আপনাদের প্রশ্ন

ক) কোনও সংস্থার পি ই রেশিও কী ভাবে নির্ণয় করা হয়? এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কী ভাবে বদল হয়? খ) মিউচুয়াল ফান্ডে ডিভিডেন্ড রিইনভেস্ট এবং গ্রোথ অপশনের মধ্যে কোনটি কার্যকরী? অর্থাত্‌ রিটার্নের ক্ষেত্রে এই দু’টি বিষয়ের মধ্যে কোনটি বেশি ভাল এবং কেন?

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:৫৮
Share:

• আমার তিনটি প্রশ্ন আছে।

Advertisement

ক) কোনও সংস্থার পি ই রেশিও কী ভাবে নির্ণয় করা হয়? এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কী ভাবে বদল হয়?

খ) মিউচুয়াল ফান্ডে ডিভিডেন্ড রিইনভেস্ট এবং গ্রোথ অপশনের মধ্যে কোনটি কার্যকরী? অর্থাত্‌ রিটার্নের ক্ষেত্রে এই দু’টি বিষয়ের মধ্যে কোনটি বেশি ভাল এবং কেন?

Advertisement

গ) আমাদের দেশে যে-সব বড় সংস্থা ব্যবসা করে, তাদের সকলের শেয়ারই কি কেনাবেচা করা যায়? যদি না-যায়, তা হলে কেন? কিছু কিছু সংস্থা যেমন, টিভির জগতে সোনি, ক্যামেরার ক্ষেত্রে নিক্কন, এসি-র হিতাচি ইত্যাদি সংস্থার শেয়ার দর কোথাও দেখতে পাই না কেন?

মানস সরকার, তারকেশ্বর

ক) পি ই রেশিও বা প্রাইস টু আর্নিং রেশিও নির্ণয় করতে একটি সংস্থার শেয়ার দরকে সেই সংস্থার শেয়ার প্রতি আয় (আর্নিংস পার শেয়ার বা ইপিএস) দিয়ে ভাগ করা হয়। ইপিএস প্রত্যেক তিন মাসে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়। তাই প্রত্যেক ত্রৈমাসিকেই ইপিএস দেখে নেওয়া ভাল। শেয়ার দর প্রতিদিন বদলাতে পারে। সুতরাং আমরা ইচ্ছে করলে প্রতিদিনের পি ই হিসাব করতে পারি, বাজার বন্ধের সময়ে দাঁড়ানো দামকে শেষ পাওয়া ইপিএস দিয়ে ভাগ করে। বন্ধের সময়ের দাম পাওয়া যাবে যে-কোনও শেয়ার বাজারের ‘গেট কোট’ বিভাগে। ই পি এস পাওয়া যাবে ওই সংস্থার ওয়েবসাইটে। একটি শিল্পের পি ই মানে আবার ওই শিল্পের অন্তর্ভুক্ত যত সংস্থা আছে, সেগুলির সবক’টির গড় পি ই।

খ) গ্রোথ অপশন এবং ডিভিডেন্ড রিইনভেস্টমেন্ট মিউচুয়াল ফান্ডে লগ্নিকারীরা দু’টি সুবিধাই নিতে পারেন। রিটার্ন বাড়ানোর ক্ষেত্রে দু’টিই নিজের নিজের জায়গায় কার্যকরী। তাদের মধ্যে কোথাও কোনও রকম বিরোধ নেই বা ভাল-খারাপের ব্যাপার নেই। গ্রোথ অপশনে লগ্নিকারীদের লাভ হয় যখন ফান্ডের ন্যাভ বাড়তে থাকে। ন্যাভ যত বাড়বে, তত ফুলেফেঁপে উঠবে ফান্ডের তহবিল। অর্থাত্‌ তত বেশি রিটার্ন আসবে লগ্নিকারীর ঘরে।

অন্য দিকে, ডিভিডেন্ড রিইনভেস্টমেন্ট অপশনের ক্ষেত্রে যে- টাকাটা ডিভিডেন্ড হিসেবে লগ্নিকারীর হাতে আসার কথা, সেটি আবার ফান্ডে লগ্নি করে দেওয়া হয়। রিটার্ন বাড়ানোর জন্য আপনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার পছন্দ, সুবিধা ও প্রয়োজনের উপর নির্ভর করছে। এ ক্ষেত্রে তেমন কোনও বাঁধাধরা নিয়ম নেই। শুধুমাত্র ফান্ড বেছে নেওয়ার সময়ে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়ার কথা কোনও সময়ই ভুললে চলবে না। এগুলি হল

১) ফান্ডটি কোন ধরনের ঋণপত্র ভিত্তিক (ডেট) না শেয়ার বাজার ভিত্তিক (ইকুইটি)?

২) মেয়াদ কত দিনের?

৩) আয়করে কী প্রভাব পড়বে?

গ) এ বার আপনার তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর। একটি শেয়ার বাজারে যে- সংস্থাগুলি নথিভুক্ত থাকে, সেখানে শুধুমাত্র সেগুলির শেয়ারেরই কেনাবেচা হয়। এই সব সংস্থা ‘পাবলিক লিমিটেড’ এবং ‘লিস্টেড’ হিসেবে পরিচিত। আপনি যে-সংস্থাগুলির নাম উল্লেখ করেছেন, এ দেশে সেগুলি ‘প্রাইভেট লিমিটেড’ সংস্থা হিসেবে রয়েছে।

পরামর্শদাতা নীলাঞ্জন দে ও অদিতি নন্দী

• শেয়ার বাজারে অংশ নিতে গেলে আমাকে কী কী করতে হবে?

ঋদ্ধি পাল, বালিগঞ্জ

শেয়ার বাজারে অংশ নিতে গেলে আপনাকে প্রাথমিক ভাবে কী কী করতে হবে, সেগুলি এক এক করে বলে দিচ্ছি।

সব থেকে আগে দরকার তিনটি অ্যাকাউন্ট

১) নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

২) ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট।

৩) ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট। যাকে বলে ইউনিক ক্লায়েন্ট কোড।

শেয়ার কেনা-বেচার জন্য চেকের মাধ্যমে টাকা দিতে বা নিতে লাগে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টের কাজ আপনার কেনা শেয়ার জমা রাখা। পুরো নাম ডিমেটিরিয়ালাইজেশন অব শেয়ার্স। এতে একটি অনলাইন অ্যাকাউন্টে আপনার নামে শেয়ারগুলি জমা থাকে। ডি-ম্যাট খোলা যায় ব্যাঙ্ক বা ব্রোকার সংস্থায়। আর শেয়ার কেনা-বেচার মূল প্রক্রিয়া চলে ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট মারফত। যে ব্রোকার সংস্থার মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার কেনা-বেচা করবেন, তারাই এটা খুলে দেবে।

আপনি কোনও ব্রোকারের কাছে একই সঙ্গে ডি-ম্যাট ও ট্রেডিং অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। মূলধনী বাজারের জন্য ‘নো ইয়োর ক্লায়েন্ট’ (কেওয়াইসি) রেজিস্ট্রেশনও করতে হবে। এর জন্য আপনার প্যান কার্ড, পরিচয় ও ঠিকানার প্রমাণপত্র জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। ফলে আগেই তা গুছিয়ে রাখুন।

একবার অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়ে গেলে ব্রোকার সংস্থাটির নিয়ম অনুযায়ী শেয়ার কেনা-বেচা করতে পারেন। বাজারে যদি নতুন শেয়ার ছাড়ে কোনও সংস্থা, সেগুলিও কেনার জন্য আবেদন করতে পারেন।

পরামর্শদাতা অদিতি নন্দী

• আমার ব্যাঙ্কের পাসবই হারিয়ে গিয়েছে। থানায় ডায়েরি করেছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ব্যাঙ্ক ম্যানেজার আমাকে নানা রকম কারণ দেখিয়ে নতুন পাসবই দিচ্ছেন না। কী ভাবে তা পেতে পারি?

প্রিন্স আজমল, মুর্শিদাবাদ

ব্যাঙ্কের পাসবই হারিয়ে গেলে থানায় ডায়েরি করে, তার একটি কপি ব্যাঙ্ক কর্তাদের দেখালে ডুপ্লিকেট পাসবই দেওয়া হয়। এটাই নিয়ম। ডায়েরির বয়ান কী হবে, তা ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের কাছে আগে থেকে জেনে নিলে ভাল হয়। তবে তার পরেও যদি ব্যাঙ্ক ডুপ্লিকেট পাসবুক ইস্যু না-করে, তা হলে ব্যাঙ্কিং ওম্বাডসম্যানের কাছে অভিযোগ জানাতে পারেন আপনি।

জমিই হোক বা সঞ্চয়। আপনার যে কোনও বিষয়-সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের জন্য লিখুন।
ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না।

‘বিষয়’, ব্যবসা বিভাগ, আনন্দবাজার পত্রিকা,

৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা, পিন-৭০০০০১

ই-মেল: bishoy@abp.in

টুকরো খবর

এসবিআই এমএফের নতুন প্রকল্প

বাজারে নতুন একটি মিউচুয়াল ফান্ড প্রকল্প ‘ইকুইটি অপরচুনিটিজ ফান্ড সিরিজ-১’ আনছে এসবিআই এমএফ। এটি তিন বছরের ক্লোজ এন্ডেড প্রকল্প। যার বেশির ভাগ টাকাই লগ্নি করা হবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রায় ৪০-৫০টি সংস্থার শেয়ার এবং শেয়ার ভিত্তিক প্রকল্পে। আর বাকি টাকা ঢালা হবে ঋণপত্র নির্ভর প্রকল্পে। এতে প্রাথমিক ভাবে লগ্নি করা যাবে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন