা কাঞ্জিলাল, সুমিত্রা রায়, রণজয়ব্রত রায় ও ইরাবতী বসু। প্রত্যেকেই সুন্দর গেয়েছেন। সংযোজনায় ছিলেন সুপ্রকাশ মুখোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন