Risk

ঋণপত্রে বিনিয়োগ করতে নজরে রাখবেন কী কী

মাথায় রাখতে হবে সঞ্চয়ের বাজার কিন্তু খানিকটা ঢেঁকির মতো। আজ যদি এটা পড়ে উল্টোদিকে অন্যটা উঠবে।

Advertisement

শৈবাল বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৩:২৩
Share:

প্রতীকী চিত্র

সঞ্চয় করতে চান। তার থেকে আয়ও করতে চান। তবে খবর রাখতে অনীহা। তাহলে কিন্তু আজকের দুনিয়ায় টাকা রাখার বদলে হারানোর সম্ভাবনাই বেশি। তাই কিন্তু চোখ কান খোলা রাখতেই হবে। তা সে যেখানেই রাখুন না কেন। আর একটা কথা। মাথায় রাখতে হবে সঞ্চয়ের বাজার কিন্তু খানিকটা ঢেঁকির মতো। আজ যদি এটা পড়ে উল্টোদিকে অন্যটা উঠবে। যেমন সোনার দাম। যখন সব পড়তে থাকে তখন দেখা যায় সোনার দাম উঠছে। যাঁরা বুদ্ধিমান তাঁরা কিন্তু সঞ্চয় এক জায়গায় ফেলে রাখেন না। নজরে রাখেন কোথায় কী ঘটছে। আর বিপদ বুঝলে সঞ্চয় এক জায়গা থেকে সরিয়ে অন্য জায়গায় নিয়ে যান নিজের টাকা সুরক্ষিত রাখতে।

Advertisement

বন্ড বা ঋণপত্র অবশ্য তুলনামূলক ভাবে সঞ্চয়ের নিশ্চিত আশ্রয়। তবুও নজর রাখতে হবে বইকি। মাথায় রাখতে হবে ঋণপত্র কিন্তু ধার। আপনি যখন তা কিনছেন তখন আপনি আসলে কাউকে তা ধার দিচ্ছেন। এবার যার কাছ থেকে আপনি ঋণপত্র কিনলেন, তার যদি আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়? তখন তো সে ধারের টাকা ঠিক মতো শোধ করতে পারবে না। তাই বাজারের হালচালের উপর নজর রাখাটা জরুরি।

এখন তো চাপ আরও বেশি। তাই যে সংস্থার ঋণপত্র কিনছেন ক্রেডিট রেটিং সংস্থার করা তার রেটিং দেখে নিন। মাথায় রাখবেন, যার রেটিং কম সেখান থেকে আয় বেশি কিন্তু ঝুঁকিও বেশি।

Advertisement

ক) তাই ঝুঁকি এড়াতে ঝুঁকুন ভাল রেটিং-এর ঋণপত্রের দিকে। এই কোভিডের সময় বাজার একদম তলানিতে। ঘুরে দাঁড়ানোর সব ইঙ্গিত যদিও পরিষ্কার কিন্তু তার ফল পেতে সময় লাগবে। তার আগে লাভের লোভে ঝুঁকির ঋণপত্রে হাত না দেওয়াই ভাল।

খ) কম সময়ের বন্ডে ঝুঁকি কম। এই ভাবে আমরা ভাবতেই পারি। কাউকে টাকা ধার দিলাম। যত কম দিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে শোধের চুক্তি হবে, টাকা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি। খুব বেশি দিনের জন্য দিলে নানান ঝুঁকি বাড়তে থাকে। যিনি ধার নিলেন তিনি অসুস্থ হয়ে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার অবস্থায় থাকলেন না অথবা তাঁর চাকরি চলে গেল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ রকম নানা চাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়তে থাকে আর টাকা শোধ পাওয়ার সম্ভাবনাও কমতে থাকে। সংস্থার ক্ষেত্রেও একই যুক্তি খাটে। তাই কম সময়ের ঋণপত্রে টাকা ঢাললে ঝুঁকিও কমে।আরও একটা সমস্যা তৈরি হয় দীর্ঘকালীন ঋণপত্রে টাকা ঢাললে। সেটা হল সুদের হারের ওঠা-পড়া। এ ব্যাপারটা একটু জটিল কিন্তু ঋণপত্র কেনা-বেচার ক্ষেত্রে একটা নিয়ম মাথায় রাখতে হবে। সেটা হল, সুদের হার পড়লে ঋণপত্রের দাম বাড়ে, সুদের হার চড়লে ঋণপত্রের দাম পড়ে। কেন তা পরে আলোচনা করা যাবে।

কী করবেন

ঋণপত্রে বিনিয়োগের ঝুঁকি কম। করের দিক থেকেও সুবিধা অনেক। আর রয়েছে স্থায়ী আয়ের অন্য সঞ্চয়ের রাস্তা থেকে এই বিনিয়োগ থেকে চট করে বেরিয়ে আসার সুযোগ। তবে ঋণপত্রের মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করলে সেই জাতীয় ফান্ডেই ঝোঁকা ভাল যেগুলি সরকারি বা সরকার নিয়ন্ত্রিত সংস্থার ঋণপত্রে বিনিয়োগ করে থাকে। এই জাতীয় ফান্ডের টাকায় ঝুঁকি একেবারে নেই বললেই হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন