চার চাকা বা দু’চাকার গাড়ি কেনার শখ অনেকেরই থাকে। সংসারের রোজকার খরচাপাতি মিটিয়ে হাতে কিছু বাড়তি টাকা থাকলে, অনেকে তা পূরণও করেন। কিন্তু গাড়ি কেনার সময়ে তার এক্স-শোরুম দামের কথা যতটা মাথায় থাকে, গাড়ির উপর কত কর দিতে হবে, সেই ধারণা তেমন স্বচ্ছ থাকে না। অথচ গাড়ির মূল দামের (তৈরির খরচ মিটিয়ে তার উপর লভ্যাংশ রেখে সংস্থা যে-দর স্থির করে) থেকে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয় ক্রেতাকে। কারণ মূল দামের উপর কেন্দ্রীয় কর চাপে। বসে রাজ্যের বিভিন্ন করও। মূলত কী কী কর চাপে এবং তাদের হার কেমন, এখানে সেটাই দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব আমরা।
১০ জুলাই বাজেট। সেখানে কেন্দ্রীয় করের হার বদলাবে কিনা, সে দিকে এখন নজর সকলের। তার আগে এখনকার হার জেনে রাখলে মন্দ কি?
• আমার বাবা বেশ কিছু শেয়ারে টাকা ঢাললেও কোনও রেকর্ড রাখেননি। যিনি ব্রোকার, তাঁকে আমি বিশ্বাস করি না। বাবা সাধারণত তাঁকে সই করা ডিম্যাট স্লিপ দিয়ে দেন শেয়ার কেনাবেচার জন্য। কিন্তু আমি কী করে নিশ্চিত হব যে, কোনও শেয়ার সে নিজের নামে বদল করে নিচ্ছে না?
কৃষ পাল
ডিম্যাট ডেলিভারি ইনস্ট্রাকশন স্লিপ ফাঁকা অবস্থায় সই করে কখনও কারও হাতে দেওয়া উচিত নয়। এটা ব্ল্যাঙ্ক চেক অর্থাত্ চেকে কোনও কিছু না-লিখে কাউকে দিয়ে দেওয়ার মতোই। বিষয়টির গুরুত্ব না-বুঝে এর মধ্যেই যদি এ রকম ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন, তা হলে অবিলম্বে সেটি বাতিল করার জন্য চিঠি লিখুন এবং বাতিল করা বইটি বা স্লিপগুলি ফেরত নিন। যদি তা খুঁজে না-পাওয়া যায়, তা হলে কিন্তু নিকটবর্তী থানায় এটি হারিয়ে যাওয়ার এফআইআর করতে হবে। এফআইআরের কপি দিয়ে চিঠি লিখতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থায়।
সব সময়ে মাথায় রাখবেন, যত অসুবিধাই হোক না-কেন শেয়ার বিক্রির ডেলিভারি ইনস্ট্রাকশন স্লিপ নিজে দেবেন। আপনার সুবিধার জন্যই তো ইলেকট্রনিক ইনস্ট্রাকশন, মানে ইন্টারনেট মারফত নির্দেশ দেওয়ার ব্যবস্থা আছে বেশির ভাগ ব্রোকারেজ সংস্থায়। এই সুবিধার সুযোগ নিন আপনার নিজস্ব কম্পিউটার থেকে বা তা সম্ভব না-হলে কাছাকাছি অবস্থিত কোনও সাইবার ক্যাফে থেকে। নিজেই ওই বৈদ্যুতিন মাধ্যমে নির্দেশ পাঠান। ঠিক যে-ভাবে আপনি নেট ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা নিয়ে থাকেন, তেমন ভাবেই।
পরামর্শদাতা অদিতি নন্দী।