নানা রকম...

মনে থাকবে কালরাত্রি

অনুষ্ঠান দেখে লিখছেন বিজয়লক্ষ্মী বর্মন।অনুষ্ঠান দেখে লিখছেন বিজয়লক্ষ্মী বর্মন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০১৪ ১৭:৩০
Share:

রবীন্দ্রসদনে আবৃত্তিশিল্পী কাজল সুর পরিবেশন করলেন তাঁর প্রথম একক ‘আমি তোমাদেরই লোক’। তাঁর উপচারে যেমন ছিল বিনোদন, তেমনই গভীরতা। পাঁচ পর্বে ভাগ করা অনুষ্ঠানে সব চেয়ে বেশি জায়গা জুড়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। সেই অংশে তাঁর কবিতার অনুষঙ্গে এসেছে রবীন্দ্রনাথের বিভিন্ন আঙ্গিকের গান এবং তা একাধিক শিল্পীর কণ্ঠে। কবিতা আর গানের মেলবন্ধনে যেন মূর্ত হয়ে উঠেছিলেন কবি। রবীন্দ্রনাথের গানে যাঁরা ছিলেন তাঁদের মধ্যে তিন জনের কথা উল্লেখ করতেই হয়। কণ্ঠ ও সুরের বৈচিত্রে নিজেদের তুলে ধরেছিলেন অজন্তা সিংহ, স্বাতী পাল এবং সুছন্দা ঘোষ।

Advertisement

কাজলের গানের গলাটিও সুরে সাধা। ফলে গান গাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন। ‘পারিবারিক চালচিত্র’ এবং ‘সবিনয় নিবেদন’-এ গান হয়ে উঠেছে তাঁর পরিবেশনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। ‘প্রেমের কবিতা’, ‘শেষ পর্ব’, ‘আগুনের পরশমণি’কে তিনি খানিকটা সংক্ষেপ করলেন, সময়ের খাতিরে। তবু উজ্জ্বল হয়ে উঠল ‘ক্যামেলিয়া’, ‘প্রেমের পদাবলী’ এবং ‘কুড়ি বছর পরে’। আর যে দু’টি কবিতার আবৃত্তিতে কাজলকে উজ্জ্বলতম লেগেছে, অনুষ্ঠানের শুরুতে এবং একেবারে শেষে, সে দু’টিই মণিভূষণ ভট্টাচার্যের। বহু দিন মনে থাকবে প্রথম কবিতাটি ‘কালরাত্রি’। মঞ্চসজ্জায় অনাবশ্যক আড়ম্বর ছিল না, কিন্তু উজ্জ্বলতা ছিল প্রার্থিত মাত্রায়। আলো এবং আবহ যথাযথ সহযোগিতা করেছে। সুব্রত মুখোপাধ্যায় কী-বোর্ড বাজাচ্ছিলেন, তার আওয়াজ আর একটু নিচু গ্রামে বাঁধা হলে ক্ষতি হত না। আর মূল শিল্পী যখন সব ক’টি কবিতা স্মৃতি থেকেই বলছেন, তখন বেশ কয়েক জন কণ্ঠ-শিল্পী তাঁদের গানগুলি খাতা না দেখে গাইলে শোভনীয় হত। সব শেষ কথাটা কাজলকে। আপনার গলার গভীরতা হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়, স্মৃতি আর সুর আপনার আয়ত্তে। তবে আপনি কেন প্রায় সব কবিতার শেষ ছত্র একাধিক বার উল্লেখ করছিলেন তা বোঝা গেল না।

Advertisement

নানা রঙে রবিরঞ্জনী

‘রবিরঞ্জনী’র আয়োজনে ব্যারাকপুর পত্রিকার উদ্যোগে শুরুতেই ছিল নৃত্যালেখ্য ‘নৃত্যে তোমার মুক্তির রূপ’। সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন আত্রেয়ী বন্দ্যোপাধ্যায়, নৃত্য পরিচালনায় অপরাজিতা দাস। শিল্পী ছিলেন সৌমিত রায়, রঞ্জনা ভট্টাচার্য। পরে বিজ্ঞানবন্ধু ভট্টাচার্যের পরিচালনায় প্রান্তিক শিশুদের একটি নাটক ‘ইঁদুরের ভোজ’ প্রশংসা আদায় করে নেয়। সব শেষে ছিল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় শ্রুতিনাটক ‘তিন রায়’। অভিনয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, দ্বিজেন বন্দ্যোপাধ্যায়, পৌলমী চট্টোপাধ্যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন