Bollywood Gossip

সহ-অভিনেতার সঙ্গে পরকীয়ার সন্দেহ! নৌসেনায় কর্মরত স্বামীকে ‘সততা’র প্রমাণ দিতে ভরা সেটে নায়ককে চড় মেরেছিলেন অভিনেত্রী

নূতনের দাবি, সঞ্জীবই নাকি তাঁদের সম্পর্কের কথা বলিপাড়ার অন্দরমহল থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের কানে তুলেছিলেন। তার প্রভাব পড়েছিল নূতনের সংসারেও।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ১২:০০
Share:
০১ ১৮

চার দশক ধরে বলিপাড়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ৮০টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তবে, বলিউ়ডের সঙ্গে তাঁর জীবনসঙ্গীর দূরদূরান্তে কোনও সম্পর্ক ছিল না। বলি অভিনেতার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে সংসারে অশান্তি শুরু হয়েছিল নায়িকার। সততার প্রমাণ দিতে বলিপাড়ার জনপ্রিয় নায়ককে সকলের সামনে চড় মেরেছিলেন বলি অভিনেত্রী নূতন।

০২ ১৮

কবি-পরিচালক কুমারসেন সমর্থ এবং অভিনেত্রী শোভনা সমর্থের বড় মেয়ে নূতন। ১৯৩৬ সালের জুন মাসে জন্ম তাঁর। বাবা-মা, দুই বোন তনুজা এবং চতুরা, ভাই জয়দীপের সঙ্গে থাকতেন তিনি। কিন্তু জয়দীপের জন্মের আগেই নূতনের বাবা-মায়ের দাম্পত্য ভেঙে গিয়েছিল। তার পর চার সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন শোভনা।

Advertisement
০৩ ১৮

১৯৫০ সালে শোভনার পরিচালনায় ‘হামারি বেটি’ ছবিতে প্রথম অভিনয় করেছিলেন ১৪ বছর বয়সি নূতন। ১৯৫৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সীমা’ ছবিতে অভিনয় করে নায়িকা হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। ‘পেয়িং গেস্ট’, ‘সুজাতা’, ‘আনাড়ি’, ‘মঞ্জিল’, ‘তেরে ঘর কে সামনে’, ‘বন্দিনী’, ‘মিলন’, ‘ম্যায় তুলসি তেরে অঙ্গন কি’র মতো একাধিক সফল ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

০৪ ১৮

দেব আনন্দ এবং নূতনের জুটি বড় পর্দায় খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। তবে, ‘শোলে’র ঠাকুর তথা বলি অভিনেতা সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়েছিল নূতনের। নায়কের সঙ্গে নূতন বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন, গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে সারা ইন্ডাস্ট্রিতে। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি।

০৫ ১৮

১৯৫৯ সালের অক্টোবর মাসে নৌসেনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রজনীশ বহেলকে বিয়ে করেছিলেন নূতন। বিয়ের দু’বছর পর ১৯৬১ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন নায়িকা। তার পরেই সঞ্জীব কুমারের সঙ্গে নাম জড়িয়ে পড়েছিল তাঁর।

০৬ ১৮

১৯৭০ সালে মধুসূদন রাওয়ের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘দেবী’। এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল সঞ্জীব এবং নূতনকে। সঞ্জীবের জীবনীকার হানিফ জ়াভেরি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘দেবী’ ছবির শুটিং চলাকালীন নূতনের সঙ্গে সঞ্জীবের সম্পর্ক গাঢ় হয়েছিল।

০৭ ১৮

হানিফের দাবি, নূতনের সঙ্গে সঞ্জীবের মাখো মাখো সম্পর্ক থাকলেও তা কোনও পরিণতি পায়নি। ‘দেবী’ সিনেমার পরিচালকই নাকি দুই তারকার প্রেমের রসায়ন বুনতে আরও সাহায্য করেছিল। কিন্তু তাঁদের পরকীয়ার কথা কোনও ভাবে ইন্ডাস্ট্রিতে জানাজানি হয়ে যায়।

০৮ ১৮

নূতনের দাবি, সঞ্জীবই নাকি তাঁদের সম্পর্কের কথা বলিপাড়ার অন্দরমহল থেকে শুরু করে সাংবাদিকদের কানে তুলেছিলেন। তার প্রভাব পড়েছিল নূতনের সংসারেও। নূতনের স্বামী রজনীশের কানে সে কথা পৌঁছোয়। স্ত্রী যে তাঁর সহ-অভিনেতার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছেন, তা শুনে রেগে গিয়েছিলেন তিনি।

০৯ ১৮

চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বলে সঞ্জীবের প্রতি রেগে গিয়েছিলেন নূতন। স্বামীর কাছে সততার প্রমাণ দিতে চেয়েছিলেন তিনি। তাই এক দিন ভরা সেটে সকলের সামনে সঞ্জীবকে চড় মেরেছিলেন নূতন। তাঁর সঙ্গে সঞ্জীবের পেশাগত সম্পর্ক ছাড়া অন্য কোনও সম্পর্ক নেই তা সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

১০ ১৮

সঞ্জীবকে চড় মারার প্রসঙ্গ নিয়ে নূতন এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, তিনি এই ঘটনা নিয়ে বিন্দুমাত্র অনুতাপবোধ করেন না। বরং নিজের সম্মানরক্ষার্থে সঞ্জীবকে চড় মেরেছিলেন তিনি।

১১ ১৮

নূতন আরও জানিয়েছিলেন, ‘‘সঞ্জীব নিজেকে কী মনে করেন? ওঁর জন্য আমি আমার দেবতুল্য স্বামীকে ছেড়ে দেব? সঞ্জীব আমার স্বামীর নখের যোগ্যও নন।’’ নূতনের কাছে চড় খাওয়ার পর তাঁকে আর কিছু বলেননি সঞ্জয়। সেট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

১২ ১৮

বলিপাড়া সূত্রে খবর, সেট ছেড়ে বেরিয়ে সঞ্জীব তাঁর বন্ধু পরিচালক আসপি ইরানির বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে আসপিকে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছিলেন নায়ক। পরিচালক তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, এই বিষয়ে যেন কাকপক্ষীও টের না পায়।

১৩ ১৮

হানিফের দাবি, নূতন যে দিন সেটে সঞ্জীবকে চড় মেরেছিলেন, তার আগের দিন অন্য একটি ঘটনা ঘটেছিল। নূতন এবং তাঁর স্বামীর মধ্যে খুব অশান্তি চলছিল বলে খবর পেয়েছিলেন সঞ্জীব। তা শুনে একদমই ভাল লাগেনি তাঁর।

১৪ ১৮

বলিউডের গুঞ্জন, নূতনের সঙ্গে ঝামেলা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য রজনীশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন সঞ্জীব। নায়িকার শুভানুধ্যায়ী হিসাবে তিনি এই পদক্ষেপ করলেও নূতনের স্বামী তা ভাল ভাবে গ্রহণ করেননি। সঞ্জীবকে নিয়ে তাঁর সন্দেহ আরও বেড়ে গিয়েছিল। স্বামীর সন্দেহ দূর করতেই পরের দিন সেটে গিয়ে নাকি সঞ্জীবকে চড় মেরেছিলেন নূতন।

১৫ ১৮

শেষ পর্যন্ত সংসার জোটেনি সঞ্জীবের ভাগ্যে। হানিফের কথায়, ‘‘সঞ্জীবের জীবনযাত্রার সঙ্গে কোনও নারী মানিয়ে নিতে পারতেন না ভেবে আর কখনও বিয়ে করতে চাননি তিনি। কারও বোঝা হয়ে থাকতে চাননি সঞ্জীব।’’

১৬ ১৮

বলিপাড়া সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের পালি হিলে একটি এক কামরার ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন সঞ্জীব। নিজের বাড়িতে আমিষ খাওয়ার উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে এই বাড়ি ভাড়া নিতে হয়েছিল তাঁকে। আমিষ খাবারের সঙ্গে মাঝেমধ্যে মদ্যপানও করতেন তিনি। এমনও দিন গিয়েছে, যখন ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত মদ-মাংসে ডুবে থেকেছেন সঞ্জীব।

১৭ ১৮

কানাঘুষো শোনা যায়, সঞ্জীবের সঙ্গে মদ-মাংসের আসরে মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকতেন শম্মী কপূর, শত্রুঘ্ন সিংহ, রণধীর কপূর এবং সচিন পিলগাঁওকরের মতো বলি তারকারা। তবে অধিক মদ্যপান সহ্য হয়নি অভিনেতার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের সমস্যা ধরা পড়েছিল তাঁর।

১৮ ১৮

প্রথম হার্ট অ্যাটাকের পর আমেরিকায় অস্ত্রোপচারও করানো হয় সঞ্জীবের। কিন্তু দ্বিতীয় বারের ধাক্কা আর সামলাতে পারেননি তিনি। ১৯৮৫ সালের নভেম্বর মাসে মাত্র ৪৭ বছর বয়সেই মৃত্যু হয় অভিনেতার। অন্য দিকে, ১৯৯১ সালে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন নূতন।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement