ফের রুশ-মার্কিন শঠে শাঠ্যাং! যুক্তরাষ্ট্রের রক্তচাপ বাড়িয়ে ভেনেজ়ুয়েলার হাত শক্ত করছে মস্কো। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে অচিরেই দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাবে ক্রেমলিন। ‘বাদামি ভালুক’-এর এ-হেন সিদ্ধান্তকে ওয়াশিংটনের ‘ইউক্রেন নীতির’ পাল্টা পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের দাবি, এর জেরে ফিরতে পারে ৬৩ বছর আগের কিউবা ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কটের স্মৃতি। ‘ঠান্ডা লড়াই’ পর্বে যেখানে আমেরিকা এবং সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন মুখোমুখি হওয়ায় পরমাণু যুদ্ধের আতঙ্কে কেঁপেছিল বিশ্ব।
চলতি বছরের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভেনেজ়ুয়েলাকে অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম ‘গেজ়েটা ডট রু’-তে মুখ খোলেন রুশ পার্লামেন্ট ডুমার প্রতিরক্ষা কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান অ্যালেক্সি ঝুরাভলেভ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কারাকাসকে অনেক ধরনের হাতিয়ার পাঠাতে চলেছি। সেই তালিকায় থাকতে পারে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ‘ওরেশনিক’ হাইপারসনিক (শব্দের পাঁচ গুণের চেয়ে বেশি গতিশীল) ক্ষেপণাস্ত্র।’’ গত অগস্টে সংশ্লিষ্ট হাতিয়ারটির ব্যাপক উৎপাদনের নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। প্রতিবেশী ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র বেলারুশে ‘ওরেশনিক’ মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।
মস্কোর মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ ব্যালেস্টিক মিসাইল বা আইআরবিএম) হল ‘ওরেশনিক’। ইউক্রেন যুদ্ধে ইতিমধ্যেই এই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ব্যবহার করেছেন পুতিন। তাঁর দাবি, শব্দের চেয়ে ১০ গুণ গতিতে (১০ ম্যাক) উড়ে গিয়ে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে সেটি। ভয়ঙ্কর ওই মারণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনীয় শিল্প শহর ডেনিপ্রোকে প্রায় ধুলোয় মিশিয়ে দেয় ক্রেমলিনের ফৌজ।
গত বছরের (পড়ুন ২০২৪ সালের) ২১ নভেম্বর ডেনিপ্রোতে আছড়ে পড়ে ‘ওরেশনিক’। রুশ ভাষায় যার অর্থ হল ‘হ্যাজ়েল গাছ’। ইউক্রেনীয় গুপ্তচরদের রিপোর্ট অনুযায়ী, মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রায় হাজার কিলোমিটার (৬২০ মাইল) দূরত্ব অতিক্রম করে নিখুঁত নিশানায় আঘাত হানে মস্কোর ওই আইআরবিএম। কিন্তু তা সত্ত্বেও এর ধ্বংসক্ষমতা নিয়ে পরবর্তী কালে বহু বার প্রশ্ন তোলে আমেরিকা।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাকর্তাদের একাংশের দাবি, রুশ ‘ওরেশনিক’কে চিহ্নিত করে মাঝ আকাশে ধ্বংস করা খুব কঠিন নয়। সেই ক্ষমতা ওয়াশিংটনের ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’গুলির (পড়ুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) রয়েছে বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁদের। এই অবস্থায় গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর রাজধানী মস্কোর এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে আমেরিকা-সহ নেটো-ভুক্ত পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলিকে খোলা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বসেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। ফলে দু’পক্ষের পারদ যথেষ্ট চড়েছিল।
মস্কোর সাংবাদিক বৈঠকে পুতিন বলেন, ‘‘ওরা (পড়ুন আমেরিকা) আমাদের হ্যাজ়েলকে সন্দেহের চোখে দেখছে। আর তাই ওদের উন্নত প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি। ইউক্রেনের রাজধানী কিভকে বেছে নেওয়া হোক। সেখানে যাবতীয় এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম এনে জড়ো করুক আমেরিকা আর পশ্চিমি শক্তি। তার পরও ওরা আমাদের হ্যাজ়েলকে আটকাতে পারবে না। আমরা এই পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত।’’ আটলান্টিকের পারে কি এ বার দেখা যাবে সেই দৃশ্য? উঠছে প্রশ্ন।
‘ওরেশনিক’কে বাদ দিলে ‘ক্যালিবার’ নামের ক্রুজ় এবং জাহাজ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র ভেনেজ়ুয়েলায় পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন ডুমার প্রতিরক্ষা কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান অ্যালেক্সি। রুশ গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘কারকাসকে কোন কোন হাতিয়ার দেওয়া হবে, সেই তথ্য আপাতত গোপন রাখা হচ্ছে। তবে আমেরিকা কিছু আশ্চর্য ঘটনার মুখোমুখি হতে চলেছে।’’ ‘ক্যালিবার’-এর পাল্লা প্রায় ১৫০০ থেকে ২৫০০ কিলোমিটার। ফলে এর সাহায্যে খুব সহজেই আমেরিকার পূর্ব উপকূলের একাধিক এলাকাকে নিশানা করতে পারবে ভেনেজ়ুয়েলার ফৌজ।
এ ছাড়া কারাকাসকে ‘পন্টসার এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ পাঠাতে পারে রাশিয়া। এটি একটি বহুমুখী এবং উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যা লড়াকু জেট, ড্রোন এবং স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিরুদ্ধে বহুস্তরীয় সুরক্ষা দিতে সক্ষম। হাতিয়ারটিতে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও বিমানবিধ্বংসী কামান— এই তিন ধরনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে যা উন্নত রাডার এবং ট্র্যাকিং সিস্টেমের সঙ্গে সংযুক্ত। ৩৬ কিমি দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুকে শনাক্ত করার এবং সেগুলিকে ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে পন্টসারের।
‘পন্টসার’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় একটি ট্রাকের উপর রাডার, ১২টি ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং দু’টি বিমান-বিধ্বংসী কামান থাকে। ক্ষেপণাস্ত্রগুলি সাধারণ ভাবে ১৮-২০ কিলোমিটার পাল্লার। তবে এর নতুন সংস্করণে ‘বুস্টার’ ব্যবহার করে সেগুলির পাল্লা বাড়ানো হয়েছে, যার পোশাকি নাম ‘পন্টসার এস-১’।
সংশ্লিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি ইউনিটে যুক্ত আছে ৩০ মিলিমিটারের স্বয়ংক্রিয় কামান। এই অটোক্যানন প্রতি মিনিটে ৭০০ রাউন্ড গুলি ছুড়তে সক্ষম। ৪ কিলোমিটার পাল্লার মধ্যে থাকা যে কোনও উড়ন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে ‘পন্টসার’। এ ছাড়া মাঝারি পাল্লার ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে চোখের পলকে ধ্বংস করা যায় ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং শত্রুর ছোড়া ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র।
পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির একাংশের দাবি, খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সোচির প্রাসাদের নিরাপত্তায় মোতায়েন আছে সংশ্লিষ্ট ‘পন্টসার’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ইউক্রেনের ড্রোন হামলা আটকাতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই আলজিরিয়া, ইরান, ইরাক-সহ একগুচ্ছ দেশকে এই ‘কবচ’ সরবরাহ করেছে মস্কো। এয়ার ডিফেন্স ব্যবস্থাকে মজবুত করতে সংশ্লিষ্ট হাতিয়ারটিকে হাতে পাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ রয়েছে নয়াদিল্লিরও।
গত বছরের নভেম্বরে রুশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অস্ত্র রফতানিকারী সংস্থা ‘রোজ়োবোরাএক্স’-এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক বা মউ (মেমোর্যান্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং) চুক্তিতে সই করে এ দেশের প্রতিরক্ষা সংস্থা ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড। চলতি বছরের ডিসেম্বরে নয়াদিল্লি সফরে আসার কথা রয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের। সেখানে সংশ্লিষ্ট সমঝোতা চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে আশাবাদী সাবেক সেনাকর্তাদের একাংশ। সংশ্লিষ্ট হাতিয়ারটির উৎপাদনের লাইসেন্স পেতে ঝাঁপাতে পারে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার, খবর সূত্রের।
এ বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার শপথ নেওয়ার পর ভেনেজ়ুয়েলার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। কারাকাসকে ঘিরতে গত অগস্টে ক্যারিবিয়ান সাগরে বিপুল সংখ্যায় রণতরী এবং পরমাণু-ডুবোজাহাজ পাঠান তিনি। ফলে যে কোনও মুহূর্তে ওয়াশিংটন ল্যাটিন আমেরিকার ওই দেশটিতে হামলা চালাবে বলে তুঙ্গে ওঠে জল্পনা। যদিও এখনও পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি ট্রাম্প।
সূত্রের খবর, গত তিন মাসে ভেনেজ়ুয়েলার সৈকত সংলগ্ন এলাকায় ঢুকেছে মার্কিন নৌবাহিনীর ‘আরলেইগ বার্ক ডেস্ট্রয়ার’ শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র বহণকারী অন্তত তিনটে রণতরী। এ ছাড়া ক্যারিবিয়ান সাগরে একাধিক পরমাণু ডুবোজাহাজ নামিয়েছে ওয়াশিংটন। পাশাপাশি, চার হাজারের বেশি মেরিন কম্যান্ডোকে প্রস্তুত রেখেছে পেন্টাগন। যুদ্ধ শুরু হলে কারাকাসের সৈকত দখলের গুরুদায়িত্ব যে এঁদের কাঁধে পড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযোগ, আমেরিকার ভিতরে যথেচ্ছ মাদকের চোরাচালান চালিয়ে যাচ্ছে ভেনেজ়ুয়েলা। সেই কারণে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটিকে ‘শিক্ষা’ দেওয়া একান্ত ভাবে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এ বছরের অগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কারাকাসের বেশ কিছু নৌকা ও জলযানকে ক্যারিবিয়ান সাগরে ধ্বংস করে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। সেগুলি ফ্লোরিডা, মিয়ামি-সহ যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক এলাকায় মাদক পাচার করছিল বলে দাবি করে ওয়াশিংটন। যদিও তা মানতে চায়নি ল্যাটিন আমেরিকার ওই দেশ।
ট্রাম্পের দিক থেকে কারাকাসকে নিশানা করার আরও একটি কারণ রয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে ভেনেজ়ুয়েলার প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন নিকোলাস মাদুরো। যদিও তাঁকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে মানতে নারাজ ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে কুর্সি দখল করে রেখেছেন তিনি। নির্বাচনের নামে ল্যাটিন আমেরিকার দেশটিতে চলছে প্রহসন। আর তাই মাদুরোর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে মার্কিন সরকার। তাঁকে ধরিয়ে দিলে পাঁচ কোটি ডলার ইনাম দেবে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারতীয় মুদ্রায় যেটা প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা।
এ-হেন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই মাদুরোর পক্ষ নিয়ে আসরে নামেন পুতিন। গত ২৬ অক্টোবর কারাবাসে ‘ইলিউশন ইল-৭৬’ নামের একটি সামরিক পণ্যবাহী বিমান পাঠান তিনি। সংশ্লিষ্ট উড়োজাহাজে কী কী পণ্য ছিল, তা স্পষ্ট নয়। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের অবশ্য সন্দেহ, সামরিক বিমান ভরে অত্যাধুনিক হাতিয়ার পাঠিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে ‘বিশেষ সেনা অভিযান’ (পড়ুন স্পেশ্যাল মিলিটারি অপারেশন) শুরু করেন পুতিন। ফলে গত সাড়ে তিন বছর ধরে পূর্ব ইউরোপে চলছে যুদ্ধ। এই সংঘর্ষে মস্কো হেরে যাওয়ায় কিভকে একের পর এক হাতিয়ার সরবরাহ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে রয়েছে এফ-১৬ লড়াকু জেট, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী জ্যাভলিন এবং দূরপাল্লার স্টর্ম শ্যাডোস ক্ষেপণাস্ত্র।
এ বছরের অক্টোবরে রুশ ফৌজের উদ্বেগ বাড়িয়ে ইউক্রেনকে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম টমাহক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। আড়াই হাজার কিলোমিটার পাল্লার ওই মারণাস্ত্র হাতে পেলে মস্কোর ভিতর হামলা চালাতে পারবে কিভ। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, এর পরই নড়েচড়ে বসে ক্রেমলিন। কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে ভেনেজ়ুয়েলার হাতে ‘ওরেশনিক’-এর মতো হাইপারসনিক হাতিয়ার তুলে দিচ্ছে তাঁরা, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
গত শতাব্দীতে ‘ঠান্ডা যুদ্ধের’ সময় আমেরিকার নাকের ডগায় কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করে তৎকালীন সোভিয়েত সরকার। মার্কিন গুপ্তচর বাহিনী ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি’ বা সিআইএ সেই খবর ফাঁস করলে ক্যারিবিয়ান সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নৌবহর পাঠিয়ে ঘিরে ফেলে ওয়াশিংটন। ইতিহাসে এই ঘটনাই ‘কিউবার ক্ষেপণাস্ত্র সঙ্কট’ নামে পরিচিত। সে বার অবশ্য শেষ পর্যন্ত গণবিধ্বংসী হাতিয়ার সরিয়ে নিয়েছিল মস্কো। ভেনেজ়ুয়েলার বাহিনীর হাতে ‘ওরেশনিক’ গেলে দেখা যাবে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি? উত্তর দেবে সময়।