বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের স্টেডিয়ামে এই ম্যাচ ঘিরে তৈরি হয়েছিল আলাদা উন্মাদনা। তবে বাংলাদেশ দাগ কাটতে পারল না।
শুরুটা অবশ্য ভালই করেছিলেন নাজমুলরা। টসে জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের ওপেনিং জুটি ভারতের বোলারদের কালঘাম ছুটিয়ে দিয়েছিল।
দুই ওপেনার লিটন দাস এবং তানজ়িদ হাসান অর্ধশতরান করেন। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৯৩ রান। তবে তার পরে আর কেউ পঞ্চাশের গণ্ডি পেরোতে পারেননি।
বাংলাদেশ ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন লিটন। ৮২ বল খেলে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৬৬। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ভারতকে আড়াইশোর বেশি রান তাড়া করতে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। লিটনের প্রাপ্য ১০-এর মধ্যে ৮।
তানজ়িদও খারাপ খেলেননি। তাঁর নামের পাশে আছে ৪৩ বলে ৫১ রান। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে এই ম্যাচ থেকে তাঁর প্রাপ্য ১০-এর মধ্যে ৭।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহিদি হাসান বেশি ক্ষণ ক্রিজ়ে থাকতে পারেননি। তাঁদের ব্যাট থেকে এসেছে যথাক্রমে ৮ এবং ৩ রান। তবে মেহিদি দু’টি উইকেট নিয়েছেন। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে শান্ত পাচ্ছেন ২। মেহিদির প্রাপ্য ৬।
তোহিদ হৃদয় ৩৫ বলে ১৬ রান করেছেন। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে রিপোর্ডকার্ডে তাঁর স্থান খুব উপরে নেই। হৃদয় পাচ্ছেন ১০-এর মধ্যে ৪।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু রান এসেছে মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে। তিনি করেছেন ৪৬ বলে ৩৮ রান। একটি ছয় এবং একটি চার মেরেছেন তিনি। তাঁর প্রাপ্য ১০-এর মধ্যে ৬।
ভাল খেলেছেন মাহমুদুল্লাও। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩৬ বলে ৪৬ রান এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। তিনটি ছক্কা এবং তিনটি চার দিয়ে সাজানো তাঁর ইনিংস। তিনি পাচ্ছেন ৭।
আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন নাসুম আহমেদ। তিনি ১৮ বলে ১৪ রান করে আউট হয়েছেন। তাঁর প্রাপ্য ১০-এর মধ্যে ৪।
মুস্তাফিজ়ুর রহমান এবং শরিফুল ইসলাম ব্যাটে বলে বিশেষ কিছু করতে পারেননি। তাঁরা দু’জনেই পাচ্ছেন ২।
হাসান মাহমুদ ব্যাট হাতে সুযোগ না পেলেও ভারতের প্রথম উইকেটটি নেন তিনিই। অর্ধশতরান থেকে মাত্র ২ রান দূরে রোহিতকে ফিরিয়েছেন তিনি। তবে সার্বিক বোলিংয়ে ধার ছিল না। একসময়ে পর পর নো বল করেছেন। তাঁর প্রাপ্য ৫।
বাংলাদেশের আর কোনও বোলারই আগুন ঝরাতে পারেননি। তাঁদের সহজেই খেলেছেন ভারতীয় ব্যাটারেরা।
বাংলাদেশের ২৫৬ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ছন্দে ছিল ভারত। রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল স্কোরবোর্ডের উপর কখনওই চাপ পড়তে দেননি।
শুরু থেকেই চালিয়ে খেলেছেন ভারতের দুই ওপেনার। বাংলাদেশের কোনও বোলারকেই ধারালো মনে হয়নি তাঁদের সামনে। ৩৯ বলে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন অধিনায়ক রোহিত। তাঁর প্রাপ্য ৮।
ভারতের দ্বিতীয় ওপেনার গিল ৫৫ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে তাঁর প্রাপ্য ১০-এর মধ্যে ৮।
২৫ বলে ১৯ রান করে আউট হয়েছেন শ্রেয়স আয়ার। দু’টি চার মেরেছিলেন তিনি। তাঁর প্রাপ্য নম্বর ৫।
ভারত বাংলাদেশ ম্যাচের শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি বিরাট কোহলি। ৯৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। হার্দিক পাণ্ড্য চোট পেয়ে মাঠের বাইরে গেলে তাঁর অসমাপ্ত ওভারে বলও করেন বিরাট। তিনি পাচ্ছেন ১০-এ ১০।
শ্রেয়স আউট হয়ে যাওয়ার পর নেমেছিলেন লোকেশ রাহুল। তিনি ৩৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। বিরাটকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন। তাঁর প্রাপ্য ৬।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দু’টি করে উইকেট নিয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা, যশপ্রীৎ বুমরা এবং মহম্মদ সিরাজ। তবে জাডেজা তুলনায় কম রান (১০ ওভারে ৩৮) দিয়েছেন। তিনি পাচ্ছেন ৮।
১০ ওভার বল করে বুমরা ৪১ এবং সিরাজ ৬০ রান দিয়েছেন। তাঁদের দু’জনকেই আনন্দবাজার অনলাইন দিচ্ছে ১০-এর মধ্যে ৭।
কুলদীপ যাদব, শার্দূল ঠাকুর যথাক্রমে ৪৭ এবং ৫৯ রান দিয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন। আনন্দবাজার অনলাইনের বিচারে তাঁরা পাচ্ছেন ৬।