Jaya Prada

তিন সন্তানের বাবা বিবাহিত প্রযোজককে বিয়ে করতে ‘সর্বস্ব ত্যাগ’, দাম্পত্যে শুধু ‘কষ্ট’ই পেয়েছেন অমিতাভ, জীতেন্দ্রের নায়িকা

দক্ষিণী ফিল্মজগৎ থেকে বলিউডে পদার্পণ করেছিলেন নায়িকা। তার উপর আবার নৃত্যেও পারদর্শী ছিলেন। কেরিয়ারের দিক থেকে সাদৃশ্য থাকায় অনেকেই তাঁকে শ্রীদেবীর সঙ্গে তুলনা করতেন। কিন্তু দুই নায়িকার সম্পর্ক নাকি পেশাগত জীবনে একেবারেই মধুর ছিল না।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৫১
Share:
০১ ১৫

সত্তর থেকে আশির দশকে বড় পর্দায় আগমন নায়িকার। তা-ও আবার কিশ‌োরী বয়সে। দক্ষিণী চলচ্চিত্রজগতের প্রথম সারির তারকা থেকে কম সময়ের মধ্যেই বলিপাড়ার ডাকসাইটে সুন্দরী অভিনেত্রীর তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন অমিতাভ বচ্চন-জীতেন্দ্র-কমল হাসন-রজনীকান্তের নায়িকা। পেশাগত জীবনে সাফল্য পেলেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। বিবাহিত প্রযোজক এবং তিন সন্তানের পিতাকে বিয়ে করায় ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হিসাবে দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল জয়াপ্রদাকে।

০২ ১৫

ছোট থেকে নৃত্যে পারদর্শী ছিলেন জয়াপ্রদা। স্কুলের অধিকাংশ অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতেন তিনি। তেমনই এক বার্ষিক অনুষ্ঠানে পারফর্ম করার পর তাঁর জীবন অন্য দিকে মোড় নেয়। স্কুলের কোনও এক বার্ষিক অনুষ্ঠানে নাচের পারফরম্যান্স ছিল জয়াপ্রদার। দর্শকাসনে বসেছিলেন দক্ষিণী ফিল্মজগতের এক ছবিনির্মাতা। জয়াপ্রদার নাচ দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement
০৩ ১৫

‘ভূমি কোসাম’ নামের তেলুগু ভাষার ছবিতে একটি নাচের দৃশ্যে অভিনয় করার প্রস্তাব পান জয়াপ্রদা। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয়ের দায়িত্ব নিতে পারবেন কি না তা নিয়ে সংশয় ছিল জয়াপ্রদার। প্রথমে আপত্তি জানালেও জয়াপ্রদার বাবা-মা তাঁকে উৎসাহ দিয়েছিলেন।

০৪ ১৫

১৯৭৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে ‘ভূমি কোসাম’ ছবিটি মুক্তি পেলে জয়াপ্রদার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে গিয়েছিলেন দর্শক। একের পর এক দক্ষিণী ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেতে শুরু করেছিলেন তিনি। একাধিক তামিল এবং তেলুগু ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। দক্ষিণী ফিল্মজগতের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী নায়িকা হিসাবেও জায়গা তৈরি করে ফেলেছিলেন তিনি।

০৫ ১৫

আশির দশকের শেষের দিকে বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন জয়াপ্রদা। এক দিকে তিনি রজনীকান্ত, কমল হাসন, মামুতির মতো দক্ষিণী অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করতেন। অন্য দিকে অমিতাভ বচ্চন, জীতেন্দ্র, রাকেশ রোশন এবং মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বলিপা়ড়ার জনপ্রিয় নায়কদের সঙ্গেও অভিনয় করেও একাধিক হিট ছবি দর্শককে উপহার দিয়েছিলেন জয়াপ্রদা।

০৬ ১৫

দক্ষিণী ফিল্মজগৎ থেকে বলিউডে পদার্পণ করেছিলেন জয়াপ্রদা। তার উপর আবার নৃত্যেও পারদর্শী ছিলেন। কেরিয়ারের দিক থেকে সাদৃশ্য থাকায় অনেকেই তাঁকে শ্রীদেবীর সঙ্গে তুলনা করতেন। কিন্তু দুই নায়িকার সম্পর্ক নাকি পেশাগত জীবনে একেবারেই মধুর ছিল না। অথচ শ্রীদেবী এবং জয়াপ্রদা একসঙ্গে একাধিক ছবিতে কখনও দুই বোনের ভূমিকায়, কখনও আবার দুই বান্ধবীর ভূমিকায় অভিনয় করতেন।

০৭ ১৫

শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে জয়াপ্রদা এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সম্পর্ক বড় পর্দায় যতই মাখো মাখো থাকুক না কেন, ক্যামেরার পিছনে আমরা ছিলাম ততটাই দূরে। সেটের ভিতর দু’জনে দুই প্রান্তে বসতাম। কেউ কারও দিকে সরাসরি তাকাতামও না।’’

০৮ ১৫

কানাঘুষো শোনা যায়, ‘মকসদ’ ছবির শুটিংয়ের সময় শ্রীদেবীর সঙ্গে জয়াপ্রদার মতবিরোধ হলে তাঁরা কথা বলাও বন্ধ করে দিতেন। তখন তাঁদের সহ-অভিনেতা রাজেশ খন্না অথবা জীতেন্দ্র দুই নায়িকাকে এক ঘরে বন্ধ করে দিতেন। এক ঘরে বন্দি থাকার পরেও তাঁরা নাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা চুপচাপ বসে থাকতেন।

০৯ ১৫

শ্রীদেবী এবং জয়াপ্রদা পরস্পরের প্রতিযোগী ছিলেন বলেই গুঞ্জন শোনা যেতে থাকে। একসঙ্গে ৯ থেকে ১২টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তাঁরা। তবে দূরত্ব কখনওই কমেনি। পরে অবশ্য দুই নায়িকার বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল বলে অনেকের ধারণা। ২০১৫ সালে জয়াপ্রদার পুত্রের বিয়েতে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রিত ছিলেন শ্রীদেবী।

১০ ১৫

জয়াপ্রদা নাকি ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হয়ে এক প্রযোজকের সুখের সংসার ভেঙে ফেলেছিলেন। তিন সন্তানের পিতা এবং বিবাহিত প্রযোজকের প্রেমে পড়েছিলেন তিনি। গোপনে বিয়েও করে ফেলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।

১১ ১৫

এক সাক্ষাৎকারে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করার সময় জয়াপ্রদা জানিয়েছিলেন যে, তাঁর দাম্পত্যজীবন সুখকর ছিল না। তিনি সেই সম্পর্ক থেকে শুধু বেদনাই পেয়েছিলেন। অথচ জীবনসঙ্গীর জন্য তিনি নাকি ‘সর্বস্ব ত্যাগ’ করে দিয়েছিলেন।

১২ ১৫

১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শ্রীকান্ত নাহাতা নামে এক প্রযোজককে বিয়ে করেছিলেন জয়াপ্রদা। কিন্তু সেই সময় বিবাহিত ছিলেন শ্রীকান্ত। জয়াপ্রদা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আয়কর নিয়ে আমি একসময় বড় সমস্যায় প়ড়েছিলাম। তখন আমায় সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না। কঠিন সময়ে আমার হাত ধরেছিল শ্রীকান্ত। ওকে বিয়ে করার পর আমি আমার সর্বস্ব ত্যাগ করে দিয়েছিলাম।’’

১৩ ১৫

গুঞ্জন শোনা যায়, জয়াপ্রদাকে বিয়ের আগে দুই সন্তানের পিতা ছিলেন শ্রীকান্ত। প্রথম স্ত্রীকে বিচ্ছেদ না দিয়ে গোপনে নায়িকাকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁদের দাম্পত্য জীবন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।

১৪ ১৫

জয়াপ্রদাকে বিয়ের পর শ্রীকান্তের বাড়িতে ফের নতুন অতিথি আসে। তৃতীয় সন্তানের জন্ম দেন শ্রীকান্তের স্ত্রী। অন্য দিকে, পুত্রসন্তান দত্তক নিয়েছিলেন জয়াপ্রদা। সিনেমার পাশাপাশি রাজনীতির দিকে ঝুঁকে পড়তে শুরু করেছিলেন নায়িকা।

১৫ ১৫

১৯৯৪ সালে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন জয়াপ্রদা। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের রামপুর কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে শেষ বারের মতো বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে জয়াপ্রদাকে। ‘রামচন্দ্র বস অ্যান্ড কোং’ নামের মালয়ালম ভাষার একটি ছবিতে শেষ অভিনয় করেন তিনি।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement