Bollywood Gossip

উপহার দিতেন গাড়ি-বাড়ি, ধার দিতেন কোটি টাকা! মদের জোগান দিতে না পারায় অসুস্থ সঞ্জীবকে ত্যাগ করেন বলিউডের ‘বন্ধু’রা

বলিপাড়ার বন্ধুরূপী তারকাদের জন্য ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ধার দিয়েছিলেন সঞ্জীব। কিন্তু কেউ তাঁকে সেই টাকা ফিরিয়ে দেননি। কখনও কোনও বন্ধুকে দামি গাড়িও উপহার দিতে দেখা গিয়েছে নায়ককে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ১১:২১
Share:
০১ ২০

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা। একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর। কিন্তু সংসার পাতেননি তিনি। বন্ধুবান্ধবের জন্য জীবন দিতে পারতেন। সারা দিন সুরাপান এবং খাবারদাবারেই ডুবে থাকতে পারতেন তিনি। তবে, যে বন্ধুদের জন্য নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করতে রাজি ছিলেন, কঠিন সময়ে তাঁরাই ছেড়ে গিয়েছিলেন বলি অভিনেতা সঞ্জীব কুমারকে।

০২ ২০

কানাঘুষো শোনা যায়, বলি অভিনেত্রী হেমা মালিনীর প্রেমে পড়েছিলেন সঞ্জীব। এমনকি, তাঁকে বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন নায়ক। কিন্তু নায়কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হেমা।

Advertisement
০৩ ২০

বলিপাড়ার একাংশের দাবি, বিয়ের পর হেমাকে অভিনয় ছাড়ার শর্ত দিয়েছিলেন সঞ্জীব। কিন্তু সেই শর্তে রাজি হননি হেমা। বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে নায়কের মনও ভেঙে যায়।

০৪ ২০

বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, বলি অভিনেত্রী নূতনের সঙ্গেও নাম জড়িয়ে পড়েছিল সঞ্জীবের। নূতনের স্বামী ছিলেন নৌসেনার আধিকারিক। সঞ্জীবের সঙ্গে নূতনের পরকীয়ার গুঞ্জন তাঁর কানেও পৌঁছেছিল। তা শুনে মেনে নিতে পারেননি অভিনেত্রীর স্বামী।

০৫ ২০

নূতন এবং তাঁর স্বামীর মধ্যে সঞ্জীব ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ হিসাবে নিজের অজান্তেই ঢুকে পড়েছিলেন। তা জানতে পেরে নূতনের স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ঝামেলা মেটাতে চেয়েছিলেন সঞ্জীব। কিন্তু সাহায্য করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হয়।

০৬ ২০

নূতনের দাবি, সঞ্জীব নিজেই নাকি দু’জনের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে কথা রটিয়ে বেড়াতেন। স্বামীর কাছে সততার প্রমাণ দেওয়ার জন্য সঞ্জীবকে ভরা সেটে নাকি চড়ও মেরেছিলেন নায়িকা। বার বার প্রেমে আঘাত পেতে পেতে সংসার পাতার ইচ্ছাই চলে গিয়েছিল সঞ্জীবের।

০৭ ২০

সঞ্জীবের জীবনযাত্রার সঙ্গে কোনও নারী মানিয়ে নিতে পারবেন না ভেবে আর কখনও বিয়ে করতে চাননি অভিনেতা। কারও বোঝা হয়ে থাকতে চাননি সঞ্জীব। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেই হইহুল্লোড় করে কাটাতে পছন্দ করতেন তিনি।

০৮ ২০

মাছ-মাংস খেতে খুব ভালবাসতেন সঞ্জীব। কিন্তু তাঁর বাড়িতে সকলেই ছিলেন নিরামিষাশী। আমিষ খাবার সেই বাড়ির দোর পর্যন্তও পৌঁছোত না। তাই নিজের খাওয়ার শখ পূরণ করতে আলাদা করে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন অভিনেতা।

০৯ ২০

বলিপাড়া সূত্রে খবর, মুম্বইয়ের পালি হিলে একটি এক কামরার ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিলেন সঞ্জীব। আমিষ খাবারের সঙ্গে মাঝেমধ্যে মদ্যপানও করতেন তিনি। এমনও দিন গিয়েছে, যখন ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত মদ-মাংসে ডুবে থেকেছেন সঞ্জীব।

১০ ২০

কানাঘুষো শোনা যায়, সঞ্জীবের সঙ্গে মদ-মাংসের আসরে মাঝেমধ্যে উপস্থিত থাকতেন শম্মী কপূর, শত্রুঘ্ন সিংহ, রণধীর কপূর এবং সচিন পিলগাঁওকরের মতো বলি তারকারা। বন্ধুদের জন্য সব কিছু করতে রাজি ছিলেন সঞ্জীব।

১১ ২০

সঞ্জীবের ভাইঝি জিগনা শাহ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতার বন্ধুপ্রীতির কথা উল্লেখ করেছেন। যে বন্ধুরা সঞ্জীবের মদের আসরে সদা উপস্থিত থাকতেন, তাঁরাই নাকি কঠিন সময়ে অভিনেতার পাশে থাকেননি।

১২ ২০

জিগনার দাবি, বলিপাড়ার বহু তারকাই নাকি সঞ্জীবের কাছে হাত পাততেন। সঞ্জীবও উদার মনে সাহায্য করতেন তাঁদের। কখনও টাকাপয়সার হিসাব রাখতেন না অভিনেতা।

১৩ ২০

জিগনার কথায়, বলিপাড়ার বন্ধুরূপী তারকাদের জন্য ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ধার দিয়েছিলেন সঞ্জীব। কিন্তু কেউ তাঁকে সেই টাকা ফিরিয়ে দেননি। কখনও কোনও বন্ধুকে দামি গাড়িও উপহার দিতে দেখা গিয়েছে নায়ককে।

১৪ ২০

বলিপাড়ার একাংশের দাবি, সঞ্জীব নাকি ‘কিপটে’ ছিলেন। অথচ জিগনা সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, বলি অভিনেতা দিলীপ দত্ত এবং তাঁর ম্যানেজার জমনাদাসকে বাড়ি কিনে দিয়েছিলেন সঞ্জীব।

১৫ ২০

জিগনা সাক্ষাৎকারে কোনও বলি তারকার নামোল্লেখ না করে বলেন, ‘‘সঞ্জীব যখন মদ খেতেন, তখন আসরে তাঁর বন্ধুবান্ধবের অভাব হত না। কিন্তু যখন চিকিৎসক তাঁর স্বাস্থ্যের কথা ভেবে মদ পান করা বন্ধের নির্দেশ দিলেন, তখন থেকেই আর সেই বন্ধুদের টিকিও খুঁজে পাওয়া গেল না।’’

১৬ ২০

বলিপাড়া সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সঞ্জীব। অধিক মদ্যপান সহ্য হয়নি অভিনেতার। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হার্টের সমস্যা ধরা পড়েছিল।

১৭ ২০

প্রথম হার্ট অ্যাটাকের পর আমেরিকায় অস্ত্রোপচারও করানো হয় সঞ্জীবের। চিকিৎসক তাঁকে মদ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। চিকিৎসকের নির্দেশ অমান্য করেননি সঞ্জীব।

১৮ ২০

স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে নিজের বাড়িতে মদের আসর বসাতেন না সঞ্জীব। ঠিক তখন থেকেই বেপাত্তা হতে শুরু করেছিলেন নায়কের ‘বন্ধুরা’। সঞ্জীবের কাছে যাঁরা টাকা ধার নিয়েছিলেন, তাঁরা আর ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও ভাবেননি। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধুমাত্র এক জন।

১৯ ২০

জিগনা জানান, বলিউডের ছবিনির্মাতা বনি কপূরকে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন সঞ্জীব। পুরো ঋণ শোধ করতে না পারলেও বনি সাধ্যমতো অর্থ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সঞ্জীবের পরিবারকে।

২০ ২০

১৯৮৫ সালের নভেম্বর মাসে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয় সঞ্জীবের। অভিনেতার মৃত্যুর পর ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বনি। টাকা ফিরিয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি সঞ্জীবের কাছে আরও টাকা ধার নিয়েছি। কিন্তু এখন আমার এইটুকুই ফিরিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে। দয়া করে আমায় ফিরিয়ে দেবেন না।’’ বনি ছাড়া আর দ্বিতীয় কোনও ব্যক্তি সঞ্জীবের টাকা ফেরত দেননি বলে দাবি অভিনেতার ভাইঝির।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement